করোনার গ্রাসে জীবন ও জীবিকা। জীবন বাঁচাতে লকডাউন, আর তাতেই জীবিকায় অভূতপূর্ব কোপ। মার্চ মাসে ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে (NSS) এবং পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভের (PLFS) যৌথ সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, চাষের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয় এমন প্রায় 13.6 কোটি মানুষের চাকরি থাকা নিয়ে সংশয় রয়েছে ভারতে। কিন্তু লকডাউনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি খানিকটা হলেও পাল্টেছে। সৌজন্যে ওয়ার্ক ফর্ম হোম। বিরাট অর্থনৈতিক ক্ষতে আপাতত মলমের কাজ করছে WFH.
এ দেশের তথ্য-প্রযুক্তি সেক্টরে যুক্ত 10 লক্ষের বেশি কর্মী গত দু’ মাস ধরে বাড়ি থেকেই যাবতীয় কাজকর্ম সচল রেখেছেন। যদিও এই ব্যবস্থা করা খুব সহজ ছিল না। প্রত্যেক কর্মচারীর বাড়িতে সম্পূর্ণ প্রযুক্তিগত সাহায্য পৌঁছে দেওয়া একটা মস্ত বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে সে কাজ খুবই দ্রুত এবং সুচারুভাবে সম্পন্ন করা গেছে। অনেক নতুন ছোট সংস্থাও বাড়ি থেকে কাজের সুফল পাচ্ছে। অফিস হোক বা বাড়ি, কাজের মানের দিক থেকে কোনও হেরফের হচ্ছে না। ফলে বহু বড় সংস্থাই নতুন করে ভাবছে, কাজের জন্য আলাদা করে কোনও অফিসের প্রয়োজন আছে কিনা।
দেশে 40 লক্ষেরও বেশি তথ্য-প্রযুক্তি কর্মীর প্রায় 97 শতাংশই বাড়ি থেকেই কাজ করছেন এখন। প্রবীণ আইটি ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট এবং কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি-র প্রাক্তন সভাপতি এস গোপালকৃষ্ণণের মতে লকডাউন শেষ হলেও বাড়ি থেকে কাজ করার মেয়াদ তাতে শেষ হবে কিনা তা নিয়েই চলছে আলোচনা। বিরাট অর্থনৈতিক স্লো-ডাউনের ফলে প্রায় সব সংস্থা কম-বেশ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। আগামী দিনে ক্ষতির অঙ্কটা বাড়বে। এর ফলেই বেশ কিছু সংস্থা কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে পারে।
এ রকম পরিস্থিতিতে ওয়ার্ক ফ্রম হোম নতুন করে পথ দেখাচ্ছে। বাড়ি থেকে কাজ করলে ওয়ার্ক স্পেসের ভাড়া, বিদ্যুতের খরচ, নিরাপত্তা ও রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি খাতে অফিসের খরচ কমাতে পারবে সংস্থাগুলি। যাতে কর্মীদের চাকরি নিয়ে টানাটানি কম হবে। হলেও সংখ্যাটা অনেক কমের দিকে থাকবে।
দেশের আরেক বড় আইটি সংস্থা TCS-এর চিফ অপারেটিং অফিসার, এন গণপতি সুব্রমন্যমের কথায়, "25 শতাংশের বেশি কর্মচারীর প্রত্যহ অফিস আসার কোনও প্রয়োজনই নেই। কর্মীরা তাঁদের সময়ের 25 শতাংশ অফিসে ব্যয় করলেই যথেষ্ট। তাতেও 100 শতাংশ প্রোডাক্টিভিটি বের করে আনতে সমস্যা হবে না।' আগের 100/100 মডেল থেকে বহু সংস্থাই এখন 25/25 পদ্ধতি অনুসরণ করবে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। আগের মডেলে সমস্ত কর্মীদের অফিসেই কর্ম সময়ের সম্পূর্ণ অংশ ব্যয় করতে হত। পরবর্তী মডেলে প্রয়োজন অনুযায়ী মাত্র 25 শতাংশ কর্মীদের অফিসে ডাকা হবে এবং 100 শতাংশ কর্মীরা তাঁদের কর্ম সময়ের 25 শতাংশ অফিসে ব্যয় করলেই হবে।
ইতিমধ্যে বহু সংস্থা অলিখিত ভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য ওয়ার্ক ফ্রম হোমের নির্দেশও দিয়েছে। আইটি সংস্থাগুলির সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন বড় মিডিয়া হাউজ, বেসরকারি ব্যাঙ্কও রয়েছে এই তালিকায়। 7 মে অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক সরকারি ভাবেই ঘোষণা করে, লকডাউনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও তাদের একটা বড় সংখ্যক কর্মী সপ্তাহে তিন-চার দিন বাড়ি থেকেই কাজ করবেন।
অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি বলেন, গরিবদের হাতে টাকা এলেই অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। কারণ তাঁরা এই টাকা বিভিন্ন জিনিসপত্র কিনতে ব্যয় করবেন। যার প্রভাব সমগ্র দেশের অর্থনীতির উপর পড়বে। তাঁর এই কথা মাথায় রেখেই বলা যেতে পারে, যত বেশি সংখ্যক মানুষ কাজ হারাবেন বা কম বেতনে কাজ করতে বাধ্য হবেন, তাঁদের ক্রয় ক্ষমতা তত কমে যাবে। যার সামগ্রিক প্রভাব গিয়ে পড়বে দুর্বল অর্থনীতির কাঁধেই। ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবাদে কিছু কর্মীর কাজ বহাল থাকলে তাতে ম্যাক্রো-অর্থনীতিরও লাভ। বাড়ি থেকে কাজ করলে যাতায়াতের খরচ সহ বেশ কিছু খরচ কর্মীদেরও বাঁচে। ফলে মাইক্রো স্তরে ব্যক্তির দিক থেকে দেখলেও তাতে কর্মীর লাভ বিনা ক্ষতি নেই।
ভাল করে বাংলা না বলেও বাংলার মানুষের জন্য প্রাণ কেঁদে ওঠে যাঁর, সেই ঘোষবাবু বদলের সঙ্গে বদলার স্বপ্ন
করোনার কালো গ্রাসে এ বছর সবই গিয়েছে। না রয়েছে বিক্রেতাদের পসার, না হয়েছে মেলা, বাতিল হয়েছে বাউল গান
মাননীয় হঠাৎ আটের আস্ফালন ছেড়ে ৯-এর ঘাড়ে চড়ে বসলেন কেন? কারণ নিশ্চয়ই আছে।
যারা আমায় মনের মধ্যে রাখতে পারে না, তারাই চিৎকার করে আমার ভক্ত বলে পরিচয় দেয়।
আমরা হয়তো দেখতে পাইনি, কিন্তু এই অভুক্ত মানুষগুলো গোলাপি চাঁদকে একটা গোটা রুটিই দেখেছে।
এমনিতেই মোদীবাবুর গুণের শেষ নেই। এত গুণের সঙ্গে তিনি কি ভবিষ্যৎদ্রষ্টাও?