রাজ্য সরকারের আপত্তি অগ্রাহ্য করে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের। খাঁচাবন্দি তোতাই সত্য উদঘাটন করবে? এই বিষয়ে গত 21 অগস্ট (শনিবার) 4thpillarwethepeople.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ী, সুমন ভট্টাচার্য এবং শুভাশিস মৈত্র উপস্থিত ছিলেন।
1) নির্বাচন পরবর্তী হিংসার ঘটনা নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতিরা একক সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি। তাঁরা গোটা বিষয়টিকে দু’টি ভাগে ভাগ করেছেন, 2 থেকে 5 মে এবং 5 মে-র পরবর্তী সময়।
2) অনেক সময় দেখা গিয়েছে সিবিআই অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার মীমাংসা করতে পারেনি। আজ অবধি নোবেল চুরির ঘটনা সহ নানান ঘটনার আইনি নিষ্পত্তি হয়নি। সেগুলো নিয়ে শুধু রাজনীতিই হয়েছে।
3) আগামীদিনে বিচার পেতে হলে মনে করা হচ্ছে কোনও রাজনৈতিক দলের শরণ নিতে হবে, কারণ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকে শুরু করে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনে সরকার এবং রাজনৈতিক নেতাদের আস্থাভাজনদের বসানো হচ্ছে। ফলে বিচার নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
4) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টেই স্পষ্ট যে নতুন সরকারের শপথগ্রহণের পর হিংসার ঘটনা কমেছে। কিন্তু অন্তবর্তীকালীন বা দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকার তো নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ব্যতীত বড় কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
5) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে অনেক অসঙ্গতি ও পক্ষপাত আছে। এমন তো নয় যে ভোটের পর শুধু বিজেপি কর্মীরাই আক্রান্ত হয়েছেন। বহু বাম, কংগ্রেস এমনকি শাসক তৃণমূলের কর্মীরাও আক্রান্ত হয়েছেন। সেই নিয়ে রিপোর্টে কিছু উল্লিখিত হয়নি।
6) এখন সাধারণ মানুষও জেনে গেছে ভোটের আগে বিরোধীদের শায়েস্তা করতে সিবিআই আসে। ভোট মিটলে আবার চুপ করে যায়। দেশের প্রায় সব ক'টি রাজনৈতিক দল কোনও না কোনও সময় অভিযোগ করেছে যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সিবিআইকে ব্যবহৃত করা হয়েছে।
7) সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষপাতদুষ্ট রিপোর্টের ফলে অনেক প্রকৃত অভিযোগের কোনও নিষ্পত্তি হবে না।
রাজনীতিতে বিরামহীন দলবদল যেন বহুজাতিক সংস্থায় সুযোগ বুঝে চাকরি বদলোনোর মতোই একটা ব্যাপার হয়ে উঠছে।
কেন্দ্র-রাজ্য সর্বস্তরেই কি মানবাধিকার কমিশন এখন সরকারের একটি দফতর?
উত্তরপ্রদেশ সরকারের নতুন জনসংখ্যা নীতিতে নারীর ক্ষমতায়ন কি উপেক্ষিত?
খামখেয়াল হুড়ুমতাল! পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে এখন গো অ্যাজ ইউ লাইক!
পানশালা, সিনেমা হল খুলছে, বন্ধ শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সব কিছু খুললে স্কুলের ক্ষেত্রে অসুবিধা কী?
দমনমূলক UAPA আইনের ব্যবহারই হচ্ছে বিনা বিচারে সরকার বিরোধীদের আটকে রাখার জন্য।