ভোটে হারের জ্বালা ভুলতে পারছেন না মোদী, যেভাবেই হোক টাইট দিতে হবে মমতাকে। মমতাও অহং ভুলে বৈঠকে শুভেন্দুর উপস্থিতি মানতে পারলেন না দুই শাসকের জেদাজেদিতে কতটা ক্ষতি বাংলার মানুষের? এই বিষয়ে গত 29 মে (শনিবার) www.4thpillars.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ী, রজত রায় এবং আইনজীবী অরুণাংশু চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।
1) মোদী মমতার মধ্যে যেভাবে চাপানউতোর চলছে তাতে মনে হচ্ছে না যে ভোট প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। মনে হচ্ছে এখনও যেন ভোটের প্রচার চলছে।
2) বিজেপি বাংলায় তাদের পরাজয়কে মেনে নিতে পারছে না। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলাজনিত অবনতির দোহাই দিয়ে 356 ধারা জারির চেষ্টা করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার।
3) প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য রাজ্যে, এমনকি নিজের রাজ্যে জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হলে আলোচনার জন্য বিরোধী দলনেতাকে আমন্ত্রণ জানান না। অথচ বাংলার ক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীকে আমন্ত্রণ জানানো হল। এটা কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমান করার জন্যই করা হল?
4) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে থাকলেন রাজ্যপাল, বিরোধী দলনেতা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। অথচ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী সেই বৈঠকে থাকলেন না। মুখ্যমন্ত্রীকে অপেক্ষা করিয়ে রাখা হল। অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীও পারতেন শুভেন্দু অধিকারীকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে, রাজ্যের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে।
5) বিজেপির আশু লক্ষ্য মমতাকে জাতীয় রাজনীতিতে নির্ণায়ক ভূমিকা হওয়া থেকে আটকানো। তার জন্য বিজেপি এমন অনেক পরিকল্পনা করছে, ভবিষ্যতে আরও করবে, যাতে মমতাকে বাংলার রাজনীতিতে ব্যস্ত রাখা যায়। কিন্তু এসব করতে গিয়ে বাংলা তথা দেশের মানুষের কাছে বিজেপির গ্রহণযোগ্যতা আরও কমতে পারে।
কৃষি আইন প্রণয়ন কিংবা প্রত্যাহার, সংসদে বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন বোধই করল না শাসক দল বিজেপি।
প্রকৃত বিরোধী দল বিজেপি যখন কিছুটা হতোদ্যম, তখন রাজ্যপালকেই কি রাজনৈতিক বিরোধিতার দায়িত্ব নিতে হল?
সব বিষয়েই ফেল করা সরকার শুধু প্রচারের নিনাদে প্রথম!
দমনমূলক UAPA আইনের ব্যবহারই হচ্ছে বিনা বিচারে সরকার বিরোধীদের আটকে রাখার জন্য।
জনমতের চাপে কোভিডের টিকা নিয়ে অযৌক্তিক স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে বাধ্য হল মোদী সরকার।
স্কুল খুলে উঁচু ক্লাসের ক্লাস শুরু হতে চলছে পশ্চিমবঙ্গে। ছোটদের লেখাপড়ার কী হবে?