আগেকার অন্য পরীক্ষার নম্বর দিয়ে এইবার মূল্যায়ন করা হচ্ছে টেন টুয়েলভ-এর ফাইনাল পরীক্ষার। নানান প্রশ্ন থাকলেও এই মুহূর্তে অন্য পথ নেই। এই মূল্যায়নের ভিত্তিতে কীভাবে উচ্চতর শিক্ষায় ভর্তি হবে? এই বিষয়ে গত 18 জুন (শুক্রবার) www.4thpillarwethepeople.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় শিক্ষক পার্থপ্রতিম রায়, পার্থ ঘোষ এবং অলকানন্দা ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।
1) মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ণ হবে তাদের নবম শ্রেণীতে পাওয়া নম্বরের 50শতাংশ এবং দশম শ্রেণীর প্রজেক্টে প্রাপ্ত নম্বরের 50 শতাংশ নিয়ে হিসেব করে নম্বর দেওয়া হবে। এবং উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে মাধ্যমিকের যে চারটি বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বর রয়েছে তার 40 শতাংশের সঙ্গে একাদশ শ্রেণীর থিওরি পেপারের প্রাপ্ত নম্বরের 60শতাংশ নম্বর যোগ করে মূল নম্বর দেওয়া হবে।
2) স্কুলগুলোর হাতে প্রায় 70শতাংশ নম্বর রয়েছে। ফলে তারা কোন নম্বর পাঠাচ্ছে তার উপর রেজাল্ট কেমন হবে সেটা নির্ভর করছে।
3) সিবিএসই বোর্ড যেভাবে মূল্যায়ন করছে সেটা অনেক বেশি বৈজ্ঞানিক পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নেওয়া সিদ্ধান্তের থেকে।
4) স্কুলজীবনে ধারাবাহিক মূল্যায়ন প্রয়োজন ছাত্র ছাত্রীদের তাদের উচ্চশিক্ষার জন্য।
5) কোভিড পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের মূল্যায়ন নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা করার সময় এসেছে। ঢাকঢোল পিটিয়ে নির্দিষ্ট কয়েকটা দিনে সকল ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে পরীক্ষার চেয়ে তাদের ধারাবাহিক মূল্যায়ন করে যাওয়া বেশি প্রয়োজন।
6) সিবিএসই-র মতো বোর্ড পড়ুয়াদের পাশাপাশি স্কুলগুলোরও একটা মূল্যায়ন করে। পশ্চিমবঙ্গ বোর্ডে তেমন ব্যবস্থা নেই। ফলে অভিন্ন কোনও নীতি না থাকা বিভিন্ন স্কুল তার পড়ুয়াদের বিভিন্ন ভাবে মূল্যায়ন করে। স্কুলগুলির পঠনপাঠনের মান যাচাই এবং পড়ুয়াদের শেখার মূল্যায়ন হয় না। প্র্যাকটিকাল বা মৌখিক পরীক্ষায় স্কুলগুলি নিজের পড়ুয়াদের প্রচুর নাম্বার দেয়।
7) যে পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করার কথা বলা হচ্ছে, তাতে অনেক পড়ুয়ারই বিষয়ের ওপর সুস্পষ্ট ধারণা গড়ে উঠবে না। অস্পষ্ট ধারণা নিয়ে তারা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবে। এখন ইউজিসি সিবিসিএস মডেলে পঠনপাঠন আগের তুলনায় কঠিন হয়েছে। তাই বিষয়ের ওপর জোর না থাকলে তা পড়ুয়া এবং শিক্ষক দু'জনের জন্যই অসুবিধার।
8) 2019-এর পর পড়ুয়াদের সেভাবে কোনও মূল্যায়ন হয়নি। মিড-ডে মিল দেওয়ার সময় স্কুলগুলি থেকে যে অ্যাক্টিভিটি টাস্ক দেওয়া হত, তাতে ভাল সাড়া পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু তখন পর্ষদ বা সংসদ এইগুলোর ভিত্তিতে মূল্যায়ন করার কথা বলেনি। এই সিদ্ধান্তটা আগে নেওয়া যেত।
9) যে কোনও পরিস্থিতিতেই পরীক্ষার কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থায় নাম্বার-কেন্দ্রিকতা প্রকৃত মেধাবী পড়ুয়াকে খুঁজতে ব্যর্থ। বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রকৃত মেধাবী পড়ুয়াকে ঠিক খুঁজে নিতে পারে। সকল পড়ুয়াই কোনও না কোনও ভাবে প্রতিভাধর। কিন্তু আমরা অনেকেরই সেই দিকগুলোর সন্ধান পাই না।
বিয়ে নিয়ে অনেকেরই অনেক ভুল ধারণা থাকে, সেগুলোই এই শর্ট ফিল্মটি চোখে আঙুল দিয়ে যেন দেখিয়ে দিল।
দেশভাগের যন্ত্রণা কি উদযাপনের বিষয়? কেন্দ্রীয় সরকারের হঠাৎ কেন এই ইতিহাস প্রীতি?
কোভিড পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে জনগণের মতামত জানতে চেয়ে নজির গড়ল বাংলা।
ব্রিটিশ আমলে মহাত্মা গান্ধীকে যে আইনে বন্দি করা হত, আজও কি তার প্রয়োজন আছে?
ভারতের ঘরের পাশেই চূড়ান্ত মৌলবাদী তালিবানের শাসন। কী প্রভাব পড়বে আমাদের দেশে ও দেশের বাইরে?
বিয়ে প্রেমের গালগল্প ছাড়া বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নুসরত জাহানের অবদান কী?