পরীক্ষা ছাড়া ফল বার করতে গিয়ে বেজায় বিপাকে পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। মাধ্যমিক এবং একাদশে মিনিমাম নম্বর পেয়ে পাশ করলে সংসদের ফর্মুলায় উচ্চ মাধ্যমিকে ফেল। পরীক্ষার্থীদের নম্বরের ডাটা এন্ট্রি মাধ্যমিকের মতো স্কুলের হাতেও ছাড়া হয়নি। এই হঠকারিতা, বিভ্রান্তি, বিক্ষোভ কি সহজেই এড়ানো যেত না? এই বিষয়ে গত 27 জুলাই (মঙ্গলবার) www.4thpillarwethepeople.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় প্রধান শিক্ষক চন্দন মাইতি, অলকানন্দা ঘোষ এবং শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার উপস্থিত ছিলেন।
1) উচ্চমাধ্যমিকে থিওরিতে আলাদা করে পাশ করতে হয়। প্র্যাকটিক্যালে ভাল নম্বর পেলে এবং থিওরি প্র্যাকটিক্যাল মিলিয়ে পাশ করলেও যদি কোনও ছাত্র বা ছাত্রী থিওরিতে আলাদা ভাবে পাশ না করতে পারে, তবে তাকে ফেল বলেই গণ্য করা হবে। এখানে সফটওয়ারের কোনও ব্যাপার নেই।
2) মাধ্যমিকের যে নম্বর নেওয়া হয়েছে তাতে এক একজন ছাত্র ছাত্রীর এক এক ভাবে নম্বর নেওয়া হয়েছে। ফলে যাদের প্রজেক্টের নম্বর নেওয়া হয়েছে, থিওরির বদলে তারা অন্যদের তুলনায় বেশি নম্বর পেয়েছে স্বাভাবিক ভাবেই।
3) এই বছর যে ছাত্র ছাত্রীরা পাশ করল তাদের গায়ে অনেকগুলো দাগ লেগে গেল। যার প্রভাব বহুদিন থাকবে।
4) ছাত্র ছাত্রী এবং অভিভাবকদের বুঝতে হবে স্কুল কলেজের পরীক্ষাযই শেষ পরীক্ষা নয়। তাদের জীবনের প্রতিটা পদে পরীক্ষা দিতে হবে এবং পাশ করে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে।
5) অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো শিক্ষাব্যবস্থাতেও একটা পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের একাংশ ভাবছেন, বিক্ষোভ প্রতিবাদ করলেই পাশ করিয়ে দেওয়া হবে।
6) মাধ্যমিকে যে পদ্ধতিতে মূল্যায়ন হয়েছিল, তাতে স্কুলগুলির ভূমিকাই মুখ্য ছিল। উচ্চমাধ্যমিকে শিক্ষা সংসদ পুরো বিষয়টির তত্ত্বাবধানে ছিল। কিন্তু মূল্যায়ন পদ্ধতিতেই একটা বড় গলদ ছিল। তাই মাধ্যমিক এবং একাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও অনেকে উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
7) ঠিক যে পদ্ধতিতে স্কুলগুলি থেকে এই মহামারী পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের ট্যাব বিতরণ হয়েছিল, সেই একই পদ্ধতি অনুসরণ করে, স্কুলগুলি থেকে প্রশ্নপত্র দিয়ে পড়ুয়াদের বাড়িতে পরীক্ষা নেওয়ার বন্দোবস্ত করা যেত।
8) স্কুল ছাড়াও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, কিংবা পাড়ার কমিউনিটি হলগুলিকে ব্যবহার করে দূরত্ববিধি মেনে পড়ুয়াদের পরীক্ষা নেওয়া যেত। সেক্ষেত্রে পড়ুয়াদের মেধার প্রকৃত মূল্যায়ন হত। স্বাভাবিক নিয়মেই পরীক্ষায় কেউ খুব ভাল ফল করবেন, কেউ মাঝারি, কেউ বা অকৃতকার্য হবেন। সবাই তো উত্তীর্ণ হতে পারেন না।
9) রাষ্ট্র পড়ুয়াদের মেরুদণ্ডে ঘুণ ধরাচ্ছে। পড়ুয়াদের প্রকৃত মূল্যায়ন হচ্ছে না। শুধু ওপর থেকে বলে দেওয়া হচ্ছে আসন সংখ্যা বাড়িয়ে দাও। কিন্তু স্কুলগুলিতে প্রয়োজনীয় শিক্ষক নেই, গ্রন্থাগারগুলিতে গ্রন্থাগারিক নেই। তাছাড়া জীবনের নানা পর্যায়ে পড়ুয়াদের বিবিধ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এই বিনা প্রয়াসে পাস করিয়ে দেওয়ার প্রবণতার ভবিষ্যৎ ভয়ঙ্কর হতে চলেছে।
কোভিড টিকাকরণ নিয়ে বিভ্রান্তি চরমে।
সমবায় গুলির নিয়ন্ত্রণ রাজ্যের হাত থেকে কেড়ে, মন্ত্রী হিসেবে এবার কেরামতি দেখাবেন অমিত শাহ?
আবার পশ্চিমবঙ্গ ভাগ করে ছোট রাজ্যের দাবি উঠছে। বাংলার মানুষ কী চায়?
সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেশের মিডিয়া সবকিছুকে দেখে!
প্রায় দু'বছর পর কাশ্মীরের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেন প্রধানমন্ত্রী, কী হতে যাচ্ছে কাশ্মীরে?
কংগ্রেসের দৈন্যদশা যত দীর্ঘ হবে, বিজেপির ততই সুখের সময়।