×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • সব‌ই খুলবে স্কুল ছাড়া?-2

    4thPillar WeThePeople | 09-08-2021

    সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় অর্থনীতিবিদ অচিন চক্রবর্তী, সমাজবিজ্ঞানী উদয়ন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষক পৃথা বিশ্বাস।

    জিম, পানশালা, সিনেমা হল খুলছে, বন্ধ শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সব কিছু খুললে স্কুলের ক্ষেত্রে অসুবিধা কী? ছোটদের শিক্ষা কি আমাদের অগ্রাধিকারের তালিকায় একেবারে শেষে? এই বিষয়ে গত 7 অগস্ট (শনিবার) 4thpillarwethepeople.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় অর্থনীতিবিদ অচিন চক্রবর্তী, সমাজবিজ্ঞানী উদয়ন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষক পৃথা বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।

     

     

     1) একটা মাস্টারপ্ল্যানের প্রয়োজন যেখানে আগামীদিনে বাচ্চাদের কিভাবে শিক্ষা দেওয়া হবে, যারা স্কুলছুট হয়ে যাচ্ছে তাদের কিভাবে ফেরানো হবে সেটা বলা থাকবে।

     

    2) স্কুল খোলা হবে কি হবে না, তা নিয়ে বর্তমান সময়ে সর্বস্তরেই আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষত যখন থেকে ইউনিসেফ জানিয়েছে যে স্কুল বন্ধ রাখার কোনও কারণ নেই।

     

    3) মহামারী পরিস্থিতিতে শিক্ষক শিক্ষিকাদের কী করণীয়, তা সরকারের তরফে স্পষ্ট করা হয়নি। বিকল্প উপায় অনেক কিছুই হতে পারে, কিন্তু সেগুলো কীভাবে ফলপ্রসূ করা যাবে তা প্রশাসনের তরফে জানতে চাওয়া হয়নি।

     

    4) অনেক শিক্ষক স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে, ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিকল্প ভাবে ক্লাস নিচ্ছেন। কেউ খোলা জায়গায় কিংবা গ্রামের মাঠে ক্লাস নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু প্রশাসনিক আধিকারিকরা বলেছেন, কিছু বিপদ হলে কে এর দায় নেবে। তাই অনেককেই পিছিয়ে আসতে হয়েছে।

     

    5) প্রথমদিকে চিকিৎসকরা যেভাবে একনাগাড়ে সব বন্ধ করা হোক বলে রব তুলেছিলেন, তাতে সব বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষেই জনমত তৈরি হয়েছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে কচিকাঁচাদের মধ্যে বৈজ্ঞানিক কারণেই কোভিডে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা কম। ভয়টাও ধীরে ধীরে ভাঙছে।

     

    6) চিকিৎসকরা বলেছেন বদ্ধ ঘরে যেন অনেকে না থাকে, কিন্তু আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলের সব স্কুলেই মাঠ আছে, ফলে সেখানে বহু আগে থেকেই ক্লাস স্টার্ট করা যেতে পারত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তো আগেই এই পথ দেখিয়ে গেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় আমরা সেই পথ অনুসরণ করিনি।

     

    7) বর্তমানে বিশ্বের 175টি দেশে স্কুল চালু হয়েছে। সুইডেনে যেমন মহামারীর মধ্যেও স্কুল বন্ধ হয়নি। কিন্তু সেখানেও শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের তেমন ঘটনা ঘটেনি।

     

    8) পুজোর পর স্কুল খোলা হবে— এর মধ্যেও লজিকটা কী স্পষ্ট নয়। শিক্ষকদের টিকাকরণ হলে ভাল। না হলেও অন্যান্য নিয়মবিধি মেনে স্কুল চালু করা যেতেই পারে।

     

    9) শিক্ষকদেরও একটা দায়িত্ব থেকে যায়। অনেক শিশুই ফার্স্ট জেনারেশন লার্নার অর্থাৎ পরিবারের প্রথম শিক্ষিত প্রজন্ম। স্কুলের শিক্ষকরা বলেন পারিবারিক সাহচর্য না পাওয়ার জন্যই তারা পিছিয়ে পড়ে। অনেক পরিবার কষ্ট করে প্রাইভেট টিউশনে ছেলেমেয়েদের ভর্তি করে। সেখানে যিনি পড়ান তাঁর তো কোনও এ ব্যাপারে কোনও প্রশিক্ষণই নেই। কোভিডের সময়েও সেখানে ক্লাস চলেছে। এভাবেই কি আমরা চলব?

     

    10) সব কিছু সরকার ঠিক করে দেবে না। শিক্ষকদেরই স্বাধীন ভাবে ঠিক করতে হবে তারা পড়ুয়াদের স্বার্থে কোন বিকল্প ব্যবস্থা নিতে পারে। বাস্তবে অবশ্য দেখা যায় স্থানীয় অঞ্চলের প্রভাবশালী নেতা ব্যক্তির অনুমতি সাপেক্ষেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিতে হয়।

     

    11) বিভিন্ন রাজ্য এবং এলাকাভেদে পরিস্থিতি আলাদা। রয়েছে ডিজিটাল ডিভাইড। তাই স্থানীয় ভাবেই নিয়ম মানাতে হবে।


    4thPillar WeThePeople - এর অন্যান্য লেখা


    সংসদের চলতি অধিবেশনে বিরোধীরা এককাট্টা, বিরোধী বৈঠকে রাহল, এবার কি কংগ্রেসের নেতৃত্বেও তিনি?

    আপনাদের যা কিছু প্রশ্ন, সরাসরি উত্তর, যা কিছু মতামত খোলাখুলি আলোচনা, সঙ্গে সুদীপ্ত সেনগুপ্ত‌।

    সেই কালিদাসের যুগ থেকেই বর্ষা কবিদের প্রেরণা। নিতান্ত অকবি বাঙালিও বর্ষায় যেন কিঞ্চিৎ বিহ্বল হয়।

    দেশভাগের যন্ত্রণা কি উদযাপনের বিষয়? কেন্দ্রীয় সরকারের হঠাৎ কেন এই ইতিহাস প্রীতি?

    কাগজপত্রে সর্বত্র অশোক স্তম্ভ, তবু নাকি পিএম কেয়ার্স ফান্ড সরকারি নয়!

    সব‌ই খুলবে স্কুল ছাড়া?-2-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested