১৭৪ দিন পর সোমবার ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে যাত্রী সাধারণের জন্য খুলে গেল কলকাতা মেট্রো। তবে যখন তখন মেট্রোতে সফর করা আপাতত করতে পারবেন না। সফরের আগে বেশ কিছু নিয়ম কানুন মেনে তবে মিলবে ট্রেনে ওঠার অনুমতি। কোন সময়ে আপনি যাত্রা করতে চান, সে সময়ের স্লট আগে থেকে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। স্লট খালি থাকলে তবেই পাতাল প্রবেশ সম্ভব হবে। স্মার্ট কার্ড না থাকলেও যাত্রা নিস্ফলাই থেকে যাবে। কারণ করোনার আবহে টোকেনের লেনদেন আপাতত বন্ধই থাকছে। এ ছাড়া মাস্ক-স্যানিটাইজারের বাধ্যবাকতা তো আছেই। হয়তো সে কারণেই লক্ষ লক্ষ মানুষের লাইফ লাইন, পুজোর আগে জমাট ভিড়ে ঠাসা কলকাতা মেট্রো জনবিরল, শুনশান। হাতে গোনা জনাকয়েক যাত্রী ওঠানামা করলেন। বিকেলের ট্রেনে সাধারণত ভিড় একটু কম থাকে বটে, তবে তার এমন শান্ত রূপ শহরবাসী সাম্প্রতিক কালে কখনই স্মরণ করতে পারবেন না। আর শুধু মেট্রো কেন, বিকেলের ব্যস্ত রাস্তার ছবিও কিন্তু অমিল।
স্টেশনে পুলিশের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রত্যেক যাত্রীর ই-পাস দেখে তবেই স্টেশনে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছিলেন তাঁরা। সাফাই কর্মীদেরও নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর প্ল্যাটফর্ম, লিফ্ট, এসকেলেটারের হাতল বা বসার সিট পরিষ্কার করতে দেখা গিয়েছে। প্রতি দিন ১ লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। এমন সময় মেট্রোয় স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে কড়াকড়ি দেখে যাত্রী সাধারণ আস্বস্তই হবেন। ব্যবস্থাপনা এবং নিয়ন্ত্রণের দিক থেকে প্রথম দিনে কলকাতা মেট্রো সসম্মানে উত্তীর্ণ। রোগজীর্ণ শহরকে ফের ছন্দে ফেরাতে এটাই আপাতত প্রথম পদক্ষেপ। তবে মারণ রোগের ভয়ে এবং ওয়র্ক ফ্রম হোমে ঘরবন্দি শহরের ছন্দে ফিরতে আরও কিছু সময় লাগবে। পথঘাটের চিত্রই সে কথা বলে দিচ্ছে।
যে কোনও চলে যাওয়া শূন্যতা তৈরি করে যায়। এস পি-র শূন্যতা ভরাট হওয়ার নয়।
আমরা হয়তো দেখতে পাইনি, কিন্তু এই অভুক্ত মানুষগুলো গোলাপি চাঁদকে একটা গোটা রুটিই দেখেছে।
এঁরা ঘুমের সুযোগ পান না এ কথা তাঁদের অতি বড় বন্ধু বা সমর্থকও বলতে পারবেন না। কিন্তু সুযোগ থাকা সত্ত
আন্দোলনও হল, আবার চিনকে রামচিমটিও দেওয়া হল। বেশি কথা বলতে এলে পরিষ্কার বলে দাও, আমরা তোদের পকেটে নিয়
পেটের জ্বালায় মায়ের বুকে হয়তো একটু আশ্রয় খুঁজছিল শিশু মন।
গরুর পেছনে গ্লাস নিয়ে ঘোরা মহাপুরুষদের মুখে বাণী নেই। কষ্টে প্রাণটা ফেটে যাচ্ছে।