পাঁচশো গ্রাম ময়দা কিনব বলে সকাল আটটায় বাড়ির বাইরে পা রাখলাম আজ। ছ-ছটা দোকান প্রত্যাখ্যানের পর কালিন্দী গিয়ে দেখি সপ্তম দোকানে পাওয়া যাবে ময়দা। কিন্তু সে দোকানের লাইনে মোটামুটি চল্লিশ জনের পর দাঁড়িয়ে আমি। দোকানদার বাইরে থেকে শুনছেন আর দ্রব্যাদি ছুঁড়ে ছুঁড়ে দিচ্ছেন আর দোকানের কর্মচারী টাকা গুনে নিচ্ছেন ক্রেতাদের থেকে। আবার পরের জন। আমি ওই লাইনে দাঁড়িয়ে ভাবছিলাম এখানে ময়দা পাব কিনা ঠিক নেই আবার অন্য দোকানে গেলে এ সুযোগও হাতছাড়া হবে। এইরকম দোটানায় পড়ে দাঁড়িয়ে থাকলাম লাইনে শেষ পর্যন্ত। যথারীতি যা হওয়ার ঠিক তাই হল। ময়দা না কিনেই ফিরলাম বাড়ি। তবে চাল, ডাল, তেল, নুন, আলু, মাখন, সুজি রবিবারের আগেই কেনা বাড়িতে। তাই বিস্কুট, প্যাকেটের চিকেন পকোড়া, কিছু ওষুধ, কিনে আনলাম।
বাজারে চাল, আলু, মুড়ি একেবারেই নেই। আর নেই যেটা সচেতনতা। আজ কালিন্দী বাজারে দোকান গুলোয় উপচে পড়েছিল ক্রেতাদের ঢল। কিন্তু, পাঁচ জনের মধ্যে একজনের মাত্র মুখে মাস্ক। পাড়ার চা-দোকানে চলছে বয়স্ক মানুষের আড্ডা। চেনা মহিলাদের সঙ্গে দেখা হলেই দীর্ঘক্ষণ ধরে আতঙ্ক নিয়ে কথাবার্তা। পাড়ার মুদি দোকান এবং ওষুধের দোকান গুলো খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে।
বাবা ইস্টার্ন রেলওয়ের কন্ট্রোল ডিপার্টমেন্টে রয়েছে। সমগ্র দেশ জুড়ে মালগাড়ি চলবে। তাই জরুরি অবস্থায় বাবার অফিস চলছেই। 'চেতনা এক্সপ্রেস' ট্রেনটি এই জরুরি অবস্থায় রেলের কর্মীদের নিকট রেল স্টেশন থেকে নিয়ে অফিস পৌঁছে দিচ্ছে। পুরোপুরি সচেতনতার সঙ্গে চলছে জরুরি কাজগুলো।
পরিবেশ অনেক বেশি সুস্থ। গাড়ির ধোঁয়া কমে যাওয়ায় অনেক বেশি পরিষ্কার বাতাস চারিদিকে। তবে লকডাউন সবাই যে খুব সচেতনতার সঙ্গে মানছে তা কিন্তু নয়। করোনা থেকে রক্ষার্থে গৃহবন্দি হওয়াই যে একমাত্র ওষুধ, তা সবার কাছে পরিষ্কার নয় এখনও বা গুরুত্বটা এখনও বুঝতে পারছেন না সকলে।
কীভাবে ফিরবে গ্রন্থাগারের হাল?
শিয়ালদহে রেল প্রথমবার ঝড় থেকে বাঁচতে ‘সিকিউরিং' প্রক্রিয়ার সাহায্য নিচ্ছে।
অনলাইন আদানপ্রদানের ফলে কীভাবে খরচ এবং পরিশ্রম কমানো যায়, তা বুঝেছেন অনেকেই।
লকডাউনে ঘরে বসেই নাটক নিয়ে নতুন ‘এক্সপেরিমেন্ট’ করেছে ‘ফোর্থ বেল থিয়েটার’
দূরত্ববিধি মেনে চলার বিষয়টা একপ্রকার 'মিথ'ই। টলিপাড়ায় করোনা-পরিস্থিতি 'বিট' করছে কীভাবে?