CBI-এর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক স্বার্থে তদন্ত পরিচালনার অভিযোগ। পশ্চিমবঙ্গে হাইকোর্টের নির্দেশের বাইরে গিয়ে খুন ধর্ষণ ছাড়াও নির্বাচনী হিংসার তদন্তে কেন্দ্রীয় সংস্থা। CBI-এর এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলছে রাজ্য। ত্রিপুরার মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসায় কোথায় সিবিআই? এই বিষয়ে গত 10 সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) 4thpillarwethepeople.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, অরুণাংশু চক্রবর্তী সাংবাদিক শুভাশিস মৈত্র উপস্থিত ছিলেন।
1) রাজ্য সরকারের দায় হল রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা, মানুষের জীবন, সম্পত্তি রক্ষা করা। কিন্তু তাঁরা সেটা করছেন না, উল্টে বিরোধীদের এমন ভয় দেখাচ্ছেন যাতে তাঁরা আর বিরোধিতা না করতে পারে। তারপর গোটা বিষয়টার দায় চাপিয়ে দিচ্ছেন নির্বাচন কমিশনের উপর।
2) ভারতের গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে হলে তদন্তকারী সংস্থাগুলোকে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে দিতে হবে এবং পাশাপাশি এটাও লক্ষ্য রাখতে হবে, যে বা যারা তদন্ত করবে তাদের যতই কোনও একটি বিশেষ দল বা মতাদর্শের প্রতি সমর্থন থাক সেটা যেন কাজে প্রভাব না ফেলে। তাহলে কিন্তু তদন্ত বিঘ্নিত হবে।
3) আদালতকে আগামীদিনে কড়া হতে হবে। আদালতের নির্দেশ না মানলে শাস্তি দিতে হবে।
4) সিবিআই রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত করবে। আশা করা যায় তারা পক্ষপাতহীন হয়ে তদন্ত করবে।
5) হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির নির্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এই তদন্ত করবে। সুতরাং, সিবিআই খুব বেশি কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে পারবে না। তাছাড়া রাজনৈতিক দল হিসাবে বিজেপিও সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে কোর্টে গিয়েছিল।
6) এইসব মামলার ক্ষেত্রে সিবিআই-এর রাজ্য সরকারের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তাছাড়া কমিশন দায়িত্বে থাকার সময় রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে— এই কথা বলে রাজ্য প্রশাসন প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিয়েছে যে, হিংসা হয়েছে অথচ তার বিরুদ্ধে কোনও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।
7) রাজনৈতিক মামলাগুলিতে সিবিআই চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছে শেষ কয়েক বছর। আবার রাজ্য পুলিশকেও মানুষ ভরসা করে না। শাসক রাজনীতির উর্ধ্বে না উঠলে, সব ক'টি রাজনৈতিক দলের সদিচ্ছা না থাকলে পক্ষপাতহীন তদন্ত করা অসম্ভব।
খামখেয়াল হুড়ুমতাল! পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে এখন গো অ্যাজ ইউ লাইক!
কোভিডে রাজ্যগুলিকে কীসের ভিত্তিতে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছিল? উত্তর নেই কেন্দ্রীস সরকারের কাছে।
রাজ্যের স্কুলগুলিতে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নেই, উপরন্তু সেই নিয়োগ নিয়ে মারাত্মক দুর্নীতির অভিযোগ।
পরিবেশ বিপর্যয়ের ফলে মহাদুর্যোগ হবে ঘনঘন, প্লাবিত হবে কলকাতার মতো বহু শহর, ভারতের অজস্র জনপদ।
জাতীয় সম্পদ ব্যবহার করে অর্থ জোগাড়ের চেষ্টা করছে মোদী সরকার। কাদের হাতে যাবে বিপুল সম্পদ?
কোভিড পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে জনগণের মতামত জানতে চেয়ে নজির গড়ল বাংলা।