কাজের চাপ থেকে মনকে হাল্কা করতে কিংবা বাড়িতে হঠাৎ করে কেউ এসে পড়লে এখন আর কোনও অসুবিধা হয় না। সরাসরি নানা অ্যাপ থেকে খাবার অর্ডার করা যায়। গোটা বিশ্বে এখন একই চিত্র। কিন্তু যখন এই খাবার পৃথিবীর সীমারেখা ছাড়িয়ে মহাকাশে পাড়ি দেয়, তখন? হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। অর্ডার করা খাবার পৌঁছে গিয়েছে খাস মহাকাশ স্টেশনেও!
প্রথম মহাকাশে খাবার পাঠানো হয়েছিল 2001 সালে। পিৎজাহাট ও রাশিয়ার খাদ্যবিজ্ঞানীদের যৌথ উদ্যোগে কয়েক মাস ধরে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রথম মহাকাশে পিৎজা পাঠানো হয়। শোনা যায়, এ ক্ষেত্রে খরচ হয়েছিল প্রায় সাড়ে 8 কোটি টাকা। পিৎজাটির ব্যাস ছিল 6 ইঞ্চি। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের অনুমোদিত ও বেশ কিছু দিন সতেজ থাকে এ রকম কিছু উপাদান দিয়ে তা বানানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন : কক্ষপথ বর্জ্যে ভারাক্রান্ত, চিন্তা বাড়ছে পৃথিবীর
সম্প্রতি ‘উবার ইটস জাপান’ মহাকাশে খাবার পাঠিয়েছে। সংস্থাটি কিন্তু তাদের সাধারণ ডেলিভারি সদস্যের মাধ্যমে তা ওই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাঠায়নি। জাপানের ধনকুবের ইয়াসাকু মায়েজাওয়ার সয়ুজ মহাকাশযানে করে ‘রেডি টু ইট’নামে জাপানি খাবার ভর্তি টিন ‘উবার ইটস’ ব্যাগে নিয়ে গিয়েছিলেন।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে 12 দিনের মিশনের উদ্দেশ্যে তাঁর এই যাত্রা। খাবারগুলি সবই জাপানের। মিসোতে (সয়াবিনের সস) রান্না করা ম্যাকেরেল, মিষ্টি সসে সেদ্ধ গরুর মাংস, বাঁশের টুকরোয় সেদ্ধ চিকেন, শুয়োরের মাংস-সহ অন্যান্য সুস্বাদু পদ। পৃথিবী ছাড়ার 8 ঘণ্টা 34 মিনিট পর ওই স্টেশনে পৌঁছন মায়েজাওয়ার। ‘উবার ইটস’ এই মিলকে ‘ওয়েলকাম ব্রিক’ নাম দিয়েছে। ইয়াসাকুর এই 12 দিনের খরচও নেহাত মন্দ নয়, প্রায় 608 কোটি টাকা। ওই খাদ্য সংস্থাটি এই মাইলস্টোন স্পর্শ করার সেলিব্রেশন হিসেবে 10 ও 20 ডলার ছাড় এবং 13 থেকে 19 ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রথম 24 হাজার 800 জনকে অর্ডারে বিশেষ সুবিধা দিয়েছিল।
এককথায় বর্ণময় উদযাপন!
উবার ইটসের মহাকাশ অভিযান
প্রচারের বিপুল ঢক্কা নিনাদ সত্ত্বেও মোদী জমানায় সাত বছরে ভারত দুর্নীতির নিরিখে একই জায়গায় রয়ে গিয়েছে
ম্যানুয়াল স্ক্যাভেন্জারদের জীবনযুদ্ধের অমানবিক ও অবর্ণনীয় সংগ্রাম।
ভারতে অপুষ্টি দূরীকরণে খাদাসংক্রান্ত বিল ও প্রকল্পগুলি কতটা কার্যকর?
পূর্ব কর্ণাটকে মাটির জলে ইউরেনিয়াম!