ভারতীয় চিত্র সাংবাদিক দানিশ সিদ্দিকির মৃত্যু কীভাবে হল? তালিবানি আফগানিস্থানে কোন পরিস্থিতিতে কাজ করেন সাংবাদিকরা? এই বিষয়ে গত 18 জুলাই (রবিবার) 4thpillarwetheprople.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সেই পরিস্থিতিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় চিত্রসাংবাদিক দিলীপ ব্যানার্জি, অজয় রায়, অশোক মজুমদার, জয়ন্ত সাউ এবং দেশকল্যাণ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
1) আমাদের দেশ সমাজ কোথায় গেছে যে আজ একজন মৃত মানুষকে তাঁর কাজের জন্য ন্যক্কারজনক ভাবে সমালোচনা করা হচ্ছে।
2) ছবির অনেক ক্ষমতা, মানুষের ভাবনাকে আমূল বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে একটা ছবি। ভিয়েতনাম যুদ্ধের একটা ছবি আমেরিকার অনেকের মনোভাব বদলে দিয়েছিল, তা সবারই জানা।
3) চিত্র সাংবাদিকদের কাজই তো হচ্ছে সঠিক ছবি তুলে ধরা। আর সেই কাজের যারা সমালোচনা করে তারা নির্বোধ ছাড়া কিছুই নয়।
4) আফগানিস্তানে মৃত্যু সবসময় যেন ওৎ পেতে থাকে, অসাবধান হলে বা কথা না শুনলেই মৃত্যু। তবে আফগানিস্তান মানে আবার শুধুই গোলা গুলি নয়, সেখানে রবি ঠাকুরের গান ইত্যাদি নিয়েও আলোচনা হয়।
5) জয়ন্ত সাউ: বিপদগ্রস্ত অঞ্চল কভার করতে গেলে একটা প্রাথমিক প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। আমি রয়টার্সের হয়ে যখন তালিবান উপদ্রুত আফগানিস্তানে যাই, তখন এই প্রশিক্ষণ আমায় দেওয়া হয়েছিল।
6) দেশকল্যাণ চৌধুরী: সাংবাদিক, চিত্রসাংবাদিকদের উপদ্রুত অঞ্চলে গিয়ে খবর করতে হয়। কিন্তু কিছু সুরক্ষাবিধি তাদেরও মেনে চলতে হয়। আমার মনে আছে এক স্থানীয় আফগান আমাকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, ‘আমি আশা করব তুমি তোমার এই গোটা শরীর নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবে’। অর্থাৎ, অনেক সাংবাদিককেই তখন এখান থেকে ছিন্নভিন্ন শরীরে ফিরতে হত।
7) অজয় রায়: কোনও সন্ত্রাসবাদ অধ্যুষিত জায়গায় কাজ করার অভিজ্ঞতা আমার নেই। তবে আন্দামানের ভয়ঙ্কর সুনামির সময় আমি কার নিকোবরে ছিলাম৷ মুহুর্মুহু কম্পনের মধ্যে সারারাত বিমানবন্দরে কেটেছে।
8) অশোক মজুমদার: চিত্রসাংবাদিকরা যখন অকুস্থলে থাকেন, তখন তাঁদের মধ্যে ভয় কাজ করে না। তাঁরা নিবিষ্টভাবে লেন্সের মধ্যে দৃষ্টি নিবন্ধ রাখেন। ভয় পেলে তো আর এই পেশায় আসাই যাবে না।
9) দিলীপ ব্যানার্জি: আমি আফগানিস্তানে গিয়ে দেখেছি, সেখানে ছোট বড় বিস্ফোরণ, কিছু মানুষকে হত্যা নিত্যনৈমিত্তিক একটা ঘটনা৷ যেখানে কাজ করছি, তার কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে হয়তো বড় বিস্ফোরণ হয়ে গেল একটা। দানিশ সিদ্দিকি আফগান সেনার সঙ্গে ‘এমবেডেড’ ছিল। তাও কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল স্পষ্ট নয়।
গণতন্ত্র মানে প্রশ্ন করা। আজকের মিডিয়া কি প্রশ্ন করতে ভুলে গেছে?
ইউজিসির প্রস্তাবিত ইতিহাস পাঠক্রমে রাজনৈতিক হিন্দুত্ববাদের করাল গ্রাসে তথ্যনিষ্ঠ ভারতের ইতিহাস।
তৃণমূলের দিল্লি দখলের স্বপ্ন সফল হওয়ার সম্ভাবনা কতটা?
উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ, দেশের বাইরেও ভারত নিয়ে আগ্রহী দেশ, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান
তৃণমূলের রাহুল গান্ধীর প্রতি অনাস্থা আর গোপন নয়। জাতীয় স্তরে বিরোধী ঐক্য কি স্বপ্নই রয়ে যাবে?
উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটের আগেই বিজেপির বিরুদ্ধে কৃষক মহাসম্মেলনে এক হওয়ার ডাকে বিপাকে বিজেপি।