আবার পশ্চিমবঙ্গ ভাগ করে ছোট রাজ্যের দাবি উঠছে। দাবি তুলছেন কেন্দ্রের শাসকদলের নির্বাচিত সাংসদরা। বাংলার মানুষ কী চায়? এই বিষয়ে গত 22 জুন (মঙ্গলবার) www.4thpillarwethepeople.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ী, রজত রায় এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সমীর কুমার দাস উপস্থিত ছিলেন।
1) সামগ্রিকভাবে উত্তরবঙ্গ আলাদা একটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হোক আগে এমন দাবি শুনিনি। গ্রেটার কুচবিহার, গোর্খাল্যান্ডের দাবি শুনেছি। কিন্তু এটা প্রথমবার। অন্যদিকে একইভাবে ঝাড়খণ্ডের দাবি শুনলেও পশ্চিমবঙ্গের এই তিনটে জেলা নিয়ে জঙ্গলমহলের দাবি এই প্রথমবার।
2) বাঙালি জাতীয়তাবাদ যত মাথাচাড়া দেবে তত এই ক্ষুদ্র জাতিসত্তা গুলো জেগে উঠবে। বাঙালি জাতীয়তাবাদ দিয়ে এই সমস্যার সমাধান হবে না। ফলে এই ভাগাভাগি কোথায় থামাতে হবে তা নিজেদেরই স্থির করতে হবে। কখনওই কোনও জায়গায় কোনও একটা গোষ্ঠী এককভাবে থাকতে পারবে না।
3) বিজেপির হিন্দুরাষ্ট্র স্বপ্নপূরণের মাঝে কাঁটা হয়ে রইল পশ্চিমবঙ্গ তাই তারা যেন তেন প্রকারে এই কাঁটা উপড়ে ফেলতে চাইছে। নানান ভাবে সমস্যা তৈরি করে একটা অশান্ত পরিবেশ তৈরি করে নিজেদের দিকে ব্যাপারটা টানতে চাইছে।
4) রাজ্যভাগের কথা বলে বিজেপি খুব সম্ভবত একটা রাজনৈতিক পরীক্ষা করে নিতে চাইছে। বাংলার ভোটে পর্যুদস্ত হওয়ার পর ওদের লক্ষ্য এখন আগামী লোকসভা ভোট। তাই এই ইস্যুটাকে ভাসিয়ে দিয়ে জনমানসে এর প্রতিক্রিয়া পরখ করতে চাইছে বিজেপি।
5) বিজেপির লক্ষ্য যথাসম্ভব আঞ্চলিক রাজ্যগুলিকে ক্ষমতায় ছোট করে আনা। এমনিতেই আমাদের দেশের শাসনকাঠামো কেন্দ্রাভিমুখী।
6) গত তিন দশকে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র সহ অনেক রাজ্যের ভিতরেই ছোট রাজ্য গঠনের দাবি উঠেছে এবং তেলেঙ্গানা, ঝাড়খণ্ডের মতো নতুন রাজ্য তৈরি হয়েছে। এই রাজ্যগুলি গঠনের মূল ভিত্তি ছিল ভাষা৷ কিন্তু অন্য পরিচয়ভিত্তিক রাজ্যগঠনের প্রক্রিয়া শুরু হলে, তাকে সামাল দেওয়া মুশকিল হবে।
7) তৃণমূলস্তরে আরও বেশি করে উন্নয়ন পৌঁছে দিয়ে, স্থানীয় মানুষকে মূলস্রোতের রাজনীতিতে যুক্ত করে এই আপাত বিচ্ছিন্ন দাবিকে জনবিচ্ছিন্ন করা সম্ভব। যেহেতু এই দাবিটা আপাদমস্তক রাজনৈতিক, তাই রাজনৈতিক উপায়েই এর মোকাবিলা করা সম্ভব।
কারা যেন ভালবেসে আড়ি পেতে, সরকারের খুব সুবিধা করে দিয়েছে!
ফেসবুকে পাঁচ লক্ষ রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বেনামে বিজেপির হয়ে প্রচার করেছে!
উত্তরপ্রদেশ সরকারের নতুন জনসংখ্যা নীতিতে নারীর ক্ষমতায়ন কি উপেক্ষিত?
তৃণমূলের রাহুল গান্ধীর প্রতি অনাস্থা আর গোপন নয়। জাতীয় স্তরে বিরোধী ঐক্য কি স্বপ্নই রয়ে যাবে?
দমনমূলক UAPA আইনের ব্যবহারই হচ্ছে বিনা বিচারে সরকার বিরোধীদের আটকে রাখার জন্য।
সংসদীয় গণতন্ত্রের কফিনে সর্বত্র সবাই পেরেক পুঁতছেন।