উত্তর কলকাতায় সামান্য বর্ষা হলেই পথ-ঘাট জলমগ্ন হয়ে যায়। মা-কাকিমারা সে সময় বাড়ির বাইরে বেরতে পারেন না। অলস বর্ষা-বিকেলে এক জানলা থেকে আর এক জানলায় খোশ গল্প জুড়তেন তাঁরা। ওই জানলাই ছিল তাঁদের সারাদিনের কর্মব্যস্ততার মাঝে একটু বিনোদনের মাধ্যম। আজ লকডাউনে সবার কাছে সেই মুক্তির জানলা হল সোশাল মিডিয়া।
সব মায়েরই এক বিখ্যাত উক্তি, “এই মোবাইল ফোনটাই হল সব নষ্টের গোড়া'। সেই মোবাইলেই আজ পাশের বাড়ির হাঁড়ির খবর থেকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, সবার খবর পৌঁছে যাচ্ছে সবচেয়ে দ্রুত। সোশাল মিডিয়ায় প্রমোশন, কেনা-বেচা, শিল্পের প্রদর্শন এ সব লকডাউনের আগেও হয়েছে। তবে এই লকডাউনে জীবন অনলাইনেই বহমান। মেইন স্ট্রিম মিডিয়া ইন্টারভিউ নিচ্ছেন ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে। অনেকে সরাসরি টিভির অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে। মেকআপ আর্টিস্ট, জিম ইন্সট্রাক্টর, ফ্যাশন ব্লগার, ইন্টিরিয়র ডিজাইনার, এমনকী চিকিৎসকদেরও দেখা যাচ্ছে সোশাল মিডিয়ায় ক্যামেরার সামনে বসে সমস্যা সমাধান করছেন। বাড়ি বসে অনলাইনেই চলছে অফিস, পড়াশোনা সবই। এ সব কিছুর সঙ্গে লকডাউনে দেখা গেল সম্পূর্ণ নতুন এক জিনিস। সোশাল মিডিয়া জুড়ে প্রতিবাদ, "ভাষণ নয়, রেশন চাই’।
প্রতিবাদের অন্যতম মুখ হলেন ঐশী ঘোষ, ময়ূখ বিশ্বাস, দীপসিতা ধর-সহ বহু এস.এফ.আই কর্মীরা। সামনে মাইক নেই, নেই একঝাঁক সমর্থক, নেই উঁচু গলার স্বর। গৃহবন্দি প্রতিবাদীদের হাতে রয়েছে শুধুমাত্র হাতে লেখা রঙ-বেরঙের প্ল্যাকার্ড। আর তাতে লেখা পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কিছু রাজনৈতিক বার্তা। প্রতিবাদ এর আগেও হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়, সঙ্গে ছিল মিটিং, মিছিল, আন্দোলন। এই প্রথমবার সোশাল মিডিয়া জুড়ে এক স্বাধীন মৌন প্রতিবাদ দেখছে গোটা দেশ।
বর্তমান থেমে গিয়েছে, ভবিষ্যৎ কী?? আমরা জানি না।
ইরফান খানের 13টা উল্লেখযোগ্য সংলাপ, যা মানুষকে উজ্জীবিত করে।
পশু চাষের ফার্মগুলিতে অরগ্যানিক চাষ বাড়ালেই কমবে ভারতের খাদ্য সংকট
রবীন্দ্রভারতীর কর্তৃপক্ষ পরবর্তী বছর থেকে অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করবেন বলে জানিয়েছেন
রঙের আমি, রঙের তুমি, রং দিয়ে যায় চেনা।
শিয়ালদহে রেল প্রথমবার ঝড় থেকে বাঁচতে ‘সিকিউরিং' প্রক্রিয়ার সাহায্য নিচ্ছে।