মহামারীর প্রায় শুরু থেকেই রাজ্যের বাম শিবিরকে দেখা গিয়েছে আর্ত মানুষের পাশে। ভোটে হারা জেতার হিসেব না কষে মহামারীর সময়ে মানুষের বিপদে, প্রয়োজনে পাশে থেকেছে তারা। এবার ভোট পর্বের মাঝে কোভিড পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে প্রচারে রাশ টানে প্রথম বামেরাই। এখন এই মহাসংকটের সময়ে "রেড ভলান্টিয়ার্স' অনেক দুর্গত অসহায় মানুষের কাছেই বড় ভরসা।
গত বছর করোনা সংক্রমণ রুখতে কেন্দ্রীয় সরকার যখন লকডাউন ঘোষণা করে, বহু দিন আনি দিন খাই মানুষের রোজগার বন্ধ হয়ে যায়, অনেকে চাকরি হারান। কিন্তু তাদের অনেকেরই মানুষের থেকে হাত পেতে কিছু নেওয়ার মানসিকতা ছিল না, একটা লজ্জাবোধ হয়তো কাজ করছিল। যা স্বাভাবিকও বটে। তখন বামেরা রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় স্বল্প দামের বিনিময়ে খাবার দিতে শুরু করে। চালু হয় শ্রমজীবী ক্যান্টিন। পাশাপাশি চলে বয়স্ক মানুষ, রোগীদের বাড়ি বাড়ি ওষুধ, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দেওয়ার কাজ।
বছর ঘুরতে না ঘুরতেই দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, দ্রুত ছড়াতে থাকে সংক্রমণ, বাড়তে থাকে মৃত্যুহার। এখন যখন দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা তিন লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে, তখন দেশ তথা রাজ্যে অক্সিজেনের আকাল দেখা গিয়েছে। অমিল হাসপাতালের বেড। আর আইসিইউ বেড তো কার্যত ডুমুরের ফুলে পরিণত হয়েছে। টুইটার থেকে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম থেকে হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাস, সব জায়গায় ঘুরে ফিরে এক পোস্ট, অক্সিজেন লাগবে, বেড লাগবে। তখন আবার ময়দানে নামল বাম সমর্থক, কর্মীরা। গ্রুপ তৈরি হল ‘রেড ভলেন্টিয়ার্স’।
এই রেড ভলেন্টিয়ার্সের সদস্যরা ওয়ার্ডভিত্তিক গ্রুপ বানিয়ে সোশাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে একের পর এক সমস্যার সমাধান করে রোগী কিংবা তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে ওষুধ, অক্সিজেন সিলিন্ডার। ব্যবস্থা করছে বেডের। খোঁজ রাখছে কোথায় বেড খালি হল, কোথায় অক্সিজেন পাওয়া যাচ্ছে ইত্যাদি। এবং সেই সমস্ত তথ্য পৌঁছে দিচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে।
অন্যদিকে যখন রাজ্যের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের নম্বর প্রকাশ্যে আসায়, তারা সেই নম্বর হয় বদলে ফেলছে বা ধরছে না বা বন্ধ রেখেছে, তখন বামেদের এই তরুণ ব্রিগেড অন্য গল্প রচনা করে চলেছে। প্রার্থীরা নিজেরাই নিজেদের কাঁধে পাড়া স্যানিটাইজেশনের ভার তুলে নিয়েছেন। মেশিন নিয়ে পথে পথে ঘুরে স্যানিটাইজ করছেন। সারাদিন ধরে চলছে অক্সিজেন এবং হসপিটালে ভর্তি করানোর কাজ। দু:সময়ে বাম শিবির তাদের স্লোগান ‘আমরাই বিকল্প’ তা সত্যি না মিথ্যে কাজের মাধ্যমে আরও একবার মানুষের কাছে যেন তুলে ধরছে।
শিশু মনেই পাকাপাকিভাবে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের বীজ বপন করছে সরকারি NCERT পাঠ্য বইয়ের মাধ্যমে?
নিয়তি আজ সময়ের কাছে, অর্থের কাছে, ক্ষমতার কাছে অসহায়। সে শুধু ধ্বংস খেলা দেখে চলেছে।
করোনার টিকা হয়নি অথচ স্কুলে যেতে হচ্ছে এমন ছোটদের অভিভাবকদের দুশ্চিন্তার অবসান এবার।
করোনার স্বাস্থ্যবিধি কি এক একজনের জন্য এক এক রকম? প্রশ্ন উঠছে।
সংসার, ভালবাসা, সঙ্গে থাকা বা থাকার ইচ্ছে, সবটা নিয়ে একটা অত্যন্ত বাস্তববাদী সিনেমা।
চন্দননগরের শ্রীশচন্দ্র এবং কানাইলাল চারুচন্দ্র রায়ের থেকে স্বদেশমন্ত্রের দীক্ষা পেয়েছিলেন।