দ্বাদশ শতাব্দীতে নির্মিত কুতুব মিনারে এবার হনুমান চালিশার পাঠ, বিক্ষোভ প্রদর্শন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের! বাবরি মসজিদ ভাঙার বর্বরোচিত ঘটনার মধ্যে যে যাত্রার শুরু, তার ক্রমশ ছড়িয়ে পড়েছে বারাণসীর জ্ঞানবাপি মসজিদ পেরিয়ে দিল্লির তাজমহল পর্যন্ত। এবার তালিকার নয়া সংযোজন কুতুব মিনার।
হিন্দুত্ববাদী কর্মীবাহিনী দ্বিগুণ উদ্যমে নেমেছে দেশে প্রতিটি প্রান্তে গৈরিকীকরণের লক্ষ্যে। স্মৃতিসৌধ, মিনার কিছুই বাদ যাচ্ছে না হিন্দুত্বের পুণঃজাগরণ প্রকল্প থেকে। গত মঙ্গলবার দিল্লিতে কুতুব মিনার চত্বরে সমাবেশিত হয়ে ঐতিহাসিক মিনারটির নাম পরিবর্তন করে বিষ্ণু স্তম্ভ করার দাবি জানান 'মহাকাল মানব সেবা' সংগঠনের কর্মী সমর্থকরা।
কেবল কুতুব মিনারই নয়, দিল্লির বেশ কিছু রাস্তার নাম বদলের দাবি জানিয়ে সরব হয়েছে বিজেপিও। বিজেপি নেতা আদেশ গুপ্ত উত্তর দিল্লি পৌরসভায় চিঠি লেখেন মোঘল শাসকদের নামে নামাঙ্কিত রাস্তাগুলির নাম পরিবর্তনের জন্য৷ তালিকায় আছে 'আকবর রোড', 'শাহজাহান রোড' ইত্যাদি। ভারতবর্ষের ইতিহাস থেকে মোঘল শাসনকাল, ইসলাম ধর্মের সকল চিহ্নগুলিই মুছে দিতে মরিয়া রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ ও বিজেপি।
সম্প্রতি কাশ্মীরের অন্ততনাগে প্রাচীণ মার্তন্দ সূর্য মন্দিরে পুজোয় বসেন ধর্মনিরপেক্ষ দেশের এক সাংবিধানিক পদাধিকারী, জম্মু কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গর্ভনর মনোজ সিনহা। Archaeological Survey of India কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনও প্রকার অনুমতি না নিয়েই ASI সংরক্ষিত প্রাচীণ এই মন্দিরে পুজোর আয়োজন করেছিলেন একদল পূজারী। সেই পূজাপাঠে দলবল নিয়ে যোগ দেন মনোজ সিনহা। জন্মু ও কাশ্মীর পুলিশ-প্রশাসন নানা যুক্তিতে আড়াল করার চেষ্টা করছে ঘটনাটি। দেশের সাংবিধানিক পদে থাকা এক উচ্চপদস্থ ব্যক্তির এরূপ ধর্মাচারণ সমালোচনাযোগ্য। রাষ্ট্র ব্যবস্থার অভ্যন্তরে সঙ্ঘের গভীর প্রভাবকেই প্রতিষ্ঠিত করে এই ঘটনা।
আরও পড়ুন:‘বং বং’-রা গড় বাঁচালেও ‘পাপ্পু’ সেই তিমিরেই!
সম্প্রতি জগৎ বিখ্যাত তাজমহল নিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক। শিবের উপাসনাগৃহ 'তেজো মহালয়' ধ্বংস করে শাহজাহান তাজমহলের নির্মাণ করেছেন, এমনই মত হিন্দুত্ববাদী ঐতিহাসিক, নেতা সমর্থকদের। এলাহাবাদ হাইকোর্ট সম্প্রতি বিজেপির পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়েছে তেজো মহালয়ের অস্তিত্ব সন্ধানে একটি তথ্য অনুসন্ধানকারী দল গঠনের জন্যেও। দেশের ইতিহাস থেকে একটি বিশেষ ধর্মের নিদর্শন, প্রামাণ্য দলিল পুড়িয়ে ফেলার এই চেষ্টা ভারতবর্ষে বহুত্ববাদ ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণাকেই অস্বীকার করছে বকলমে।
আপাতত তাজমহল বিতর্কে এলাহাবাদ কোর্টের রায় তাৎপর্যপূর্ণ। তাজমহলের বন্ধ থাকা 22 টি দরজার ভেতরে হিন্দু দেব-দেবী আছে কিনা, সেই সত্য প্রকাশ্যে আনার জন্য এলাহাবাদ হাইকোর্টে করা মামলার প্রেক্ষিতে বিচারপতি জানান, “এই বিষয় কোর্টের এক্তিয়ারে পড়ে না, এ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন ইতিহাসবিদরা।”
"1992 সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছিল, এবার জ্ঞানবাপি মসজিদের পালা... আমরা 2022 সালেই এটি ধ্বংস করব।' হুঁশিয়ারি দিলেন উত্তর প্রদেশের বিজেপি নেতা সংগীত সোম। ঘটনাচক্রে নয়, পরিকল্পনা মাফিকই তাজমহল, কুতুব মিনার কিংবা জ্ঞানবাপি মসজিদ প্রসঙ্গে একই সময়ে রাস্তায় নামল বিজেপি। আসলে যা ভাঙার কথা বলছে সঙ্ঘপরিবার, সেই মন্দির-মসজিদের সহাবস্থানই এদেশের সংস্কৃতি, তা ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে ওরা।
National Statistical Office কর্তৃক সদ্য প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, আট বছরের মধ্যে খুচরো বাজারে মুদ্রাস্ফীতির হার সর্বাধিক, 7.79 শতাংশ। জ্বালানি, সবজি থেকে তেলের আকাশছোঁয়া দামে নাজেহাল মানুষ। কর্মক্ষেত্রের অবস্থাও শোচনীয়। দেশের মানুষের যাবতীয় যন্ত্রণা, ক্ষোভবিক্ষোভ থেকে পরিত্রাণ দিতে একমাত্র দাওয়াই তাই হিন্দুরাষ্ট্রের জয়ধ্বনি।
সাম্প্রতিক ইউক্রেন সংকট তুলে ধরল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সাম্রাজ্যবাদী সংঘাতকেই।
করোনায় শিক্ষাবঞ্চিত প্রথম প্রজন্মের পড়ুয়ারা পড়তে চায়, চায় স্কুলে যেতে।
কাজের জগতে ইংরেজির বিকল্প নেই এই সত্যি কথাটা মানতে না পেরে সোশাল মিডিয়ায় ক্ষেপে উঠল সেন্টিমেন্টাল আত
সাম্প্রদায়িক হিংসার বাতাবরণে শ্রীরামপুরে অনুষ্ঠিত হল সম্প্রীতির লক্ষ্যে পদযাত্রা
রাজস্থানের করৌলিতে দাঙ্গা পরিস্থিতি, দেশে সর্বত্র হিন্দুত্ববাদের ঘৃণার রাজনীতি চলছে।
মাধ্যমিকের শূন্য খাতা আরও একবার দেখাল ডিজিটাল ক্লাসরুমের প্রকৃত ছবিটা