বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে সত্যাগ্রহ করে 1971 সালে কারাবরণ করেছিলেন বলে মোদীর দাবি। কী অভিযোগে কতদিন কোন জেলে ছিলেন তিনি? তথ্যের অধিকার আইনে তা জানতে চেয়ে উত্তর মেলেনি। সত্যিটা কী? এই বিষয়ে গত 20 জুন (রবিবার) www.4thpillarwethepeople.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তের সঙ্গে আলোচনায় সাংবাদিক পরঞ্জয় গুহঠাকুরতা এবং নির্মাল্য মুখোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।
1) নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে দাবি করা কোনও তথ্যের উল্লেখ তাঁর আত্মজীবনী তে পাওয়া যায় না, কিন্তু উইকিপিডিয়া অনুযায়ী ওই সময় সত্যাগ্রহ হয়েছিল একটা তাতে কিছু অংশগ্রহণকারী কে গ্রেপ্তার করে তিহার জেলে পাঠানো হয়েছিল যার মধ্যে মোদীর নাম ছিল।
2) এর আগে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও অনেক প্রশ্ন উঠেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও নথি কিংবা প্রধানমন্ত্রীর সহপাঠীদের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে তিনি দাবি করেন তিনি ডিসটেন্স এডুকেশনে তাঁর সমস্ত ডিগ্রি অর্জন করেছেন, তিনি তখন কি ডিসটেন্স এডুকেশন বলে কিছু ছিল আদৌ? বিবাহ নিয়েও প্রধানমন্ত্রী তাঁর নির্বাচনী হলফনামায় দু'রকম বিবৃতি দিয়েছিলেন। আদতে, মোদী 1968 সালে স্বয়ং সেবক সংঘের প্রচারক হিসেবে যুক্ত হন, অর্থাৎ তিনি একপ্রকার সন্ন্যাস নিয়েছিলেন। এবং সেই অনুযায়ী তিনি বিবাহ করতে পারবেন না। অথচ তার আগেই তাঁর বিবাহ হয়ে গেছিল, তাই তাঁর বিবাহ লুকোতে হয়েছিল।
3) মোদীকে কিছু প্রশ্ন করলে তিনি সেগুলো এড়িয়ে যান। অথচ পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে তাঁর কিন্তু সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া উচিত।
4) ওয়াকিবহাল মহলের প্রায় সকলেই বলছেন, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় এমন কোনও পরিস্থিতি ছিল না, যাতে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করা একজন ভারতীয় এই দেশে কারারুদ্ধ হবেন। প্রধানমন্ত্রী কোন জেলে বন্দি ছিলেন, তাও জানা যায়নি।
5) এই ধরনের পরস্পর বিরোধী কথায় প্রধানমন্ত্রীর পদের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। প্রমাণ হচ্ছে যে, প্রধানমন্ত্রী সত্যের প্রতি দায়বদ্ধ নন। উনি এমন একজন প্রধানমন্ত্রী যিনি এখনও পর্যন্ত একটাও সাংবাদিক সম্মেলন করেননি।
ফেসবুকে পাঁচ লক্ষ রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বেনামে বিজেপির হয়ে প্রচার করেছে!
জাতীয় সম্পদ ব্যবহার করে অর্থ জোগাড়ের চেষ্টা করছে মোদী সরকার। কাদের হাতে যাবে বিপুল সম্পদ?
চলমান ইতিহাসের মোড় ঘোরানো কৃষি আন্দোলনে ছেদ টানল সংযুক্ত কিসান মোর্চা। এরপর কী?
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হওয়া নিয়ে এখনও বিভ্রান্তি ও অনিশ্চয়তা। কীভাবে হবে মূল্যায়ন?
কংগ্রেসের দৈন্যদশা যত দীর্ঘ হবে, বিজেপির ততই সুখের সময়।
প্রায় চার বছর পরে আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এলেন দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মুকুল রায়। এরপর কী?