কয়েক বছর আগে লেখক-ফ্যাতাড়ু নবারুণ ভট্টাচার্যের একটি ইলাসট্রেশন করেছিলাম। রেখায় ফুটে উঠেছিল তাঁর অবয়ব, যেমনটা আমি তাঁকে দেখেছি। তাঁকে 'ফ্যাতাড়ু' সম্বোধন করলাম নিছকই বৈপ্লবিক উদ্দেশ্যে নয়, তিনি নিজে বলেছেন, "ফ্যাতাড়ুরা আমার অতীব প্রিয়। সম্ভবত আমি নিজেও ফ্যাতাড়ু।" 23 জুন, তাঁর জন্মবার্ষিকীতে আমার সেই ইলাসস্ট্রেশন আর তাঁরই লেখা একটি কবিতা তাঁকে উৎসর্গ করলাম। আমার মতে, 'ফ্যাতাড়ু' কী বস্তু যাঁরা জানেন না, জানতে চান, তাঁদের কৌতূহল নিবারণ করতে পারে নবারুণের এই কবিতা।
আমার খবর
আমি সেই মানুষ
যার কাঁধের ওপর সূর্য ডুবে যাবে।
বুকের বোতামগুলো নেই বহু রাত
কলারটা তোলা ধুলো ফ্যা ফ্যা আস্তিন
হাওয়াতে চুল উড়িয়ে
পকেট থেকে আধখানা সিগারেট
বার করে বলব
দাদা একটু ম্যাচিসটা দেবেন?
লোকটা যদি বেশি ভদ্র হয়
সিগারেট হাতে রেখে
এগিয়ে দেবে দেশলাই
আর আমি তার হাতঘড়িটার
দিকে তাকাব, চোখে জ্বলে উঠবে রেডিয়াম
ম্যায়নে তুঝসে মহব্বত করকে সনম--লেন দেন
খবরের কাগজ নয়
পুলিশের খাতায় আমার
দুটো ছবি থাকবে--একটা হাসিমুখ, একটা সাইড ফেস
তার নিচে লেখা স্ন্যাচ কেস
পেট ভরে পেট্রোল খেয়ে
হল্লা গাড়ি ছুটবে আমার খোঁজে
হেঁটমুন্ডু শহর আমাকে খুঁজবে
আমি সেই মানুষ
বুকের বোতামগুলো নেই বহু রাত
যার কাঁধের ওপর সূর্য ডুবে যাবে।
(নবারুণ ভট্টাচার্য)
সুন্দর নয়, ‘খ্যাঁচামার্কা’ ছবি আঁকতেই ভালবাসতেন
কয়েক দশকের সিনেমা সম্পদ আর অকুতোভয়তা - যা আজ ভীষণভাবে দরকার, হয়ত ভবিষ্যতেও
বিচারবুদ্ধিহীন ফাঁপা আবেগ নয়, চাই বিষয়ের উপরে সঠিক ধারনা ও দখল।
রেখায় ফুটে উঠেছিল তাঁর অবয়ব, যেমনটা আমি তাঁকে দেখেছি
সময়টা অস্থির। এই অস্থির সময়কে কেন্দ্র করেই ওপেন উইন্ডো আয়োজন করেছিল ছবি ও ভাস্কর্য প্রদর্শনীর।
এমন নারী কন্ঠ, এমন দাপুটে, এমন পা ঠুকে অভিনয় করা