এর মূলে আছে প্রকৃতির নিয়ম।
1882 সালে শেষ বারের মতো মুম্বই উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় "বম্বে সাইক্লোন', প্রাণ হারিয়েছিলেন লক্ষাধিক মানুষ। ক্ষয় ক্ষতি হয়েছিল বিস্তর। তারপর আবার 2020 সালের 3 জুন। ভারতের পশ্চিম উপকূলের মুম্বইয়ে 120 কিলোমটার বেগে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ। তার তাণ্ডবলীলা আমপানের মতো না হলেও যথেষ্টই। নিসর্গের ক্ষয়ক্ষতির একটা বড় কারণ দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি এবং অভিজ্ঞতার অভাব। কারণ আরব সাগরের উপকূলে ভারতের পশ্চিম দিকে ঘূর্ণিঝড় বেশ বিরল। অথচ পূর্ব উপকূলের ওডিশা, অন্ধ্রপ্রদেশ বা পশ্চিমবঙ্গ বছরে এক দুটো ঘূর্ণিঝড় মামুলি ঘটনা। সেখানে মুম্বই আবার 138 বছর পর এমন প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ল।
প্রশ্ন হল, কেন? আরব সাগরে বঙ্গোপসাগরের তুলনায় ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি কেন কম হয়? হলেও তা ওমান বা গুজরাটের দিকে বাঁক নেয় কেন?
আরব মরুভূমি থেকে নিরন্তর আসতে থাকা গরম বাতাস আরব সাগরের পরিস্থিতিকে অনুকুল করে না ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টির জন্য। অন্য দিকে, প্রাক বর্ষার সময় মৌসুমী বায়ু ভারতের পশ্চিম উপকূলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে রক্ষা করে কোনও রকম ঘূর্ণিঝড়ের থেকে। উচ্চচাপ থাকার ফলে কোনও ঘূর্ণিঝড় এদিকে ধেয়ে আসে না, এলেও তা শক্তি হারিয়ে সাধারণ ঝড় হিসেবে আছড়ে পড়ে উপকূলে। আরব সাগরে কোনও ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে সাধারণত পূর্বমুখী বায়ু তাকে ওমান বা গুজরাটের দিকে ঘুরিয়ে দেয়।
তাছাড়াও, একই অক্ষাংশকে যদি লক্ষ্য করা যায় তবে দেখা যাবে, বঙ্গোপসাগরে সেই অক্ষাংশের উপর থাকা সাগরের তাপমাত্রা অনেক বেশি আরব সাগরের তুলনায়। বঙ্গোপসাগরের আপেক্ষিক আর্দ্রতাও অনেক বেশি। এবং সঙ্গে সেখানে থাকে অস্থৈর্য, বা বাতাসের এলোমেলো চলন। ফলে বঙ্গোপসাগরে উলম্ব বাতাসের স্তম্ভ অনেক কম থাকে, যেগুলো নীচ থেকে উপরে তাপ সংবহন করে এবং যার ফলে ঘুর্ণী তৈরি হতে পারে না। এরই সঙ্গে গঙ্গা, গোদাবরীর মতো বড় বড় নদীর পরিষ্কার জল এসে মেশে বঙ্গোপসাগরে। এই প্রাকৃতিক এবং ভৌগোলিক কারণগুলোই ঘনঘন বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি করতে সাহায্য করে। অন্য দিকে, আরব সাগরে তেমন কোনও বৃহৎ নদী এসে তার পরিষ্কার জলধারা মিশিয়ে দেয় না। উলম্ব বাতাসও এখানে বেশি থাকে এবং তাপমাত্রা তুলনামূলক ভাবে কম থাকে; ফলে এই অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় অত দেখা যায় না। গেলেও তা ভয়ংকর আকার ধারণ করে না। শেষ 2007 সালের 1 জুনে ওমানে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় গোনু, ধ্বংসলীলা চালিয়েছিল সেখানে।
ভারতের শাস্ত্রীয় নৃত্য তথা সাংস্কৃতিক জগতে এক বিশাল শূন্যতা রচনা করে চলে গেলেন বিরজু মহারাজ।
উনি তো পুজো-আচ্চা করেন, প্রদীপ জ্বালান, গোমূত্রও খেয়েছেন, ওঁকে করোনা ধরবে না।
মন্দির মসজিদের মতো ঐতিহাসিক স্থাপত্যের গায়েও ধর্মের রং লাগানো হচ্ছে চিহ্ন দেখে।
প্রতিবাদের স্বর সরকার বা কর্তাদের কানে পৌঁছতে হলে প্রতিবাদীকে হতে হবে ভাইরাল
ভদ্রস্থ চাকরি পাওয়ার নিরিখে কলকাতা রয়েছে সবার শেষে।
বিশ্ব জুড়ে হুহু করে ছড়াচ্ছে মাঙ্কি পক্স। কিন্তু কী এই রোগ, কী ভাবে হয়?