বিপুল সাড়া পাওয়া যাচ্ছে রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার প্রোগ্রামে। বিধানসভা ভোটে সুফল পেয়েছে রাজ্যের শাসক দল। আরও কত দূর প্রসারত হতে পারে এই ধরনের প্রকল্প? অর্থনীতির দিক থেকে কি স্থায়ীভাবে চালানো সম্ভব? এই বিষয়ে গত 2 সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) 4thpillarwethepeople.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় অর্থনীতিবিদ প্রসেনজিৎ বসু, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সমীর কুমার দাস ও সাংবাদিক অনিকেত চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।
1) মহামারীর জন্য যাঁরা অসংগঠিত ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত তাঁরা এবং তাঁদের রুজিরুটি মারাত্মক ভাবে আক্রান্ত হয়েছে। ফলে সেখানে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার, স্বাস্থ্য সাথী, লক্ষ্মী ভান্ডার এই ধরনের প্রকল্পগুলো এই অসংগঠিত ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত মানুষগুলোকে অনেকটাই সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে, সেটা গ্রামের হোক বা শহরের। বিশেষত কেন্দ্রীয় সরকার যখন ক’মাস রেশন দেওয়ার পর আর কোনওরকম সাহায্যের উদ্যোগ নেয়নি, সেখানে রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প অবশ্যই ভাল।
2) বর্তমান রাজ্য সরকার যে ট্রেন্ডটা চালু করে দিয়েছে যে জনগণের সরকারের থেকে অনেক কিছু পাওয়ার আছে এবং সরকার তা দেবে, বা দিতে বাধ্য। সেটা কিন্তু আগামীতে যে সরকারই আসুক না কেন তাঁদের সেটা চালিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
3) এই প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে যাঁদের আয় নেই, বা চাকরি নেই তাঁদের একটা ন্যূনতম সাম্মানিক দিয়ে বেঁচে থাকার ব্যবস্থা রাজ্য সরকার করছে। এটা রাষ্ট্রের কর্তব্য।
4) মুখ্যমন্ত্রী দুয়ারে সরকার চালু করে অনেকের সুবিধা করেছেন বটে কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে এটা যেন বন্ধ করে না দেওয়া হয়, তাহলেই কিন্তু জনগণের প্রশ্নের সামনে তাঁকে পড়তে হবে।
5) লক্ষ্মী ভান্ডারের মধ্য দিয়ে বাড়ির মহিলাদের হাতে টাকা তুলে দেওয়া হচ্ছে, অর্থাৎ তাঁদের স্বনির্ভর করা হচ্ছে, যাতে বাড়ির পুরুষের কাছে তাঁদের টাকা চাইতে না হয়। এর ফলে যেমন মহিলা ভোট ব্যাংক সুরক্ষিত হচ্ছে তৃণমূলের তেমনই মহিলারা অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
6) একটি 5-6 জনের পরিবারে 500-1000 টাকাটা খুবই যৎসামান্য। রাজ্য তার সীমিত ক্ষমতায় এইটুকুই দিতে পারছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। বিনামূল্যে রেশন ছাড়াও একটি মাঝারি মাপের সংসার চালাতে ন্যূনতম 10,000 টাকা অনুদান প্রয়োজন।
7) স্মরণে রাখতে হবে সরকার কিন্তু এখানে কোনও দয়াদাক্ষিণ্য দেখাচ্ছে না। জনগণের টাকা জনগণকেই দিচ্ছে। সে অর্থে এটা মানুষের অধিকার। উন্নত বিশ্বের দেশগুলি, এমনকি আমেরিকাও কোভিডকালে কাজ হারানো নাগরিকদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছে।
8) এই ধরনের প্রকল্পকে ভাতা বা ভিক্ষা বলা অর্থহীন। গ্রামের দিকে এই 500 টাকার মূল্যও অসীম। তাছাড়া যাদের কিছুই নেই, তাদের কাছে এই টাকাটাও অনেক। তাই এত মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে এই প্রকল্পের সুবিধা নিচ্ছেন।
9) দুয়ারে সরকার প্রকল্পে শুধু জনগণের হাতে নগদ তুলে দেওয়ার বন্দোবস্ত হচ্ছে না। একইসঙ্গে বহু সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন মানুষ। সরকারের বিরুদ্ধে অভাব অভিযোগও জানানো যাচ্ছে এখানে। সরকারের এই বিকেন্দ্রীকরণ ভাল একটা দিক।
কোভিডে রাজ্যগুলিকে কীসের ভিত্তিতে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছিল? উত্তর নেই কেন্দ্রীস সরকারের কাছে।
দেশের প্রধান বিরোধী দলের মান্যতা কংগ্রেসকে দিতে নারাজ তৃণমূল।
বিয়ে নিয়ে অনেকেরই অনেক ভুল ধারণা থাকে, সেগুলোই এই শর্ট ফিল্মটি চোখে আঙুল দিয়ে যেন দেখিয়ে দিল।
অনলাইনে ক্লাসে সাবেক মাস্টারমশাই দিদিমণির জায়গা নিচ্ছে দানবাকৃতির মুখবিহীন এডুটেক সংস্থা।
পরিবেশ বিপর্যয়ের ফলে মহাদুর্যোগ হবে ঘনঘন, প্লাবিত হবে কলকাতার মতো বহু শহর, ভারতের অজস্র জনপদ।
তৃণমূলের রাহুল গান্ধীর প্রতি অনাস্থা আর গোপন নয়। জাতীয় স্তরে বিরোধী ঐক্য কি স্বপ্নই রয়ে যাবে?