প্রায় চার বছর পরে আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এলেন দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মুকুল রায়। বিধানসভা নির্বাচনের পরেই বাংলার বিজেপি শিবিরে বড় ভাঙন। এরপর কী? এই বিষয়ে গত 11 জুন (শুক্রবার) www.4thpillars.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ী, রজত রায় এবং সুব্রত সেন উপস্থিত ছিলেন।
1) মুকুল রায় যে তৃণমূলে ফিরবে এমন ইঙ্গিত আগেই পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু সেটা যে এখনই হবে এটা অপ্রত্যাশিত ছিল। তবে তাঁর এই প্রত্যাবর্তন সর্বভারতীয় রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে। এই নির্বাচনের আগে বঙ্গ বিজেপির এই ভাঙন অনেক কিছুই নির্ধারণ করবে আগামী দিনে।
2) তৃণমূলের দলবদলু নেতাদের বিজেপি বেশি গুরুত্ব দেওয়ায় বিজেপির যাঁরা অনেক পুরনো দিনের কর্মী তাঁদের মধ্যে ক্ষোভ জমছিল। আজকের ঘটনার পর তাঁরা কথা শোনানোর সুযোগ পাবে। তবে এতে বিজেপির ক্ষেত্রে একটা সুবিধাও হল। এখন অনেকেই ডিমরালাইজড আছেন বিজেপিতে, অনেক কিছুই এলোমেলো হয়ে আছে। কিন্তু এখন তাঁদের ঘর ছোট হলেও আগামীদিনের জন্য গুছিয়ে নিতে পারবে।
3) বঙ্গ বিজেপির এই ভাঙন জাতীয় স্তরের বিজেপি কর্মীদের কাছে একটা নেতিবাচক বার্তা পৌঁছবে।
4) বিজেপির অন্দরে যে প্রবীণ-নবীন দ্বন্দ্ব চলছিল, মুকুল রায় তৃণমূলে আসায় সেই দ্বন্দ্ব মিটলেও মিটতে পারে। দিলীপ ঘোষের মতো দলের পুরনো সংঘ অনুগত নেতাদের সঙ্গে মুকুল রায়ের সম্পর্ক খুব একটা সহজ ছিল না।
5) অমিত শাহরা মুকুল রায় এবং অন্যান্য তৃণমূল নেতাদের আরও বেশি করে বিজেপিতে নিতে চেয়েছিলেন দলকে বাংলার মাটিতে সফল করার জন্য। রাজ্য নেতৃত্বের অনেকেই তখন এতে আপত্তি জানালেও, সেই আপত্তি ধোপে টেকেনি।
6) মুকুল রায়কে বিজেপি অত বড় সাংগঠনিক পদ দিয়েছিল। তাঁর হাত ধরে বহু নেতা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। সেই মুকুল রায়ের তৃণমূলে ফিরে যাওয়া নিশ্চিতভাবেই বিজেপির কাছে অস্বস্তির কারণ।
7) উত্তরপ্রদেশ ভোট যত এগিয়ে আসবে ততই হয়তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুকুল রায়কে দিয়ে বিজেপিকে ভাঙার চেষ্টা করবেন৷ বিজেপি অন্যান্য রাজ্যে যে কৌশলে বিরোধীদের ছত্রভঙ্গ করে, এখানেও সেই একই কৌশল নেওয়া হবে।
8) কংগ্রেসের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া তৃণমূল কংগ্রেস ক্রমশ দক্ষিণপন্থী অবস্থান থেকে মধ্য বামপন্থী অবস্থানে সরে এসেছে। এতে দলের অন্দরে অনেক দক্ষিণপন্থী নেতা বিজেপি শিবিরে চলে যান৷ তাদের অনেকেই আবার ফিরে আসছেন।
9) তবে মতাদর্শের থেকেও স্বার্থের রাজনীতি এসব দলবদলে বেশি কাজ করে। তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত থেকে বাঁচতে মুকুল রায় যদি বিজেপিতে যান, আবার সেই প্রয়োজন ফুরোতে যদি তৃণমূলে ফেরেন, তবে তাকে স্বার্থের রাজনীতিই বলতে হয়। কোনও দলই আজকাল আর আদর্শের কথা বলে না। সবটাই স্বার্থ আর কৌশল।
10) জনসাধারণ এসব দলবদল করা নেতাদের নিয়ে যে সব মন্তব্য করছেন, তা থেকে বোঝা যায় এসব নেতাদের সম্পর্কে মানুষ কেমন বিতৃষ্ণার মনোভাব পোষণ করেন।
উত্তরপ্রদেশ সরকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইনের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক বিভাজন করতে চায়।
অকারণে অযৌক্তিকভাবে স্কুলে গরমের ছুটি দিয়ে লেখাপড়ার কতটা সর্বনাশ হচ্ছে?
5 মিনিটে জমির দাম দু' কোটি থেকে 18 কোটি, রামের নামে সবই চলে?
বিপুল সাড়া রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার প্রোগ্রামে। অর্থনীতির দিক থেকে কি স্থায়ীভাবে চালানো সম্ভব?
পদ্ম-পুরস্কার নিয়ে কুটিল রাজনীতির আবর্তে শিল্প ও শিল্পী।
সন্দেহ হচ্ছে, পেগাসাস নিয়ে মোদী সরকারের অবস্থান হল, কিছুতেই সত্যি কথাটা বলা যাবে না!