দেশের করোনা পরিস্থিতিকে জাতীয় বিপর্যয় বলছে শীর্ষ আদালত, আর সরকার তথ্য গোপন করে প্রধানমন্ত্রীর বন্দনা করে যাচ্ছে। সঙ্কটকালে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ার উপক্রম প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ, অসহায় নাগরিক। এই বিষয়ে গত 28 এপ্রিল (বুধবার) আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ী এবং আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন।
1) গতবছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারবার সতর্ক করার পরও নরেন্দ্র মোদী সচেতন হয়ে কোনও পদক্ষেপ তো নেননি, উল্টে নমস্তে ট্রাম্পের জন্য গুজরাটে একটা বিশাল সমাবেশ করে রোগ আরও ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। পরে সেটা লুকানোর জন্য মাত্র 4 ঘন্টার নোটিশে লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন, এবং তবলিগি জমাতের উপর সেই দোষ চাপানোর চেষ্টা করেন। দেশকে সেই বিপদে ঐক্যবদ্ধ করার বদলে তখন বিভাজন করার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি।
2) যবে থেকে মোদী সরকার ক্ষমতায় এসেছে কেন্দ্রে তবে থেকে তারা মানুষের স্বাধীন কণ্ঠস্বর রোধ করায় সচেষ্ট থেকেছে। আর এই আক্রমণ শুরু হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে।
3) নরেন্দ্র মোদী যা করে চলেছেন তাঁর বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল নেগলিজেন্সির মামলা করা যায়। কিন্তু তার অনেক সমস্যা রয়েছে। সব পেরিয়ে এই দেশে সেই মামলা করা প্রায় অসম্ভব।
4) গোটা বিশ্বের সংবাদমাধ্যমে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে দেশের কোভিড পরিস্থিতি এবং তা মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতা। দেশের মিডিয়া রেখেঢেকে কথা বলে সরকারকে বাঁচাতে নেমে পড়লেও, আন্তজার্তিক মিডিয়ায় দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর বেহাল অবস্থাটা বেআব্রু হয়ে পড়েছে।
5) মহামারী মোকাবিলায় সরকার যখন ব্যর্থ, তখন বিচারবিভাগের ভূমিকাও অত্যন্ত হতাশাব্যাঞ্জক। সুপ্রিম কোর্ট তো সব ব্যাপারেই সরকারকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে যেন। তাই সরকারও বিভিন্ন ইস্যুতে বিপাকে পড়লে তা সুপ্রিম কোর্টের কাছে নিয়ে যেতে বলছে। এর থেকে অবাক ঘটনা আর কিছু হতে পারে না।
6) উত্তরপ্রদেশে জনৈক ব্যক্তি সমাজমাধ্যমে অক্সিজেন চেয়ে পুলিশের রোষানলে পড়েছেন। এমন অপদার্থ, ফ্যাসিস্ট সরকার অতীতে ভারত কখনও দেখেনি। এই অপদার্থ সরকারের জন্যই দেশে এত বড় সংকট।
7) এই পরিস্থিতিতে গণ আন্দোলন সঠিক পথ দেখাতে পারে। অনেকেই বলছেন মোদীর উল্টোদিকে গ্রহণযোগ্য নেতা কই। কিন্তু নেতা তো আর আকাশ থেকে পড়েন না। আন্দোলনের মধ্য দিয়েই নতুন নেতা উঠে আসেন৷ কৃষক আন্দোলন তো কোনও বড় নেতার সাহায্য ছাড়াই এতদূর এগিয়েছে।
হিন্দি আগ্রাসনের থাবা ভোটের মুখে শীর্ষ বিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠানে।
কেন্দ্রের শাসকের এজেন্ট উপাচার্য বিশ্বভারতীকে হিন্দুত্ববাদী করার এজেন্ডা নিয়ে এগোচ্ছেন।
মানুষের পাশে দাঁড়ানোই মিডিয়ার কাজ।
বিদেশ ও প্রতিরক্ষার মধ্যে দলীয় রাজনীতি আনার ফলেই স্বচ্ছতার অভাব।
যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা এবং সাংবিধানিক সৌজন্যকে প্রতিনিয়ত পদদলিত করছেন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর দল।
ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন ছাড়াও বাঙালি বনাম অবাঙালি, নারী এবং পুরুষ বিভাজনও এবারের ভোটে সক্রিয়।