কৃষি আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল সংসদীয় পদ্ধতি অমান্য করে, বিরোধীদের দাবি সত্ত্বেও ভোটাভুটি না করে। প্রত্যাহারের সময়েও একই রকমভাবে আলোচনা এড়িয়ে গেল সরকার। যেন প্রধানমন্ত্রীর ভাবনাই আইন, সংসদ বাহুল্য মাত্র। তাহলে কীসের ভরসায় আন্দোলনের ময়দান ছেড়ে ঘরে ফিরে যাবেন কৃষকরা? সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় রাজ্যের কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার, অর্থনীতিবিদ অশোক সরকার এবং সাংবাদিক রজত রায়।
1) শীতকালীন অধিবেশনের শুরুর দিন সকালে প্রধানমন্ত্রী উত্থাপিত বিলগুলি নিয়ে আলোচনা হওয়ার আশ্বাস দিলেও, শেষ পর্যন্ত তাঁর উপস্থিতিতেই কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই পাশ হয়ে গেল কৃষি আইন বাতিলের বিল। ঠিক যেভাবে কোনওপ্রকার আলোচনা ছাড়া বিরোধী শূন্য সংসদে এই বিল পাশ হয়েছিল।
2) পার্লামেন্টারি রিসার্চ সার্ভিসের রিপোর্ট অনুযায়ী যতদিন যাচ্ছে সংসদে আলোচনার সময় ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। ঘণ্টা ধরে আলোচনা দুরঅস্ত, তা এখন মিনিটে পরিণত হয়েছে।
3) লিখিত সংসদীয় পদ্ধতি অনুযায়ী পূর্বে যে কোনও বিল সংসদে প্রথমে উত্থাপিত হওয়ার পর, প্রথমে স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে যাওয়ার ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। 20 শতাংশের কম বিল শেষ হিসাব অনুযায়ী স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে পৌঁছেছে। এবারের অধিবেশন শেষে তা 12 থেকে 14 শতাংশে পৌঁছানোর আশঙ্কা রয়েছে।
4) বিরোধী দলগুলির বক্তব্য রাখতে না দেওয়ার পন্থায় চলছে বিজেপি। বিরোধী দলগুলিকে যথাযথ সম্মানজনক স্থান না দিয়ে কার্যত বিরোধীদের নন এন্টিটিতে পরিণত করে সংসদীয় ব্যবস্থাকে নষ্ট করতে চাইছে। তাছাড়া বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির আইনসভারও একই অবস্থা।
5) যে বিল এত বিতর্কের পরে বাতিল হচ্ছে, সেই বাতিল বিলের খসরায় বিলের ভূয়সী প্রশংসা হয়েছে। তবে বিল প্রত্যাহার হলেও বিলের পিছনে থাকা উদ্দেশ্য বা ভাবনা কি প্রত্যহার হল?
6) ভবিষ্যতে এই বিল আবার ফিরে আসবে কিনা তা নিশ্চিত করা না গেলেও, যেহেতু এই বিল প্রত্যাহার হয়েছে ভারতের কৃষক সমাজের ব্যাপক আন্দোলনের ফলস্বরূপ, তাই বিজেপি এই বিল ফিরিয়ে আনার আগে ভাবনাচিন্তা করবে এই কথা বলাই যায়।
7) গতবছর পাঞ্জাব পুরভোটে বিজেপির ধরাশায়ী দশা বা উত্তরপ্রদেশের সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত ভোটের সমাজবাদী পার্টির সাফল্য প্রমাণ করছে যে বিজেপি বিরোধী হাওয়া তৈরি হচ্ছে।
8) সরকারের নিজেকে সর্বজ্ঞ ও সর্বোপরী ভাবা এবং সাধারণ মানুষকে ‘ডুস ও ডোন্টস’ বলে দেওয়ার প্রবণতাই স্বৈরতন্ত্রের লক্ষণ।
9) কৃষক আন্দোলন এখনও চলছে, তাঁদের দাবি এমএসপি আইন প্রণয়ন করতে হবে। তাছাড়া এ কথা অনস্বীকার্য যে, মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইসের ভারতীয় কৃষক সমাজের মধ্যে একটা সর্বজনীন চাহিদা রয়েছে।
10) ভারতীয় কৃষিব্যাবস্থায় সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এই ব্যাপক আন্দোলনের পরে কি সেই প্রচেষ্ট থমকে গেল? সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা না করে এমন সংস্কার আনতে গেলে তা ব্যর্থ হবেই, তাই সর্বসম্মত গনতান্ত্রিক উপায় অবলম্বন বাঞ্ছনীয়।
11) গরিব কৃষক গরিবই রয়ে গেছে, কারণ মাঝে থাকা ভুঁইফোড়রা। এ রাজ্যে বর্গা চাষির থেকে ঠিকার সংখ্যা বেশী। যা অবৈধ। তাই সেইসব কৃষকদের কোনওরকম সরকারি সাহায্য দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এবারের ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নিয়ে যত না আলোচনা তার চেয়েও বেশি ঝড় কভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদের নিয়ে
বিজেমূল নিয়ে ভুল স্বাকারের পর প্রতিষ্ঠানবিরোধী বাম রাজনীতির পরিসরটা কি ফিরে পেতে পারে তারা?
গণতন্ত্র মানে প্রশ্ন করা। আজকের মিডিয়া কি প্রশ্ন করতে ভুলে গেছে?
সর্বনিম্ন নম্বর পেয়ে যে মাধ্যমিক এবং একাদশ শ্রেণিতে পাস করলে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ফেল করবেই।
মিথ্যা প্রচার, কুসংস্কারের সাঁড়াশি চাপে আজ বিপর্যস্ত বিজ্ঞানসম্মত ভারতীয় আয়ুর্বেদ চিকিৎসা পদ্ধতি।
টিকাকরণের উপর মানুষের আস্থার প্রশ্ন জড়িত দুর্নীতির বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের ওপর।