পুজোর ছুটির পর স্কুল খোলার কথা ভাবা হতে পারে, মুখ্যমন্ত্রীর কথায় হতবাক শিক্ষাদরদী বাঙালি সমাজ। বাকি সব কিছু খুললে স্কুলের ক্ষেত্রে অসুবিধা কী? ছোটদের শিক্ষা কি আমাদের ভাবনায় কোথাও নেই? সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় সমাজকর্মী কুমার রানা এবং শিক্ষক চন্দন মাইতি ও বর্ণালী সেনগুপ্ত।
1) যে কোনও ক্রাইসিসের সময় অনেকগুলো নতুন রাস্তা খুলে যায় আমাদের সামনে। এবারও হয়েছিল। আমরা সেই সুযোগকে নিইনি সেটা আমাদের ব্যাপার। আমরা ভাবিইনি বিষয়টা নিয়ে।
2) এই প্যান্ডেমিকটাকে সরকার নিজের ক্ষমতা বাড়ানোর একটা হাতিয়ার করে তুলেছে। জনগণের উপর সরকার হুকুম চালিয়ে গেছে, যাচ্ছে।
3) এই দেড় বছর সময়ের মধ্যেই সরকারের উচিত ছিল শিক্ষকদের নানান ট্রেনিং দিয়ে তৈরি করে নেওয়া। শিক্ষকরা কিন্তু রাজি ছিল। সরকারি উদ্যোগের ঘাটতি দেখা গিয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিয়ে।
4) মহামারী পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে স্কুল খুলতে হবে, এ কথা কেউ বলছে না। কিন্তু বিকল্প কোন উপায়ে পড়ুয়াদের লেখাপড়ার মধ্যে আনা যায়, সেটা নিয়ে চর্চাও তো হচ্ছে না।
5) প্রাথমিক শিক্ষা সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। ভোটকেন্দ্র থেকে সেনা জওয়ানদের থাকার স্থান— সব কাজের প্রাথমিক স্কুলগুলিকে ব্যবহার করা হয়। এমনিতেও প্রাথমিকের পড়ুয়ারা প্রায় দু'বছর ধরে পড়াশোনার বাইরে আছেন।
6) বহু শিক্ষক সংগঠন কোভিড-বিধি মেনে স্কুল খোলার জন্য শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিব, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে। কিন্তু এখনও এই বিষয়ে সরকারকে উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। ধাপে ধাপে সব কিছু খুলে দেওয়া হলে স্কুল নয় কেন?
7) শুধু শিক্ষাবিদ অভিভাবক নন পড়ুয়াদেরও মতামত নিতে হবে। তারা বয়স ও অভিজ্ঞতায় ছোট হলেও তাদের এই বিষয়ে বক্তব্য আছে। যেমন প্রাথমিকের এক পড়ুয়া সম্প্রতি শিক্ষককে বলছে, ‘ম্যাম, ভ্যাকসিন নিলে কি স্কুল যেতে পারব?’
8) অনলাইন ক্লাসে সবাইকে পাওয়া যাচ্ছে। এতদিনে মাত্র 50 শতাংশ পড়ুয়াকে অনলাইন ক্লাসে পাওয়া যাচ্ছে। সব শিক্ষক সমান গুরুত্ব ও দায়িত্ব নিয়ে ক্লাস করান না, এটাও সত্যি।
9) সর্বশিক্ষা মিশনের অর্থানুকূল্যে এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাহায্যে এখন শহর ও মফঃস্বলের বহু প্রাথমিক স্কুলের পরিকাঠামোগত উন্নতি হয়েছে। তাহলে কেন কোভিডবিধি মেনে স্থানীয় ক্লাবে ক্লাস করানোর কথা বলা হচ্ছে?
10) বিভিন্ন দেশে এমনকি এ দেশের অনেক প্রান্তেও তো নিয়মবিধি মেনে স্কুল কলেজ খোলা হচ্ছে। এখানে কেন সেগুলো অনুসরণ করা যাবে না।
11) ক'জন পড়ুয়া ড্রপ আউট সেটা স্কুল খুললে বোঝা যাবে। পড়ুয়ারা দু'বছরে অনেক পিছিয়ে গেছেন। কিন্তু সেই ক্ষতি মেরামত করা অসম্ভব নয়। তার জন্য যথার্থ পরিকল্পনা প্রয়োজন। জনপরিসরের চর্চায় বিষয়টা তোলা প্রয়োজন।
কৃষি আইন প্রণয়ন কিংবা প্রত্যাহার, সংসদে বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন বোধই করল না শাসক দল বিজেপি।
ন্যায়বিচারের স্বাভাবিক নীতি মর্যাদা পেল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে।
দেড়শো বছরের প্রাচীন দমনমূলক সিডিশন আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তুলে আইনের প্রয়োগ বন্ধ রাখতে বলল।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হওয়া নিয়ে এখনও বিভ্রান্তি ও অনিশ্চয়তা। কীভাবে হবে মূল্যায়ন?
খামখেয়াল হুড়ুমতাল! পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে এখন গো অ্যাজ ইউ লাইক!
শুধু দানিশ সিদ্দিকি নন, তালিবানি আফগানিস্থানে কোন পরিস্থিতিতে কাজ করেন সাংবাদিকরা?