একদিন ফোন, বিশেষত ইন্টারনেট কানেকশন বিহীন ফোন, ল্যাপটপ ছাড়া কাটাতে কেমন লাগবে? বা নিদেনপক্ষে লোডশেডিংয়ে? উত্তরটা সবারই জানা, বিশেষ করে এই ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সময়। এবার ভাবুন, একদিনের বদলে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস যদি ইন্টারনেট কানেকশন বিহীন থাকতে হয় তবে? এমনই আশঙ্কা করছেন আরভিনের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সঙ্গীতা আবদু জ্যোতি।
সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া আরভিনের একটা গবেষণায় উঠে এসেছে যে নিকট ভবিষ্যতে একটি ভয়ঙ্কর সৌরঝড় আছড়ে পড়তে চলেছে, যার প্রভাব সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর পড়তে পারে। এবং এই সৌরঝড় কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস অবধি স্থায়ী হতে পারে। এটিকে বিজ্ঞানের ভাষায় ‘করোনাল মাস ইজেকশন’ না সিএমই বলা হয়ে থাকে। সিএমই হল সূর্যের ভিতরে যে অতি উত্তপ্ত বস্তু প্লাজমা অবস্থায় রয়েছে, সেটার একাংশ সূর্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ছিটকে বেরিয়ে চলে আসা। এই প্লাজমার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত থাকে চৌম্বক ক্ষেত্র। ওই প্লাজমা এবং তার চৌম্বক ক্ষেত্র সূর্যের যে নিজস্ব চৌম্বক ক্ষেত্র তাকে ব্যাহত করে। সাধারণভাবে গোটা সৌরজগতের ভারসাম্যের জন্যই সিএমই ভীষণ রকম ক্ষতিকর। আর ছিটকে বেরিয়ে আসা অংশ যদি পৃথিবীর দিকে বা তার কাছাকাছি আসে, তবে পরিণতি আরও খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা পৃথিবীর পক্ষে।
আরও পড়ুন: চাঁদের পাহাড়ের দেশ কি আবারও ভয়ঙ্কর অতীতের মুখোমুখি?
এই রকম সৌরঝড় অতীতে পৃথিবীতে দু’বার প্রভাব ফেলেছিল। 1859 এবং 1921। বলা যায় 100 বছর পর আবার সেই ভয়ঙ্কর ঝড়ের মুখোমুখি হতে চলেছি আমরা। 1921 সালে বিস্তর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল সৌরঝড়ের ফলে, টেলিগ্রাফের লাইনে আগুন ধরে গিয়েছিল বহু জায়গায়। পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রে ফাটল ধরেছিল। মেরুজ্যোতি যা 66.5 ডিগ্রি অক্ষাংশের উপরেই একমাত্র দেখা যায়, তা সেবার কলম্বিয়াতেও দেখা গিয়েছিল। 1859 সালে অতটা ক্ষতি না হলেও কানাডায় বহু ঘণ্টার জন্য ব্ল্যাক আউট হয়ে যায়। এবার সৌরঝড় কী প্রভাব ফেলবে পৃথিবীর উপর সেটাই দেখার।
সঙ্গীতা আবদু জ্যোতি জানিয়েছেন, ইন্টারনেটের উপর এই সৌরঝড় ঠিক কতটা প্রভাব ফেলবে এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে সমুদ্রের নিচ দিয়ে যে কেবলগুলো এক দেশ থেকে আর এক দেশে গেছে, তার উপর যে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে সেটা বলা যায়।
কিন্তু আগে থেকে এই ঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়া যাবে না বলেই সেই গবেষণায় দাবি করা হয়েছে। তবে সূর্যে এই ঝড় শুরু হলে তা পৃথিবীতে আসতে 13 ঘণ্টা সময় নেবে। ফলে পৃথিবীর কাছে ওই 13 ঘণ্টাই সময় থাকবে প্রস্তুত হওয়ার। কিন্তু এই বিধ্বংসী সৌরঝড় যে নিকট ভবিষ্যতে আছড়ে পড়বে এই ব্যাপারে গবেষকরা নিশ্চিত।
ভাল-খারাপ দুই’ই আছে, তবু ই-বুকেই অভ্যস্ত হচ্ছেন পাঠক
ওষুধ, খাবার, মাদক, মারণ বোমা সবই ডেলিভারি দিচ্ছে ড্রোন– এবার তাকে সামলাতে হবে!
করোনা আক্রান্তদের শবদেহ এভাবে গঙ্গায় ছুঁড়ে ফেলায় বিভিন্ন রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।
কেন ওর বাবার মৃত্যুর পরও মিথ্যা খবর দিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? কেন এতদিন দেরি করল ওরা বাবার শেষকৃত্য কর
পথ কুকুরদের জন্য শ্রীলেখার Pawsome Date
সরকারি স্কুলের বাচ্চারা তো স্কুলে ফিরল, বেসরকারি স্কুলের বাচ্চাদের কী হবে?