জাতীয় অথবা রাজ্যস্তরে সাময়িক হলেও ব্যাকফুটে বিজেপি! কিন্তু দেশব্যাপী মতাদর্শের প্রচারে খামতি নেই আরএসএসের।
সর্বভারতীয় ব্যাঙ্ক ধর্মঘট, কৃষক আন্দোলন কিংবা নির্বাচনী রাজনীতির ওঠাপড়া অস্বীকার করেই সঙ্ঘ পরিবার অবিচল ‘হিন্দু রাষ্ট্র'-র লক্ষ্যে! কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান আইআইইএসটি শিবপুরে (IIEST, Shibpur) ফের অভিযোগ শিক্ষাক্ষেত্রে গৈরিকীকরণের (Saffronisation)।
গত 19 ডিসেম্বর প্রকাশ্যে আসে শিবপুর আইআইইএসটিতে 'ধর্মসভা' আয়োজনের অভিযোগ। প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের অন্তর্ভুক্তির কর্মশালায় (Orientation Workshop) অনলাইন মাধ্যমে পরিচয়পর্ব শেষ হতেই বক্তব্য পেশ করতে শুরু করেন চিফ ওয়ার্ডেন সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায়৷ কিন্তু, তাঁর নামের তলায় পরিচয় ফুটে ওঠে ‘এবিভিপি-র রাজ্য সভাপতি’। কর্মশালার দ্বিতীয় দিনের অনলাইন আলোচনায় মোদীজির ছবি দেখিয়ে বোঝানো হল, মোদীজি কী ভাবে সারা দেশ জুড়ে বছরে 2 কোটি বেকারকে চাকরি দিচ্ছেন৷ কর্মসংস্থানের প্রশ্নেও চূড়ান্ত ব্যর্থ নরেন্দ্র মোদীর ‘ইমেজ’ রক্ষার চেষ্টায় ক্ষুব্ধ শিক্ষাজগতের অনেকেই।
কর্মশালার শেষ দিন, শনিবার অপেক্ষা করেছিল আরও চমক।
বিজ্ঞানচর্চার এই প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি শিখতে আসা ছাত্রছাত্রীদের বোঝানো হল ভগবত গীতা এবং হিন্দুধর্মের মাহাত্ম্য। বোঝালেন তালিকার নাম না থাকা জনৈক ব্যক্তি।
আরও পড়ুন:বিজেপি নয়, পুর নির্বাচনে কলকাতায় দ্বিতীয় স্থানে বামেরা
ভারতবর্ষের বুকে সমাজের প্রতিটি কোণায় এ ভাবেই সযত্নে আরএসএস (RSS) বুনছে বিজ্ঞানবিমুখ আধ্যাত্মিকতার চেতনা। রোপণ করছে প্রগতির বিপরীতে হিন্দুত্ববাদের মতাদর্শ।
প্রতিদিন প্রতি পদক্ষেপে হিন্দু রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে আরএসএস। আর পিছিয়ে যাচ্ছে ভারতের সংবিধানের বিজ্ঞানচেতনার ধারণা। গৈরিকীকরণের লাগাতার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে গড়ে উঠেছে জনমতও। BESU-এর ফ্যাকাল্টি অমিত রায়চৌধুরী স্পষ্টতই বললেন, "ধাপে ধাপে সুকৌশলে আরএসএস শিক্ষাক্ষেত্রে প্রবেশ করাচ্ছে হিন্দুত্ববাদের দর্শন "৷ তিনি আরও বলেন, "সাম্প্রতিককালে বিজ্ঞানভিত্তিক বহু গবেষণায় রিসার্চ গ্রাণ্ট কমিয়ে দিলেও 'গরু', 'গোবর' ইত্যাদি সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণায় বিপুল গ্রাণ্ট পাওয়া যাচ্ছে।"
দীর্ঘ 100 বছরের যাত্রাপথে বহু কৃতিত্ব অর্জন করলেও আরএসএসের নাগালের বাইরে থেকেছে জ্ঞানবিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্র ও তার নীতিনির্ধারণ।
হিন্দু ভারত গড়া জন্য সঙ্ঘের প্রয়োজন বিপুল সংখ্যক স্বয়ংসেবক, তেমনই প্রয়োজন মগজাস্ত্রে শান দেওয়া৷ আর এজন্য তাঁদের পাখির চোখ বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। বিজ্ঞানের যাত্রা না রুখলে জেতানো যাবে না অপবিজ্ঞানকে! তাই কখনও শিবপুর, কখনও বিশ্বভারতী-জেএনইউ৷ লক্ষ্য যুক্তিতর্কের আঁতুড়ঘরগুলোর লাগাম নিজেদের হাতে নেওয়া।
বেকারত্বে জীর্ণ দেশের যৌবন, বিক্ষুব্ধ কর্মপ্রার্থীরা পথে নামছেন দেশের নানান প্রান্তে
গবেষক হলেও দলিত তো! বদলায় না নির্মম ইতিহাস।
মাধ্যমিকের শূন্য খাতা আরও একবার দেখাল ডিজিটাল ক্লাসরুমের প্রকৃত ছবিটা
দেশের গড় পরিসংখ্যানের তুলনায় পিছিয়ে বাংলা, 18 বছরের আগেই বিয়ে হচ্ছে 42% মেয়ের
দারাং জেলায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হত্যা ও উচ্ছেদের প্রেক্ষাপটে রয়েছে একাধারে জমির অধিকারের প্রশ্ন
সরাসরি ধর্মের জিগির না তুলে অর্থনৈতিক শোষণ এবং বঞ্চনার মাধ্যমে ভারতের মুসলিম সমাজকে দুর্বল করার চেষ্