সর্বভারতীয় গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য তৃণমূল কংগ্রেস সর্বশক্তি দিয়ে ত্রিপুরা দখল অভিযানে নেমেছে। বাংলায় হারের পর ত্রিপুরা হাতছাড়া যাতে না হয়, তার জন্য প্রথম দিন থেকেই মরিয়া বিজেপি। দীর্ঘ বাম শাসনের ঐতিহ্যবাহী ত্রিপুরায় এবার কোন খেলা? এই বিষয়ে গত 14 অগস্ট (শনিবার) 4thpillarwethepeople.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় আগরতলা থেকে সাংবাদিক সুজিত চক্রবর্তী, জয়ন্ত ভট্টাচার্য, দিল্লি থেকে গৌতম লাহিড়ী এবং কলকাতায় শুভাশিস মৈত্র উপস্থিত ছিলেন।
1) ত্রিপুরায় যাঁরা ক্ষমতায় আসতে চাইবেন বা চাইছেন, তাঁদের যে ত্রিশটা রিসার্ভ সিট আছে সেটার কথা মাথায় রেখে লড়তে হবে। এখানে উপজাতি গোষ্ঠীর ভোট, এসসি, এসটিদের ভোট ভীষণ রকম গুরুত্বপূর্ণ।
2) ত্রিপুরার মানুষ যদি বিজেপির থেকে বিশ্বাস হারায়, অন্যদিকে মমতা যদি বিরোধীদের মুখ হয়ে উঠতে পারেন এবং জনগণকে বোঝাতে পারেন যে, তিনি আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন, তাহলে পোলারাইজেশন হওয়ার একটা সম্ভাবনা আছে।
3) মমতা ব্যানার্জি যদি জাতীয় রাজনীতিতে নির্ণায়ক ভূমিকা নেন তাহলে তার প্রভাব ত্রিপুরাতেও পড়বে।
4) মানুষ পরিবর্তন পছন্দ করে, আর মমতা ব্যানার্জি সেই স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। জানা নেই সেই স্বপ্ন কতটা সফল হবে, আজ যা শূন্য শতাংশ কাল তা 40 শতাংশ হতেই পারে এবং গোটাটাই নির্ভর করছে জাতীয় রাজনীতির উপর।
5) সম্প্রতি এই উপজাতি মানুষদের সমর্থন হারিয়েছে বিজেপি। উপজাতিদের মধ্যে রাজা প্রদ্যোত মানিক্যের নতুন দল প্রভাব বাড়াচ্ছে। জেলা পরিষদের নির্বাচনে শাসক বিজেপিকে হারিয়ে এরা যথেষ্ট সাফল্যও পেয়েছে।
6) ত্রিপুরায় তৃণমূলের রাজনৈতিক প্রভাব এখনও ততটা টের পাওয়া যাচ্ছে না। এখনও সেখানে বিজেপি বিরোধী প্রধান শক্তি বামেরাই।
7) শুধু কলকাতা থেকে নেতা আনলেই সাফল্য মিলবে না৷ তৃণমূলুকে স্থানীয় নেতৃত্ব তুলে আনতে হবে। কংগ্রেসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছাড়া আর কোনও ওজনদার নেতা এখনও পর্যন্ত তৃণমূলে যায়নি।
8) মানুষ যখন মনে করে কোনও দলকে পরাস্ত করবে, তখন তারা এককাট্টা হয়ে একটা দলকে ভোট দেয়। তৃণমূল ত্রিপুরায় সম্ভাবনা জাগাতে পারলে তাদেরও সাফল্যের সম্ভাবনা আছে।
9) জাতীয় রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের একটি বিজেপি বিরোধী ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে৷ পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদী সরকারের জনসমর্থন কমতে থাকলে ত্রিপুরায় তৃণমূল চমক দেখাতে পারে। বিজেপি সরকার কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচিত হলে সেখানে বিজেপির সরকারই থাকবে।
দীর্ঘ বাম শাসনের ঐতিহ্যবাহী ত্রিপুরায় এবার কোন খেলা?
কেন্দ্রীয় শাসকের প্ররোচনায় সোশাল মিডিয়ায় দেশপ্রেম এখন শত্রুদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধের বীরগাথা।
সব বিষয়েই ফেল করা সরকার শুধু প্রচারের নিনাদে প্রথম!
ত্রিপুরার মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসায় কোথায় সিবিআই?
বিয়ে নিয়ে অনেকেরই অনেক ভুল ধারণা থাকে, সেগুলোই এই শর্ট ফিল্মটি চোখে আঙুল দিয়ে যেন দেখিয়ে দিল।
জাতীয় সম্পদ ব্যবহার করে অর্থ জোগাড়ের চেষ্টা করছে মোদী সরকার। কাদের হাতে যাবে বিপুল সম্পদ?