সরকারের সমালোচনা করলে, এমনকী গরুর অযত্ন করলেও নাকি রাষ্ট্রদ্রোহ! গণতন্ত্রপ্রেমীদের পক্ষে সুখবর সুপ্রিম কোর্ট স্বৈরাচারী শাসকের হাতের অস্ত্র কালা কানুন পর্যালোচনা করবে বলেছে। এই বিষয়ে গত 1জুন (মঙ্গলবার) www.4thpillars.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ী এবং আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন।
1) সরকারের কোনও কাজকর্ম বা আইনের বিরোধিতা যখন কোনও মানুষ করেন তখন সেটাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতা বলে না। সুপ্রিম কোর্ট বহুবার এটা মনে করিয়ে দিয়েছে এগুলো আইন ব্যবস্থার সমস্যা, সেটা যতই জটিল হোক তাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতা বলা যাবে না।
2) কোনও আইন যদি দেশের কোনও স্বাধীন কণ্ঠকে রোধ করতে চায় তাহলে সেটা আমাদের সংবিধান বিরোধী কাজ।
3) দেশদ্রোহিতা আইন বা সিডিশন চার্জ সেই ঔপনিবেশিক আমল থেকে চলে আসা একটা বৈষম্যমূলক আইন। এই আইনের বিলোপসাধন প্রয়োজন।
4) স্বাধীনতার পরও নেহরুকে দেশের ঐক্যের স্বার্থে এই আইনকে বলবৎ রাখতে হয়েছিল, তার জন্য তাঁকে অনেক সমালোচনাও সহ্য করতে হয়।
5) নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ শাসক সর্বদাই এই দেশদ্রোহিতামূলক আইন দিয়ে বিরোধী কন্ঠকে দমন করতে চায়। এর নজির অতীতেও দেখা গেছে। সেই তুলনায় দেখা গেছে জোট বা মিলিজুলি সরকার এতটা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয় না।
6) এই বিষয়ে বিচার বিভাগের একটা ভূমিকা রয়েছে। অন্যায় কারণে ভীমা কোরেগাঁও বা অন্যান্য অনেক ঘটনায় প্রবীণ সমাজকর্মীদের দীর্ঘদিন কারাবন্দি রাখা হয়েছে। অসুস্থতা সত্ত্বেও এঁদের জামিন দিতে ব্যর্থ হয়েছে বিচার বিভাগ।
শিক্ষার অধিকার থেকে শিশুদের বঞ্চিত না করে স্কুলকে পঠনপাঠন চালুর বিষয়ে স্বাধীনতা দেওয়া হোক।
কারা যেন ভালবেসে আড়ি পেতে, সরকারের খুব সুবিধা করে দিয়েছে!
জাতীয় সম্পদ ব্যবহার করে অর্থ জোগাড়ের চেষ্টা করছে মোদী সরকার। কাদের হাতে যাবে বিপুল সম্পদ?
বিজেমূল নিয়ে ভুল স্বাকারের পর প্রতিষ্ঠানবিরোধী বাম রাজনীতির পরিসরটা কি ফিরে পেতে পারে তারা?
সরকারের সমালোচনা করলে, এমনকী গরুর অযত্ন করলেও নাকি রাষ্ট্রদ্রোহ!
ফেসবুকে পাঁচ লক্ষ রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বেনামে বিজেপির হয়ে প্রচার করেছে!