প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিপিএম নেতা মানিক সরকারের জনসভায় বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ত্রিপুরায় তুমুল সংঘাত বিজেপির সঙ্গে। সিপিএমের দলীয় অফিস আক্রান্ত, আগুন মুখপত্রের দফতরে। রাজ্যে শাসক বিজেপির বিরুদ্ধে স্বৈরাচারের অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসেরও। হঠাৎ কেন অগ্নিগর্ভ ত্রিপুরা? সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় আগরতলা থেকে সাংবাদিক বিমান ধর, জয়ন্ত ভট্টাচার্য, প্রণব সরকার, প্রসেনজিৎ সাহা এবং কলকাতা থেকে শুভাশিস মৈত্র উপস্থিত ছিলেন।
1) শাসকদলের সদস্যরা পুলিশ, আধা সামরিক বাহিনীর সামনে সংবাদকর্মীদের মারল, সংবাদমাধ্যমের অফিসে ঢুকে তাণ্ডব চালাল তারপরেও প্রশাসন কার্যত চুপ করে রইল। এবং তাণ্ডবের ধরন দেখে এটা স্পষ্ট যে এটা পরিকল্পিত।
2) বর্তমানে দেশের প্রায় সব রাজ্যেই সংবাদমাধ্যম এবং সাংবাদিকরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এই বিষয়ে সাংবাদিকদের একজোট হওয়া প্রয়োজন।
3) ত্রিপুরার শাসক দল বিজেপির জনসমর্থনে এখন ভাটার টান। তাদের দেওয়া অধিকাংশ প্রতিশ্রুতি তারা পালন করতে পারেননি। গ্রামের দিকে কাজ নেই। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব সংবাদমাধ্যমকে সরকার বিরোধী খবর না করার বার্তা দিয়েছেন। শাসক এভাবেই সংবাদমাধ্যমকে নিজের মতো চালাতে চায়।
4) সাংবাদিকদের একজোট হয়ে রাষ্ট্রের কাছে, সরকারের কাছে আরও বেশি স্বাধীনতা দাবি করতে হবে।
5) সমাজের সঙ্গে রাজনীতি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ত্রিপুরায় সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলার পিছনেও রাজনীতি আছে। ত্রিপুরায় বহুদিন পর সিপিএমকে স্বমেজাজে দেখা যাচ্ছে। বিজেপির হাওয়া খানিক স্তিমিত। এই পরিস্থিতিতে সংবাদমাধ্যমের ওপর কর্তৃত্ব ফলাতে চাইছে শাসকদল।
6) শাসকের আজ্ঞাবহ এবং খানিক স্বাধীন ও সরকার-বিরোধী— সংবাদমাধ্যমে সর্বদাই এরকম দু'টি বিভাজন আছে। ত্রিপুরাতেও দেখা যাচ্ছে শাসক অনুগত চ্যানেলের অফিস অক্ষত থাকলেও পাশের চ্যানেলের অফিস আক্রান্ত হয়েছে। তারা হয়তো শাসকের চক্ষুশূল।
7) যেভাবে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, তাতে মনে হয় না এটা তাৎক্ষণিক ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।
প্রকৃত বিরোধী দল বিজেপি যখন কিছুটা হতোদ্যম, তখন রাজ্যপালকেই কি রাজনৈতিক বিরোধিতার দায়িত্ব নিতে হল?
গণতন্ত্র মানে প্রশ্ন করা। আজকের মিডিয়া কি প্রশ্ন করতে ভুলে গেছে?
কোভিড টিকাকরণ নিয়ে বিভ্রান্তি চরমে।
উত্তরপ্রদেশ সরকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইনের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক বিভাজন করতে চায়।
সেই কালিদাসের যুগ থেকেই বর্ষা কবিদের প্রেরণা। নিতান্ত অকবি বাঙালিও বর্ষায় যেন কিঞ্চিৎ বিহ্বল হয়।
কেন্দ্রীয় শাসকের প্ররোচনায় সোশাল মিডিয়ায় দেশপ্রেম এখন শত্রুদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধের বীরগাথা।