সকাল 11টা। লকডাউন। দমদম রোডে যেন উৎসবে মাতোয়ারা লোকজন। খাঁ খাঁ করছে রোদ। তার মধ্যেই মাস্ক মুখে দিয়ে বা মাস্ক ছাড়াই চলছে থলে ভর্তি বাজার করা। বইখাতার দোকান, মোবাইলের দোকান, মিষ্টির দোকান, থেকে গিফ্টের দোকান সবই খোলা। ক্রেতাদের ভিড় রয়েছে সর্বত্রই। রাস্তা পার হওয়ার সময় গাড়ি দেখে পার হতে হচ্ছে। সাইকেল, বাইক, রিক্সা, মালবাহী ম্যাটাডোর সবই চলছে। সোশাল ডিস্ট্যানসিং বজায় রাখা তো দূরের কথা, বাজারের থলে হাতে রাস্তায় দাঁড়িয়েই চলছে অনর্গল গল্প।
পশ্চিমবঙ্গের প্রথম করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তি ছিলেন দমদমের বাসিন্দা। প্রথম দফায় প্রকাশিত ‘রেড জোন'-এর তালিকাতেই ছিল দমদম স্টেশন থেকে নাগেরবাজার হয়ে কাজিপাড়ার নাম। গত 4 মে দক্ষিণ দমদম পুরসভার 18নং ওয়ার্ডে ফের একজনের করোনায় মৃত্যু হয়। ফলে এই অঞ্চলটি কন্টেনমেন্ট জোনে পরিণত হয়। বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় অঞ্চলের সমস্ত বের হওয়ার রাস্তা। কিন্তু ঠিক তার গা ঘেঁষেই দমদম রোড জুড়ে এতটাই ভিড়, যে দেখে লকডাউন টের পাওয়া যাবে না কোনওভাবেই।
দমদম অঞ্চলের একটি বাজারের দৃশ্য। নিজস্ব চিত্র
নাগেরবাজারের ব্যবসায়ীরা নিজেদের মধ্যে মিটিংয়ের পর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁরা সকালে দোকান খুলবেন। নাগেরবাজারের এক ব্যবসায়ীর কথায়, "দমদম-নাগেরবাজারের সমস্ত মদের দোকান যদি খুলতে পারা যায়, সেখানে সোশাল ডিস্ট্যানসিং না মেনেই লম্বা লাইন যদি দেওয়া যায়, তাহলে আমাদের দোকান খোলায় কী সমস্যা? দেড় মাসের উপর আমাদের দোকান বন্ধ। আর কতদিন চলবে? সোমবার থেকে নাগেরবাজারের ভিতরের সমস্ত দোকান বিকেল পাঁচটা অবধি খুলব।’ লকডাউন আসতে আসতে উঠে গিয়ে স্বাভাবিক জীবনধারায় ফেরার চেষ্টা করছেন ব্যবসায়ীরা।
বড় বাজারগুলি খুলে যাওয়া মানেই আবার জমায়েত। আবার মানুষের সঙ্গে মানুষের সংস্পর্শে আসা। এদিকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃতের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত 1939 জন, 185 জনের মৃত্যু হয়েছে সরকারি হিসেবে। দমদমের এক বাসিন্দার কথায়, "এই অবস্থায় যদি লকডাউন তুলে নেওয়া হয়, তবে হুড়মুড় করে লোকজন বেরিয়ে পড়বেন রাস্তায়। কোথায় সোশাল ডিস্ট্যানসিং? আর কোথায় স্যানিটাইজ করা? অত সম্ভব নাকি? খুব ভয় হয়, আমাদের পশ্চিমবঙ্গ ইতালি হয়ে যাবে না তো?
শুধু শাস্তি পেল না পুরুষতন্ত্রের সেই কণ্ঠস্বর যা শোনা যাচ্ছিল উকিল এ.পি. সিং-এর মুখে
সোশাল ডিস্ট্যানসিং বজায় রাখা তো দূরের কথা, বাজারের থলে হাতে রাস্তায় দাঁড়িয়েই চলছে অনর্গল গল্প।
‘সবসময় মনে হচ্ছে আমরা বাঁচব তো শেষ অবধি?'
অনলাইন আদানপ্রদানের ফলে কীভাবে খরচ এবং পরিশ্রম কমানো যায়, তা বুঝেছেন অনেকেই।
কিন্তু পাড়ায় অবসরের কাজের খোঁজার এই স্মৃতি রয়ে যাবে।
ইরফান খানের 13টা উল্লেখযোগ্য সংলাপ, যা মানুষকে উজ্জীবিত করে।