চলমান ইতিহাসের মোড় ঘোরানো কৃষি আন্দোলনে ছেদ টানল সংযুক্ত কিসান মোর্চা। রাজধানীর সীমানায় কৃষকদের আন্দোলনে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তিন কৃষি আইনে সম্পূর্ণ প্রত্যাহার হয়েছে। আন্দোলনরত কৃষকের মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ এবং ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বিষয়ে দাবির নিষ্পত্তি হয়নি। এরপর কী? সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় অলীক চক্রবর্তী, হান্নান মোল্লা এবং অর্থনীতিবীদ অশোক সরকার।
1) এই কৃষক আন্দোলন আগামীতে বড় লড়াইয়ের ভিত্তি স্থাপন করল। ইস্পাত কঠিন সরকারকেও বাঁকানো যায়, প্রমাণ করল এই আন্দোলন।
2) সরকার এই আন্দোলনের ফলে নাস্তানাবুদ হয়েছে এবং আগামীর বিপ্লবী বামপন্থী আন্দোলনকে দিশা দেখাবে। নয়া উদারনীতির ফলে কৃষি ব্যবস্থা এক অলাভজনক ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এই আন্দোলন কৃষকের একটি শ্রেণি হিসেবে তুলে ধরেছে।
3) পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের দশ-বারোটি রাজ্যে কিসান মোর্চার চ্যাপ্টার খোলা হয়েছে। আগামী 15 জানুয়ারি SKM এর কেন্দ্রীয় মিটিং থেকে আগামীর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
4) প্রতিটি রাজ্যের ক্ষেত্রে পৃথক দাবিগুলি নিয়ে আন্দোলন আরও শক্তিশালী করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গেও বহু ক্ষেত্রে চুক্তিচাষ শুরু হয়েছে। ভারতের সব অঞ্চলের কৃষকের মধ্যেই ন্যূনতম সহায়ক মূলের দাবি গুরুত্বপূর্ণ।
5) দলীয় রাজনীতির সঙ্গে কৃষকদের রাজনীতির ফারাক রয়েছে। এই ক্ষেত্রে কৃষকরা তাদের অবস্থানে অনড় থেকেছে।
6) পশ্চিমবঙ্গের চাষিদের ক্ষেত্রে আমরা মাটি, বীজ ইত্যাদি বিষয়ে সঠিক পথ দেখাতে পারিনি। কৃষকদের যথেষ্ট ক্ষমতা থাকতেও প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
7) পশ্চিমবঙ্গে 22-24টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ট্রাক আছে। এটিও একটি সীমাবদ্ধতা।
8) বাংলার মাটির উর্বরতার তুলনায় ফলন সঠিক অনুপাতে দেখা যায়নি।
শুধু দানিশ সিদ্দিকি নন, তালিবানি আফগানিস্থানে কোন পরিস্থিতিতে কাজ করেন সাংবাদিকরা?
ভারতে সর্ববৃহৎ খোলামুখ কয়লাখনি দেউচা পাচামিকে কেন্দ্র করে বাংলা উন্নয়নের স্বপ্ন দেখছে।
প্রায় দেড় বছর পর খুলতে চলেছে স্কুল। হাতে আর মাত্র দু'টো সপ্তাহ। স্কুলগুলো কতটা তৈরি?
বাঙালি সারাদিন টিভির সামনে কোপা আর ইউরোর ফুটবলে মত্ত। কিন্তু ভারতীয় ফুটবলে বাঙালি ফুটবলার কোথায়?
ভোট ব্যাপারটাকে কি এখন শাসকের সুবিধাজনক একটা বন্দোবস্ত হিসেবে দেখছে নির্বাচন কমিশন?
উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটের আগেই বিজেপির বিরুদ্ধে কৃষক মহাসম্মেলনে এক হওয়ার ডাকে বিপাকে বিজেপি।