×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • শিক্ষক নিয়োগে অনন্ত দুর্নীতি

    4thPillar WeThePeople | 07-07-2021

    সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এবং প্রধান শিক্ষক চন্দন মাইতি।

    বছরের পর বছর কেটে যায়, একটা দুর্নীতিমুক্ত স্বচ্ছ শিক্ষক নিয়োগের তালিকা তৈরি করতে পারে না সরকার। পড়াশোনা গোল্লায় যাক, শিক্ষক নিয়োগের ব্যবসা চলবে - এটাই বাংলার ভবিতব্য? এই বিষয়ে গত 5 জুলাই (সোমবার) www.4thpillarwethepeople.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এবং প্রধান শিক্ষক চন্দন মাইতি উপস্থিত ছিলেন।

     

     

    1) শিক্ষার সঙ্গে সিলেবাসের কোনও সামঞ্জস্য নেই। এটা অত্যন্ত সুকৌশলে করা হচ্ছে যাতে দুর্বল একটা প্রজন্ম তৈরি হয়, যারা সরকারের কাজকে প্রশ্ন করতে সাহস পাবে না। অন্ধ আনুগত্যে বিশ্বাসী হবে।


    2) কলকাতা হাইকোর্ট যখন স্বজনপোষণ, দুর্নীতির অভিযোগে মেধা তালিকা বাতিল করেছে, সরকার কিন্তু কখনওই তার বিরোধিতা করেনি। অর্থাৎ সরকার সেটা মেনে নিয়েছে যে নিয়াগপ্রক্রিয়ায় দুর্নীতি হয়েছে।


    3) এভাবে নিয়োগের ফলে প্রকৃত মেধাবীরা অনেকেই অবসাদে চলে যাচ্ছেন, আত্মহত্যা করছেন। তাঁদের শিক্ষকতার স্বপ্ন, সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে, ফলে হতাশা ঘিরে ধরছে। সরকারেরই তো দায়িত্ব সেটা রোধ করার।


    4) গ্রামের দিকে বহু স্কুলে পড়ুয়াদের অনুপাতে নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী নেই। একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিক্ষা দফতরে চিঠি লিখে স্কুল বন্ধ করে দিতে বলেছেন। তবু সরকারের তরফে স্বচ্ছ নিয়োগের জন্য কোনও উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।


    5) নিয়োগ প্রক্রিয়াটি আগাগোড়া অস্বচ্ছতায় ভরা। মেধাতালিকায় নাম থাকা পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। দেখা যাচ্ছে লিখিত পরীক্ষায় যারা ভাল ফল করছেন, তাদের ইন্টারভিউতে নম্বর কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আবার লিখিত পরীক্ষায় খারাপ ফল করেও, ইন্টারভিউর নম্বরের জোরে অনেকে মেধাতালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন। মনে হচ্ছে নির্দিষ্ট কিছুজনকে নিয়োগপত্র দিতেই এত আয়োজন।

    6) অন্যান্য পেশায় যে কোনও মানের লোক নিয়োগ হলেও এক রকম মানা যায়, কিন্তু শিক্ষতার ক্ষেত্রে সেটা কখনই কাম্য না। এর আগে কখনই নিয়োগকে কেন্দ্র করে কোর্টকে মধ্যস্থতা করতে হয়নি। এখন হচ্ছে। ছাত্র ছাত্রীরাই কোর্টে যাচ্ছেন।

    7) সরকারি স্কুলের শিক্ষক বলছেন, জনৈক পরীক্ষার্থী সাদা খাতায় নিজের নাম লিখে বসে থাকছেন, তারপর হাসিমুখে পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। তিনি হয়তো জানেন, তিনি চাকরি পাবেনই। অবশ্য অনেকে কয়েক লক্ষ টাকা উৎকোচ দিয়েও চাকরি পাননি, তৃণমূল কর্মীদেরও একই অবস্থা।


    8) এইভাবে অযোগ্য কিছু ছেলেমেয়ে অন্যায় উপায়ে শিক্ষকতার চাকরি পেলে, একটা প্রজন্ম পুরো শেষ হয়ে যাবে। এমনিতেই কোভিড, লকডাউনের কারণে বহু পড়ুয়া পড়াশোনার জগৎ থেকে হারিয়ে গেছে, গ্রামে বাল্যবিবাহ বাড়ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ করে, কোভিড বিধি মেনে স্কুল খোলা উচিত সরকারের।


    9) শুধু নিয়োগের ক্ষেত্রেই নয়। শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রে, রোস্টার পদ্ধতিতে এত অনিয়ম আর গড়মিল আছে যে তা নিয়ে কেউ মামলা করলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে। সরকারই পারে স্বচ্ছ মনোভাব নিয়ে এই জটিলতা কাটাতে।


    4thPillar WeThePeople - এর অন্যান্য লেখা


    প্রায় দু'বছর পর কাশ্মীরের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেন প্রধানমন্ত্রী, কী হতে যাচ্ছে কাশ্মীরে?

    পড়াশোনা গোল্লায় যাক, শিক্ষক নিয়োগের ব্যবসা চলবে - এটাই বাংলার ভবিতব্য?

    পানশালা, সিনেমা হল খুলছে, বন্ধ শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সব কিছু খুললে স্কুলের ক্ষেত্রে অসুবিধা কী?

    কাগজপত্রে সর্বত্র অশোক স্তম্ভ, তবু নাকি পিএম কেয়ার্স ফান্ড সরকারি নয়!

    উলঙ্গ রাজাকে সাহস করে কে বলবে যে তার পরনে কাপড় নেই।

    এবারের ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নিয়ে যত না আলোচনা তার চেয়েও বেশি ঝড় কভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদের নিয়ে

    শিক্ষক নিয়োগে অনন্ত দুর্নীতি-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested