ভবানীপুরে উপনির্বাচনের প্রচার পর্বে প্রকাশ্যেই তিক্ত কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক। জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি বিরোধিতার প্রধান মুখ হিসেবে মমতার কথা বলছেন তৃণমূলের নেতারা। রাহুল গান্ধীর প্রতি অনাস্থাও আর গোপন নয়। জাতীয় স্তরে বিরোধী ঐক্য কি স্বপ্নই রয়ে যাবে? সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় সাংবাদিক সুমিত মিত্র, রজত রায় ও শিখা মুখার্জি উপস্থিত ছিলেন।
1) মমতা ব্যানার্জি ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর লক্ষ্য এবার দিল্লি। এবং তিনি সেটাকেই পাখির চোখ করে এগোতে চাইছেন এবং জোটের ডাক দিয়েছেন। কিন্তু কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে কি সেই জোট সম্ভব? এটা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে, পাশাপাশি মমতা কি আদৌ সর্বভারতীয় স্তরে মুখ হয়ে উঠতে পারবেন শেষ পর্যন্ত? এই প্রশ্নগুলো থেকেই যাচ্ছে।
2) মমতা ব্যানার্জির ইচ্ছে বা স্বপ্নটাই শেষ কথা নয়, শেষ কথা বলবে আসন সংখ্যা। ফলে এটাই অনেক সময় পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির বিরুদ্ধে যাবে।
3) এর আগে অনেকেই কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ করেছিল কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। এবারও কি তাই হবে? মমতা তাঁর রাজ্যে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে যতটা সফল গোটা দেশেও কি একইভাবে সফল হতে পারবেন?
4) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে এবং তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসকে কংগ্রেস দলের আদি ঘরানার যোগ্য উত্তরাধিকার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। বোঝাতে চান বিজেপি বিরোধিতায় কংগ্রেস নয়, তিনিই নির্বিকল্প মুখ।
5) মমতা রাহুল গান্ধীকে বিশেষ ‘স্পেস’ দিতে চাইছেন না। এদিকে কংগ্রেস দলের মধ্যেও রাহুলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে 23 জন প্রবীণ নেতা বিদ্রোহ করেছেন। এই নেতাদের অনেকের সঙ্গেই মমতার খুব ভাল সখ্য আছে।
6) রাহুল যে দক্ষ রাজনীতিক নন, তা প্রমাণিত হয়ে গেছে। কিন্তু শুধু রাহুল গান্ধীকে নিয়ে তো কংগ্রেস নয়? সারা ভারতে কংগ্রেসের সংগঠন ও রাজনৈতিক অস্তিত্ব আছে, ফলাফল যেমনই হোক না কেন। তৃণমূলের মতো আঞ্চলিক দল কি তার বিকল্প হতে পারে?
7) যে সকল রাজ্যে কংগ্রেস বিজেপির সরাসরি লড়াই হবে, সেখানে আঞ্চলিক দলগুলির কোনও ভূমিকা নেই। তাছাড়া তৃণমূল বড়জোর বাংলার সবক'টি লোকসভা আসন ও আশেপাশের রাজ্যের কিছু আসন পেতে পারে। কিন্তু এতে সরকার গঠন সম্ভব নয়।
8) কংগ্রেসকেও দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কড়া হাতে মোকাবিলা করতে হবে। না হলে শরিক বা জোটসঙ্গীরা বারংবার চাপ দেবে। রাজস্থানেই যেমন পাইলটের কংগ্রেস আর গহৌলতের কংগ্রেস— এই দুই ভাগে কংগ্রেস আড়াআড়ি বিভক্ত হয়ে গেছে।
ভারতে সর্ববৃহৎ খোলামুখ কয়লাখনি দেউচা পাচামিকে কেন্দ্র করে বাংলা উন্নয়নের স্বপ্ন দেখছে।
উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটের আগেই বিজেপির বিরুদ্ধে কৃষক মহাসম্মেলনে এক হওয়ার ডাকে বিপাকে বিজেপি।
5 মিনিটে জমির দাম দু' কোটি থেকে 18 কোটি, রামের নামে সবই চলে?
অনলাইনে ক্লাসে সাবেক মাস্টারমশাই দিদিমণির জায়গা নিচ্ছে দানবাকৃতির মুখবিহীন এডুটেক সংস্থা।
সুষ্ঠু এবং অবাধ ভোট করানো হবে কথা দিয়েও বারবার কেন তা রাখা যাচ্ছে না?
কোভিডে রাজ্যগুলিকে কীসের ভিত্তিতে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছিল? উত্তর নেই কেন্দ্রীস সরকারের কাছে।