মা নিজেই নিয়েছে ভ্রূণ ধারণ থেকে শুরু করে জন্ম হয়ে সন্তানের সব দায়িত্ব। তবুও তার পিতৃত্ব নিয়ে চর্চার শেষ নেই। নুসরৎ জাহানের পরিপ্রেক্ষিতে একলা মায়ের লড়াই ও সন্তানকে বড় করার কাহিনি। এই বিষয়ে গত 28 অগস্ট (শনিবার) 4thpillarwethepeople.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় চলচ্চিত্র নির্মাতা অনিন্দিতা সর্বাধিকারী, চিত্রশিল্পী ইলীনা বণিক এবং সাংবাদিক অরুন্ধতী মুখার্জি উপস্থিত ছিলেন।
1) আমরা ব্যক্তিগত জীবনকে সম্মান দিতে শিখিনি। আর আমরা তো ধরেই নিই সেলিব্রিটিদের ব্যক্তিগত জীবন বলে কিছু থাকতে পারে না। তাঁদের দিকে সর্বদা ক্যামেরা তাক করা থাকে।
2) সিঙ্গেল মাদার ভাবনাটা নতুন নয়। উপনিষদেও এর উল্লেখ আছে। সত্যকামের মা সিঙ্গেল মাদার ছিলেন, অবিবাহিতা মা।
3) সুপ্রিম কোর্ট 2015 সালে রায় দিয়ে দিয়েছে যে, কোনও প্রতিষ্ঠান কেন, রাষ্ট্রও মায়ের থেকে তাঁর সন্তানের পিতৃপরিচয় জানতে চাইতে পারে না। যাঁরা সেটা করেন তাঁরা কোর্টের রায়ের বিরোধিতা করেন।
4) চলচ্চিত্র নির্মাতা অনিন্দিতা সর্বাধিকারী জানান তিনি যখন তাঁর সন্তানের জন্য স্কুলে ফর্ম ফিলাপ করতে যান তখন অনেক স্কুলে ফর্ম ফিলাপ করতেই পারেননি, কারণ বাবার পরিচয়ের জায়গাটি শূন্য রাখলে বা প্রযোজ্য নয় লিখলেই সেই ফর্ম বাতিল হয়ে যাচ্ছিল। তিনি মনে করেন অনেক স্কুল যতই নিজেদের নামের পাশে ইন্টারন্যাশনাল শব্দটি ব্যবহার করুক, আসলে তারা আন্তর্জাতিক মানের, মননের কোনটাই নয়।
5) আমাদের সমাজে সব মা নিজের ইচ্ছেয় সিঙ্গেল মাদার হন না। অধিকাংশই পরিস্থিতির চাপে পড়ে সিঙ্গেল মাদার হন।
6) আইভিএফ পদ্ধতি বা জনপ্রিয় মতে যে টেস্ট টিউব পদ্ধতি, তাতে সন্তানের মা হলেও, সমাজ তা এখনও মেনে নিতে পারে না।
7) সন্তানকে স্কুল কলেজে ভর্তি করতে গিয়ে শুনতে হয়েছে, বাবার নাম কী তা জানাতে হবে। তবে সমাজ আগের চেয়ে অনেকটাই বদলেছে, এখনও বহু পথ হেঁটে যেতে হবে।
8) নুসরাত জাহান একটি রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং সাংসদ। তিনি সর্বসমক্ষে একজন ব্যবসায়ীকে বিবাহ করেছিলেন, এবং পরে তাঁর সঙ্গে নুসরাতের বিচ্ছেদ হয়। নুসরাত এখন একলা মা হিসাবে এক সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। দু'টো বিষয়কে কিন্তু গুলিয়ে ফেললে চলবে না।
অকারণে অযৌক্তিকভাবে স্কুলে গরমের ছুটি দিয়ে লেখাপড়ার কতটা সর্বনাশ হচ্ছে?
অবশেষে হাত জোড় করে হার মানতে হল নরেন্দ্র মোদীকে। শাসক হিসেবে প্রথম বার।
নিপীড়নমূলক আইনের বিরুদ্ধে জনমত প্রভাবিত করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকেও: বিচারপতি অশোক গাঙ্গুলি
দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর শিশুসুলভ জেদাজেদির ফল ভুগছে রাজ্যের মানুষ।
সেই কালিদাসের যুগ থেকেই বর্ষা কবিদের প্রেরণা। নিতান্ত অকবি বাঙালিও বর্ষায় যেন কিঞ্চিৎ বিহ্বল হয়।
পড়াশোনা গোল্লায় যাক, শিক্ষক নিয়োগের ব্যবসা চলবে - এটাই বাংলার ভবিতব্য?