সকাল তখন ৯টা। বেরিয়েছি কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে। বারাসাতে বাস ডিপোর খুব কাছে থাকার জন্য জনবহুল রাস্তায় চলাচল করাই অভ্যাস। আজ কিন্তু চারপাশ বেশ অচেনা লাগল। রাস্তাঘাট শুনশান। কয়েকটি মুদির দোকান আর ওষুধের দোকান ছাড়া প্রায় সব বন্ধ। মাঝে মাঝে দু’ একটা ভ্যানরিক্সা চোখে পড়ল। বাস ডিপোর সামনে গিয়ে দেখলাম সার দিয়ে বাস দাঁড়িয়ে আছে। সপ্তাহের অন্যান্য দিনগুলোতে যেখানে তিল ধারণের জায়গা থাকে না, আজ সেই জায়গাটাই একেবারে যেন নিঝুমপুরী।
সত্যি খুব ভালো লাগল দেখে, আমার শহর সচেতন হচ্ছে। কয়েকটি জায়গায় কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সবাই চেষ্টা করছে নভেল করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে। ভারতের জনসংখ্যা আর ভারতে হাসপাতালে বেডের সংখ্যার অনুপাত হিসাব করলে খুব সহজেই এই রোগের ভয়াবহতা আমরা বুঝতে পারি। কমিউনিটি সংক্রমণ শুরু হলে, মানে বৃহত্তর সমাজে এই রোগ ছড়িয়ে পড়লে তার মোকাবিলা করার পরিকাঠামো আমাদের নেই। আর তাই নিজের এবং নিজের প্রিয়জনদের কথা ভেবেই সবাই মেনে নিয়েছে এই লকডাউন। মানুষ বুঝেছে এই স্তব্ধতা প্রয়োজন আগামী দিনে দেশকে সচল রাখার জন্য।
কিছু ক্ষণ পর হঠাৎই চার পাঁচ জনের জমায়েত চোখে পড়ল। ভাবলাম তবে এখনও কি কিছু মানুষ এর গুরুত্ব বুঝতে পারছে না? তাদের কাছে এই লকডাউন কি অন্যান্য ছুটির দিনের মতোই? কৌতূহলবশত জানতে চাইলাম। যে উত্তরটা পেলাম তা সত্যিই স্বস্তির। পাড়ার বয়স্ক মানুষ, যারা একা থাকে তাদের বাড়িতে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিতেই এই যুবকরা আজ রাস্তায়।
এই রোগের খারাপ দিক আমরা সবাই জানি। কিন্তু একটা রোগ কীভাবে মানুষকে এক করে দিচ্ছে, অপরের জন্য ভাবতে শেখাচ্ছে সেটাও শেখার।
কলকাতাকে গো-হারান হারিয়ে দিল চন্দননগর। সংযমে, শৃঙ্খলায়, দায়িত্ববোধে
আগামী এক থেকে দেড় বছর সময় লাগবে থিয়েটারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে
ইরফান খানের মৃত্যুশোক কাটিয়ে ওঠার আগেই আবার এক নক্ষত্র পতন ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে।
ইছাপুরের মানুষের কাছে রাজা দা বেঁচে থাকবে ওর কাজের মাধ্যমে।
মাত্র ১ টাকার বিনিময়ে নিরন্ন মানুষের হাতে ব্যাগ ভরতি বাজার তুলে দিচ্ছেন ওঁরা।
একটা রোগ কীভাবে মানুষকে এক করে দিচ্ছে, অপরের জন্য ভাবতে শেখাচ্ছে সেটাও শেখার।