স্বাধীনতা দিবসের আগের দিনটাকে দেশভাগের যন্ত্রনা দিবস হিসেবে পালনের কথা ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। দেশভাগের যন্ত্রণা কি উদযাপনের বিষয়? হঠাৎ কেন এই ইতিহাস প্রীতি? ইতিহাসের শিক্ষা স্মরণ করবই বা কীভাবে? এই বিষয়ে গত 16 অগস্ট (সোমবার) 4thpillarwethepeople.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় সাংসদ জহর সরকার, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সমীর কুমার দাস এবং সাংবাদিক রজত রায় উপস্থিত ছিলেন।
1) দেশভাগের স্মৃতি অত্যন্ত বিভীষিকাময় এই নিয়ে কারও দ্বিমত নেই। এবং কেউই মনে করেন না যে বিষয়টা যা হয়েছিল তা ঠিক হয়েছিল। আর দেশভাগ এমনই এক ঘটনা যাকে আমরা স্মরণ করতে চাই বা না চাই তার বিভীষিকা আমাদের আজও তাড়িয়ে বেড়ায়।
2) এতদিন আমরা যেভাবে দেশভাগের কথা স্মরণ করে এসেছি তার শিক্ষার কথা মাথায় রেখেছি সেভাবেই এই দিনকে পালন করা যেতে পারে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যেভাবে দিনটি পালন করার কথা বললেন তার একটা তাৎপর্য আছে। এই স্মরণের মধ্য দিয়ে তিনি সামাজিক অনৈক্য, বৈষম্য, ইত্যাদিকে দূরীভূত করার কথা বলেছেন।
3) ইতিহাসকে স্মরণ করার মধ্যে ইতিহাসকে নির্মাণ করার গল্প লুকিয়ে আছে। আগে ইতিহাস নির্মাণ হবে তারপর তাকে স্মরণ করা হবে। তার নিদর্শন আমরা পাঠ্য পুস্তকগুলোতে দেখতে পাব।
4) যারা এক সময় এই দেশ ভাগকে সায় দিয়েছিল আজ তারাই সেই দিনটির কথা স্মরণ করতে চাইছে! এর নেপথ্যে একটি কারণ আছে, দেশভাগকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে যে রাগ জমা আছে সেটাকে খোঁচানোর জন্যই এটা করা হল। এবং এর সঙ্গে আরও একটি বিষয় হল নাগরিকত্ব, যা গোটা বিষয়টাকে জটিল করে তুলেছে। দেশভাগের আগে তো সবাই ভারতীয় নাগরিক ছিল, তারপরই তো নাগরিকত্বের ব্যাপারটা আসছে। আর কেন্দ্রীয় সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ভাবে গোটা বিষয়টা তৈরি করেছে।
5) রাজনীতির একটা অঙ্গ হচ্ছে ঘৃণা, কখনও মুসলিমদের বিরুদ্ধে, কখনও বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে, তো কখনও অন্য কারও বিরুদ্ধে। আর এই ঘৃণা দিয়ে অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন সফল করা যায় না যে সেটা রাজনৈতিক নেতাদের বোঝাতে হবে।
6) একটা নতুন ইতিহাস নির্মাণ করার চেষ্টা করছে দেশের শাসক দল বিজেপি। একটা ঐতিহ্যময় অতীতকে ফেরাতে চাইছে, যার নাম ওরা দিয়েছে অখণ্ড ভারত। কিন্তু এর মাধ্যমে আসলে বিদ্বেষের বীজই বপন করতে চাইছে।
7) দেশভাগের ইতিহাসের দিকে নজর দিলে স্পষ্ট হয়ে যাবে, গান্ধীজি এই দেশভাগ চাননি। চেয়েছিল হিন্দু মহাসভা। সংঘের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটা দশক আগেই যেহেতু এদের উত্থান, তাউ এদের রাজনৈতিক কার্যকলাপের দিকে আমাদের নজর দেওয়া দরকার। হিন্দু মহাসভার প্রাক্তন সদস্য নাথুরাম গডসেই আবার গান্ধীকে হত্যা করল।
8) বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্থানীয় ভাষায় পপুলার হিস্ট্রি লেখা হচ্ছে। ভারতেও তেমনটা করা যেতে পারে।
9) পাঠ্যপুস্কক বা অন্যান্য বই পড়ার প্রতি মানুষের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। তাই ছোটদের পাঠ্যপুস্তকেই হোক বা ইন্টারনেটে অনেক ভুল তথ্য পরিবেশিত হচ্ছে।
10) রাজনৈতিক স্বার্থে যে মিথ্যা, বিকৃত ইতিহাস নির্মাণের চেষ্টা হচ্ছে পপুলার হিস্ট্রি তাকে রুখতে পারে। তবে যারা এগুলো লিখবেন তারা যেন কোনও মৌলবাদী চেতনার দ্বারা আচ্ছন্ন না হন। সবার মতামত নিয়েই তাঁদের এগোতে হবে।
রাজ্যের স্কুলগুলিতে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নেই, উপরন্তু সেই নিয়োগ নিয়ে মারাত্মক দুর্নীতির অভিযোগ।
সিপিএমের দলীয় অফিস আক্রান্ত, আগুন মুখপত্রের দফতরে। হঠাৎ কেন অগ্নিগর্ভ ত্রিপুরা?
ফেসবুকে পাঁচ লক্ষ রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বেনামে বিজেপির হয়ে প্রচার করেছে!
প্রায় দু'বছর পর কাশ্মীরের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেন প্রধানমন্ত্রী, কী হতে যাচ্ছে কাশ্মীরে?
হাইকোর্টের নির্দেশ, প্রশাসনিক বিধি ভেঙে পুজোর আড়ম্বরে টেক্কা দেওয়ার প্রতিযোগিতা নেতা মন্ত্রীদের।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য সত্যাগ্রহ করে কারাবরণ করেছিলেন বলে মোদীর দাবি।কী অভিযোগে জেলে ছিলেন তিনি?