তৃণমূলের পথে হেঁটেই কি কলকাতা পুর নির্বাচনে সাফল্য খুঁজছেন বামপন্থীরা? এক দশক আগে পর্যন্ত আন্দোলনরত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতি পদে বলতেন, ‘পথই আমাদের পথ দেখাবে’। বামফ্রন্টের কলকাতার এবারের পুর নির্বাচনের ইস্তাহারে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘রাস্তাই একমাত্র রাস্তা’। ধর্মতলায় লেনিন মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে তাকে সাক্ষী রেখে এই শপথ নিয়েছে কলকাতা জেলা বামফ্রন্ট। ঠিক যেমন, মন্দিরে গিয়ে বা ইষ্ট দেবতাকে সাক্ষী রেখে তৃণমূলের মতো দলগুলি সাধারণত এ ধরনের কাজ শুরু করে!
কলকাতা জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক কল্লোল মজুমদার বলেছেন, ‘দুর্দশায় থাকা মানুষ আমাদের রাস্তায় দেখতে চাইছেন, নির্বাচনের জন্য ইস্তাহার আমরা তাই রাস্তায় দাঁড়িয়েই প্রকাশ করলাম।’ বিষয়টা এমন যেন দুর্দশায় থাকা মানুষগুলো না চাইলে তাঁরা রাস্তায় নামতেন না!
দলীয় নেতৃত্বকে রাস্তায় দেখতে চাইছে মানুষ, এই ভাবনা নিয়ে বামফ্রন্ট কলকাতা পুর নির্বাচনে লড়তে চলেছে এমন একটি দলের সঙ্গে, যারা ইতিমধ্যেই ব্যাপকভাবে রাস্তায় রয়েছে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস কলকাতার প্রতিটি ওয়ার্ডে অনেক আগে থেকেই স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, দুয়ারে সরকারের মতো প্রকল্প ও কলকাতার ক্লাবগুলিকে পুজোতে অনুদান দিয়ে প্রশাসনিক ও দলগতভাবে রাস্তায় রয়েছে। তাতে কত মানুষ সহায়তা পাচ্ছেন বা পাচ্ছেন না সেটা আলাদা কথা। তবে মানুষের পাশে থাকার প্রচারে বামেদের চাইতে তৃণমূল যে অনেক মাইল এগিয়ে আছে, সেটা চর্মচক্ষে দেখা যাচ্ছে।
তৃণমূলের হাতে কলকাতা বিপর্যস্ত। এটাই বামেদের নির্বাচনী ইস্তাহারের মূল কথা। তাই ব্যর্থ তৃণমূলের হাত থেকে কলকাতা পরিচলনার স্টিয়ারিং বামদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে বামফ্রন্টের নির্বাচনী ইস্তাহারে। বামেদের অভিযোগ, কলকাতার পরিবেশ, নিকাশি, স্বাস্থ্য সব বিপন্ন। প্রোমোটারদের বেআইনি নির্মাণ, জলাভূমি বুজিয়ে বেআইনি নির্মাণের জন্য কলকাতা এখন প্রোমোটাররাজ ও সিন্ডিকেটরাজের লালসার শিকার। এর থেকে কলকাতাকে বাঁচাতেই হবে।
এখন প্রশ্ন, বামফ্রন্ট যখন কলকাতা পুরসভার দায়িত্বে ছিল, তখন কি বেআইনি নির্মাণ হয়নি? নিকাশি ব্যবস্থা কি তখন দারুন উন্নত ছিল? রাস্তায় কি বৃষ্টি হলে জল জমত না? বাম আমলের তুলনায় এখন বেআইনি নির্মাণ, জলাভূমি বুজিয়ে অবৈধ নির্মাণ হয়তো বেশি হচ্ছে, সেটা বাস্তব। তাই বলে বাম আমলে বেআইনি নির্মাণ, জলাভূমি বুজিয়ে অবৈধ নির্মাণ, সিন্ডিকেটরাজ, প্রমোটাররাজ ছিলই না, এটা শুনে কলকাতার মানুষ মুচকি হাসবেন।
পুজোর সময় পুরসভার গাফিলতির ফলেই কলকাতায় ডেঙ্গু সংক্রমণের বিপদ বাড়ল?
নোটবন্দির পাঁচ বছর পার। এখনও মানুষের ভরসা নগদ লেনদেনেই।
কলকাতা পুর নির্বাচনে বামফ্রন্টের ইস্তাহার দেখে মনে হচ্ছে তৃণমূলের সাফল্য অনুসরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
গাড়ির গতি কমিয়েই কলকাতার পথ দুর্ঘটনা ও সেই কারণে মৃত্যু রোখা যায়, মত বিশেষজ্ঞদের।
নজরে করোনা, আড়ালে বাড়ছে না তো ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া?
Retro Fitting পদ্ধতিতে ডিজেল চালিত বাসকে সিএনজিতে রূপান্তরিত করায় মত নেই বিশেষজ্ঞদের।