তালিবান জামানা স্বচক্ষে দেখেছেন এমন দুই বিরল বাঙালি সাংবাদিক সুদীপ্ত সেনগুপ্ত ও প্রণয় শর্মা। আবার যখন প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তান হয়তো ফিরে যাচ্ছে তালিবান শাসনে, তখন তাঁদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করবেন সাংবাদিক রজত রায়। গত 13 জুলাই (মঙ্গলবার) 4thpillarwethepeople.com-এর একটি উপস্থাপনা।
1) আফগানিস্তানের মাটি থেকে আমেরিকা ধাপে ধাপে সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সেক্ষেত্রে আফগান মুলুকে আবার তালিবানরা শক্তিশালী হয়ে উঠছে। নয়ের দশকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে জঙ্গি মনোভাব তারা দেখিয়েছিল, আবার তেমনটা এবার পারবে কিনা সেটাই এখন দেখার।
2) আফগানিস্তানের মতো আর্থ-সামাজিক ভাবে পিছিয়ে থাকা দেশ ভারতের কাছে অনেক কারণেই ঋণী। গত দুই দশকে সেই দেশে পরিকাঠামো নির্মাণে ভারত বিপুল অর্থ ব্যয় করেছে। এই পরিস্থিতিতে সেই দেশে ভারত বিরোধী মনোভাবকে আবার উস্কে দেওয়া তালিবানদের পক্ষে বেশ কষ্টকর।
3) তালিবান আর ফতোয়া সমার্থক। তালিবানি শাসনে মেয়েদের যেভাবে পর্দাসীন করে রাখা হয়, তা স্থানীয় তালিবানরা মোটেও পছন্দ করেন না। কিন্তু তালিবানদের ভয়ে তারা প্রকাশ্যে মুখও খোলেন না।
4) পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভারত কার্যত বাধ্য হয়েই তালিবানদের সঙ্গে অঘোষিত আলোচনায় বসেছে। সেই আলোচনা কতটা সদর্থক হবে সেটাই এখন দেখার। ভারতের প্রাথমিক লক্ষ্য হল, আফগানিস্তানের মাটিকে পুনরায় পাকিস্তানকে ব্যবহার করতে না দেওয়া। এর পাশাপাশি তালিবানের কাছে ভারতের সাহায্যার্থে নির্মিত পরিকাঠামো গুলো আফগানবাসীর স্বার্থেই ধ্বংস না করার অনুরোধ জানাতে পারে ভারত।
5) আমেরিকা আফগানিস্তান থেকে সরে যাওয়ায় চিন, রাশিয়া, পাকিস্তান প্রভৃতি দেশের খুশি হওয়ার কথা। কিন্তু পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। চিনের লক্ষ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় একাধিপত্য স্থাপন। সেখানে তারা কোনও জঙ্গি মৌলবাদী শক্তিকে মদত জুগিয়ে নিজেদের ভাবমূর্তি খারাপ করতে চাইবে না। তাই আমেরিকা সরে যাওয়ার পর আফগানিস্তানে যে বিশাল শূন্যতা তৈরি হবে, তা কারা, কবে, কীভাবে পূর্ণ করে সেটাই এখন দেখার।
6) তালিবানদের চরমপন্থী অংশ হয়তো নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার্থেই ভারতের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে চাইবে না। কিন্তু বর্তমান আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় তালিবানদেরও অন্যান্য দেশের স্বীকৃতির প্রয়োজন। গত বারে শুধু সৌদি আরব আর সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর সমর্থন তাদের দিকে ছিল। এবারে তাদের অনেক বেশি সমর্থন জোগাড় করতে হবে।
7) তাছাড়া আফগান সমাজও আর ফতোয়া চায় না, স্বাধীনতা চায়। সুতরাং, স্বাধীনতার স্বাদ পেয়ে যাওয়া আফগানদের জন্যও নিজেদের অবস্থান নমনীয় করতে হবে তালিবানকে।
সিপিএমের দলীয় অফিস আক্রান্ত, আগুন মুখপত্রের দফতরে। হঠাৎ কেন অগ্নিগর্ভ ত্রিপুরা?
ইন্দিরা গান্ধীর আমলে 1975 সালের জরুরি অবস্থার সঙ্গে কতটা তুলনীয় এখনকার পরিস্থিতি?
ভারতের ঘরের পাশেই চূড়ান্ত মৌলবাদী তালিবানের শাসন। কী প্রভাব পড়বে আমাদের দেশে ও দেশের বাইরে?
ন্যায়বিচারের স্বাভাবিক নীতি মর্যাদা পেল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে।
পকেটে থাকা ভোটার না হলে কি নাগরিকের কথা কোনও সরকার ভাববে না?
উত্তরপ্রদেশ সরকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইনের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক বিভাজন করতে চায়।