×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে যোগীর নিদান

    4thPillar WeThePeople | 15-07-2021

    সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ী, নির্মাল্য মুখোপাধ্যায় এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সমীর কুমার দাস। 

    উত্তরপ্রদেশে নতুন জনসংখ্যা নীতি অনুসারে দুইয়ের বেশি সন্তান হলে সরকারি সহায়তা মিলবে না। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জনসংখ্যার মধ্যে ভারসাম্য আনতে চায় সরকার। এর মানে কী? সন্তান ধারণে নারীর ক্ষমতায়ন উপেক্ষিত? এই নিয়েই 4thpillarwethepeople.com গত 14 জুলাই (বুধবার) একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ী, নির্মাল্য মুখোপাধ্যায় এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সমীর কুমার দাস উপস্থিত ছিলেন। 

     

     

    1) উত্তরপ্রদেশ সরকারের জন্মহার নিয়ন্ত্রণ নীতির মধ্যে বিশুদ্ধ রাজনৈতিক অঙ্ক রয়েছে। এই নীতির মাধ্যমে দেখানোর চেষ্টা হবে, মুসলিম পরিবারে সন্তানাদি বেশি, তাই জনসংখ্যা বাড়া এবং তজ্জনিত যাবতীয় বঞ্চনার জন্য দায়ী মুসলমানরা।

     

    2) বাস্তবে হিন্দু এবং মুসলিম পরিবারে জন্মহারের ফারাক খুব বেশি নয়। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় শাসকদল বিজেপির 100-রও বেশি বিধায়কের দুয়ের বেশি সন্তান রয়েছে। মুসলিমদের থেকেও জন্মহার বেশি আদিবাসী পরিবারগুলিতে— যাদের আবার বিজেপি নিজেদের ভোটব্যাঙ্কের অন্তর্ভুক্ত করতে চায়। তাই অঙ্কটা অতটা সহজ নয়। বিজেপি উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে জয় পেতে এই চমকের রাজনীতিতেই আস্থা রাখছে।

     

    3) ম্যালথাসের জনসংখ্যা তত্ত্ব এখন প্রায় অচল। সারা বিশ্বেই এখন আগের তুলনায় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এসেছে, নব্য উদারনীতির হাত ধরে বেড়েছে বৈষম্য। এবার শাসক যদি কাউকে উদ্বৃত্ত মনে করে, তার কোনও সুযোগ সুবিধা মিলবে না। পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে যেমন আমরা দেখলাম। 

     

    4) সন্তানধারণের বিষয়টি যেহেতু মেয়েদের ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল, তাই মায়েদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদির দিকে নজর দিলেই জন্মহার নিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত চেতনা গড়ে তোলা সম্ভব৷ কেরালা এই ফর্মুলাতেই সাফল্য পেয়েছে।

     

    5) চিন সরকার সম্প্রতি তাদের পুরনো জন্মহার নীতি থেকে সরে এসে, মানবসম্পদ বাড়ানীর দুই সন্তান নীতির ওপর জোর দিতে চাইছে। ভারতে প্রচুর তরুণ-যুব মানবসম্পদ আছে। তাদের সঠিক ভাবে কাজে লাগানোর কোনও প্রয়াস কি আছে?

     

    6) দেশের প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার এস ওয়াই কুরেশি তাঁর প্রকাশ হতে চলা বইতে গাণিতিক মডেলের সাহায্যে দেখিয়েছেন, আগামী 600 বছরেও এই দেশে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে না, কোনওদিনই সেটা হওয়া সম্ভব নয়। ভারতে প্রায় 15 শতাংশ মুসলমান থাকলেও সরকারি পদে, প্রশাসনে মাত্র 2-3 শতাংশ মুসলমান আছেন। তারপরেও অনেককে বলতে শোনা যায় মুসলিমরা সব দখল করে নিচ্ছে।


    4thPillar WeThePeople - এর অন্যান্য লেখা


    মোদী-শাহ জমানার প্রবঞ্চনা মিথ্যাচার আজ দেশের মানুষের কাছে দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।

    ভোটের ফল বেরোনোর প্রায় দেড় মাস পরেও বাংলার ফলাফলের ধাক্কা সামলাতে নাজেহাল বিজেপি।

    দমনমূলক UAPA আইনের ব্যবহারই হচ্ছে বিনা বিচারে সরকার বিরোধীদের আটকে রাখার জন্য।

    দীর্ঘ বাম শাসনের ঐতিহ্যবাহী ত্রিপুরায় এবার কোন খেলা?

    ভোট ব্যাপারটাকে কি এখন শাসকের সুবিধাজনক একটা বন্দোবস্ত হিসেবে দেখছে নির্বাচন কমিশন?

    বাংলার যুদ্ধ শেষ, খেলা এবার দিল্লিতে। বিজেপি বিরোধী জোট গড়ার কাজে সপ্তাহভর রাজধানীতে মমতা।

    জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে যোগীর নিদান-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested