নতুন তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদে দশ মাস ধরে চলছে কৃষক আন্দোলন। সড়কপথে অবরুদ্ধ দেশের রাজধানী। উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটের আগেই বিজেপির বিরুদ্ধে কৃষক মহাসম্মেলনে এক হওয়ার ডাকে বিপাকে বিজেপি। এই বিষয়ে গত 7 সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) 4thpillarwethepeople.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় সাংবাদিক অনিকেত চট্টোপাধ্যায়, রজত রায় এবং অর্থনীতিবিদ অশোক সরকার।
1) এখনও অবধি 15টিরও বেশি মিটিং হয়েছে কিন্তু সমস্যার কোনও সমাধান পাওয়া যায়নি। এর প্রধান কারণ হচ্ছে বিজেপি যেহেতু তিনশোর বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় এসেছে, তাই তারা কৃষকদের কথা ততটাই মানছে, যতটা তাদের নিজেদের জন্য দরকারি। তাই বাধ্য হয়ে কৃষকরা রাজনীতির পথ বেছে নিল, এবং তারা এটা বুঝেছে এই সমস্যার সমাধান করতে হলে আগে বিজেপিকে সরাতে হবে। এখন তারা সেই চেষ্টাই করছে।
2) দেশের বিভিন্ন জায়গায় এখন নতুন ধরনের মহাজনি কারবার দেখা যায়, কেউ ট্রাক্টর ভাড়া দেয় তো কেউ পাম্প।
3) উত্তর পশ্চিম বিশেষত পাঞ্জাবের কৃষকদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের তুলনাই চলে না। এখানকার কৃষকরা যেখানে লাভ ক্ষতি সামান্য ক’টা টাকায় মাপে সেখানে পাঞ্জাবের কৃষকরা দামী দামী গাড়িতে মাপে। পশ্চিমবঙ্গের প্রান্তিক কৃষকদের সংখ্যা প্রায় 92 শতাংশ, সেখানে পাঞ্জাবের প্রান্তিক কৃষকদের সংখ্যা 35 শতাংশ।
4) কৃষক আন্দোলন এখন নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় গণ্ডিবদ্ধ হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে নানা রাজনৈতিক উপাদানও এসে মিশছে। চলমান কৃষক আন্দোলনের প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে বিশেষ দেখা যায়নি। কেননা পাঞ্জাব বা উত্তর ভারতের কৃষকদের সঙ্গে এই রাজ্যের কৃষকদের চরিত্রগত ফারাক আছে।
5) পশ্চিমবঙ্গের সব ক'টি দলই চায় কৃষক আরও গরিব থাকুক। এখাকার কৃষকদের দাবিদাওয়ার মধ্যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা MSP-র প্রসঙ্গই আসে না। রাজ্য সরকার কৃষকদের সন্তুষ্ট করতে কিছু নগদ তুলে দেয়।
6) রাজ্যের অধিকাংশ গ্রামে কাছেপিঠে কোনও কিসান মান্ডি নেই। তাই এই রাজ্যের ধানের বেশিরভাগটাই চালকলে যায়। সরকার স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং সমবায়ের মাধ্যমে খুব অল্প পরিমাণ ধানই কৃষকদের থেকে সংগ্রহ করে। পাঞ্জাব বা জাঠ বলয়ের কৃষকরা কিন্তু তাদের উৎপাদিত পণ্য সরাসরি সরকারি কিসান মান্ডিতে বিক্রি করে।
7) পশ্চিমবঙ্গের ছোট জোত কৃষি উন্নয়নে একটা বড় অন্তরায়। বাম সরকারের কাছে বিশেষজ্ঞরা জোতগুলো মিলিয়ে বড় জমি তৈরি করার প্রস্তাব দিয়ে রিপোর্ট দিয়েছিলেন। কিন্তু বাম নেতারা বলেছিলেন, সেটা করলে তাদের ভূমিদানকারী ভূমিকাটা নষ্ট হবে।
8) পশ্চিমবঙ্গের কৃষক মূলত নিজে খেয়ে মেখে পরার জন্যই চাষ করে। আর উত্তর ভারতের কৃষকরা উদবৃত্তের দাবিদাওয়া নিয়ে লড়াই করেন। এখন আমাদেরই ঠিক করতে হবে, আমরা কি পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের এইটুকু পাইয়ে দিয়েই সন্তুষ্ট রাখব?
ত্রিপুরার মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসায় কোথায় সিবিআই?
কেন্দ্র-রাজ্য সর্বস্তরেই কি মানবাধিকার কমিশন এখন সরকারের একটি দফতর?
অকারণে অযৌক্তিকভাবে স্কুলে গরমের ছুটি দিয়ে লেখাপড়ার কতটা সর্বনাশ হচ্ছে?
সুষ্ঠু এবং অবাধ ভোট করানো হবে কথা দিয়েও বারবার কেন তা রাখা যাচ্ছে না?
রাজ্যে স্কুল খোলার পরে কী, তা নিয়ে এখনও সরকারি স্তরে চিন্তাভাবনা কোথায়?
কোভিড টিকাকরণ নিয়ে বিভ্রান্তি চরমে।