বিজেপির হয়ে লোকসভা ভোটে জিতে, মন্ত্রী হয়ে, বিধানসভা ভোটে হেরে, মন্ত্রিত্ব থেকে বরখাস্ত হয়ে, রাজনীতি ছেড়ে দিয়ে, আবার তৃণমূলে ঢুকে, কেউ বলছে রাজনীতি মানে চাকরি বদল। কোক থেকে পেপসি, আইপিএলে এই টিম থেকে অন্য টিমে খেলা। এই মূর্খামি নিয়ে কোনও প্রশ্ন উঠবে না গণ পরিসরে? এই নিয়েই 4thpillarwethepeople গত 21 সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে এই আলোচনায় রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সমীর কুমার দাস এবং সাংবাদিক শুভাশিস মৈত্র ও প্রদীপ গুপ্তু উপস্থিত ছিলেন।
1) দলবদল আর সরকারি কোনও পদের লোভ দু’টো এক নয়। রাজনীতি যে কেউ করতে পারে, কিন্তু কেউ যদি শুধু মাত্র ক্ষমতার লোভে, সংসদের কোনও পদের লোভে বারবার দলবদল করেন, সেটা ঠিক নয়। এই দুয়ের তফাৎ কিন্তু বুঝতে হবে।
2) নেতাদের বারবার এই দলবদল করার ফলে মানুষ আর তাদের উপর বিশেষ আস্থা রাখছে না। তাদের ভোট দেওয়া একটা কর্তব্য, সেটুকুই শুধু তারা করে। কিন্তু উল্টে যাকে বা যাঁদের নির্বাচিত করল তাঁদের কাছে কিছুই আশা করে না। এর ফলে দু’টো জিনিস ঘটছে। প্রথমত, আগে সংসদে যে বিতর্ক আলোচনা হত সেগুলো কমছে, সচেতনতা কমছে। পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক গণতন্ত্রের বাইরে একটা অন্যরকম গণতন্ত্র তৈরি হচ্ছে, গণআন্দোলন ইত্যাদি দেখে তা বোঝা যাচ্ছে। রাজনৈতিক নেতাদের টপকে সাধারণ জনগন একটা আলাদা গণতন্ত্রের পরিসর বানাচ্ছে।
3) দলবদল রুখতে হলে আইন আনতে হবে। যেমন যে সংসদ দলবদল করছেন তিনি আর পরের ভোটে লড়তে পারবেন না ইত্যাদি।
4) রাজনীতি এখন ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। যেমন বেশি সুযোগসুবিধা পেলে মানুষ এক কোম্পানি থেকে অন্য কোম্পানিতে চলে যান, তেমনই রাজনীতিতেও সুযোগ সুবিধা বুঝে দলবদল চলছে।
5) বাবুল সুপ্রিয় রাখঢাক না করেই বলেছেন, তিনি তাঁর নতুন দলের প্রথম সারিতে থাকতে চান। অনেকেই এ কথা বলতে কুন্ঠাবোধ করেন, বাবুল তা করেননি।
6) অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মসের একটি রিপোর্ট বলছে, দলবদলু নেতাদের আয় আগের তুলনায় বেড়েছে। অর্থাৎ, দলবদল করলে যে কিছু অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়, তা প্রমাণিত।
7) বিরোধী দলকে ভেঙে সরকার গড়ার ক্ষেত্রে বিজেপি ইদানীং একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রেখেছিল। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল বিজেপির পালটা দিচ্ছে। তবে ভোটের আগে তৃণমূলকে ভাঙা ছিল বিজেপির ভোট কৌশল। আর তৃণমূল বিজেপিকে ভেঙে তাদের মনোবল ও সংগঠনকে দুর্বল করতে চাইছে।
8) এই দেশে দলত্যাগ বিরোধী আইন শক্তপোক্ত নয়। আগেও কংগ্রেস এভাবে অন্য দল ভাঙানোর খেলায় নেমেছে। ক্রোনি ক্যাপিটালিজমের এই যুগে টাকার বিনিময়ে আদর্শ বিকোচ্ছে। সংবিধানে যে মূল্যবোধের ধারণা আম্বেদকররা রেখে গিয়েছিলেন, তা প্রতি পদে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
কোভিড টিকাকরণ নিয়ে বিভ্রান্তি চরমে।
সিপিএমের দলীয় অফিস আক্রান্ত, আগুন মুখপত্রের দফতরে। হঠাৎ কেন অগ্নিগর্ভ ত্রিপুরা?
ভোটের ফল বেরোনোর প্রায় দেড় মাস পরেও বাংলার ফলাফলের ধাক্কা সামলাতে নাজেহাল বিজেপি।
ভারতের ঘরের পাশেই চূড়ান্ত মৌলবাদী তালিবানের শাসন। কী প্রভাব পড়বে আমাদের দেশে ও দেশের বাইরে?
দেশভাগের যন্ত্রণা কি উদযাপনের বিষয়? কেন্দ্রীয় সরকারের হঠাৎ কেন এই ইতিহাস প্রীতি?
অকারণে অযৌক্তিকভাবে স্কুলে গরমের ছুটি দিয়ে লেখাপড়ার কতটা সর্বনাশ হচ্ছে?