ফান্ডের তত্ত্বাবধানে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী, কাগজপত্রে সর্বত্র ব্যবহার করা হচ্ছে অশোক স্তম্ভ, সরকারি সংস্থার কর্মীদের বেতন থেকে সরাসরি কাটা হচ্ছে ফান্ডের টাকা। তবু নাকি পিএম কেয়ারের ফান্ড সরকারি নয়। এর আয়-ব্যয়ের হিসাব কেউ জানতে পারবে না। এ কী বিচিত্র বিধান? সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং সাংবাদিক শিখা মুখার্জি ও অরুন্ধতী মুখোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।
1) পিএম কেয়ার্স ফান্ড, একটি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট যার জন্মলগ্ন থেকেই এফসিআর-এ ক্লিয়ারেন্স আছে। এই প্রথম কোনও এনজিও জন্ম থেকেই এই দু’টো সুবিধা পেল। আগে কিন্তু দেখা যায়নি।
2) পিএম কেয়ার্স ফান্ড আসলে একটা ফ্রড, যেটা আদতে একটি এনজিও; কিন্তু মানুষকে জেনে বুঝে বোঝানো হচ্ছে যে এটি সরকারি ফান্ড।
3) পিএম কেয়ার্স ফান্ড যদি সরকারি তহবিল নাই হবে, তাহলে সেই তহবিলে কেন প্রধানমন্ত্রীর ছবি, অশোক স্তম্ভ ব্যবহার করা হল?
4) পিএম কেয়ার্স ফান্ডের সাইটে Government-এর সংক্ষিপ্ত রূপ Gov কথাটি ব্যবহার করা হয়েছে। যার অর্থ সরকারের তরফে দেখানোর চেষ্টা হয়েছে এটা সরকারি ফান্ড। এমনকি এই তহবিলের ঠিকানাও দিল্লির সাউথ ব্লকের প্রধানমন্ত্রীর দফতর!
5) বিভিন্ন সরকারি সংস্থার থেকে কার্যত জোরপূর্বক অনুদান নেওয়া হয়েছে এই তহবিলের জন্য। বৈদেশিক অনুদান বিশেষ নেই। অনেক সংস্থা কর্মচারীদের বেতন বন্ধ করে অনুদান দিয়েছে।
6) কোভিড মোকাবিলায় তৈরি করা ফান্ড কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় কীভাবে ব্যবহৃত হয়েছে? অক্সিজেন সংকট, হাসপাতালে শয্যার অভাব— কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলাতেই এই ফান্ডের ব্যবহার দেখা যায়নি। তাছাড়া অনেকদিন আগে থেকেই তো প্রধানমন্ত্রী জাতীয় বিপর্যয় তহবিল (PMNRF) রয়েছে। নতুন করে পিএম কেয়ার্সের প্রয়োজন পড়ল কেন?
7) প্রধানমন্ত্রীর নাম ছবি ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ টাকা তোলা হল। কিন্তু টাকার উৎস ও ব্যবহার সম্পর্কে মানুষ কিছু জানতে পারলেন না৷ কোনও সরকারি সংস্থাকে দিয়ে তহবিলের অডিট করানো হল না।
8) কোভিড মোকাবিলায় তৈরি করা ফান্ড কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় কীভাবে ব্যবহৃত হয়েছে? অক্সিজেন সংকট, হাসপাতালে শয্যার অভাব— কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলাতেই এই ফান্ডের ব্যবহার দেখা যায়নি।
9) এই ফান্ড তৈরি আদ্যন্ত চিটিংবাজি। সাধারণ মানুষ ঠকলেন। এই নিয়ে কেউ আদালতে যেতে পারেন। কিন্তু কাজের কাজ কতটা হবে বলা মুশকিল।
প্রায় দু'বছর ধরে শিক্ষা বঞ্চিত রয়ে যাচ্ছে শিশুরা। আগামী দিনে স্কুল খুললে কেমন হবে লেখাপড়া?
আবার পশ্চিমবঙ্গ ভাগ করে ছোট রাজ্যের দাবি উঠছে। বাংলার মানুষ কী চায়?
ট্রেন চলছে চলুক, আনুষ্ঠানিকভাবে দায় নেব না, এটাই কি রাজ্য সরকারের গা বাঁচানো অবস্থান?
দুর্নীতিমুক্ত আদর্শবাদী রাজনীতি করি বলে বুক ঠুকে বলার দম কতজন বিরোধী নেতার আছে?
সমবায় গুলির নিয়ন্ত্রণ রাজ্যের হাত থেকে কেড়ে, মন্ত্রী হিসেবে এবার কেরামতি দেখাবেন অমিত শাহ?
ইউজিসির প্রস্তাবিত ইতিহাস পাঠক্রমে রাজনৈতিক হিন্দুত্ববাদের করাল গ্রাসে তথ্যনিষ্ঠ ভারতের ইতিহাস।