বিজেপির আধিপত্যবাদী, বিভাজনকেন্দ্রিক এবং পুরুষতান্ত্রিক রাজনীতির বিরুদ্ধে দ্বিধাহীন রায় দিল বাংলা। মমতা ব্যানার্জি নিজে হারলেও তৃণমূল দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আবারও ক্ষমতায়। বাং-কংগ্রেস জোট কার্যত নিশ্চিহ্ন। ভোটের ফলাফল নিয়ে www.4thpillars.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল, সেখানে সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে রজত রায়, গৌতম লাহিড়ী,শিখা মুখার্জি, পরঞ্জয় গুহঠাকুরতা, শিবাজীপ্রতিম বসু, সুব্রত সেন, নির্মাল্য মুখার্জি ও ডা: কুণাল সেনগুপ্ত উপস্থিত ছিলেন।
1) বিজেপির ধারণা ছিল উত্তর ভারতে তারা যেভাবে মেরুকরণের রাজনীতি করে সাফল্য পেয়েছে বাংলাতেও একই ভাবে সাফল্য পাবে। কিন্তু বাস্তবে সেটা ঘটল না।
2) বঙ্গবাসী বিজেপির এই আগ্রাসনাত্মক মনোভাবে ভয় পেয়ে গিয়েছিল। নইলে অবাঙালি অধ্যুষিত এলাকাতেও এভাবে বিজেপি হারত না।
3) নন্দীগ্রাম জিততে হবেই আর বাকিটা যেন জেতা হয়েই গেছে এই মনোভাব নিয়ে বিজেপি এগোচ্ছিল। এখানেই মমতা একজন দক্ষ স্ট্র্যাটেজিস্টের মতো পদক্ষেপ নিয়ে নিজে হেরে রাজ্যের বাকি অধিকাংশ জায়গায় দলকে জিতিয়ে দিলেন বলে মনে করি।
4) মানুষ সার্বিকভাবে বিজেপির বিভাজনমূলক নীতির, বিদ্বেষমূলক ভোটপ্রচারের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে।
5) এই নির্বাচন আসলে বিজেপি বিরোধী গণভোটের চেহারা নিয়েছিল৷ সেখানে মানুষ দলমত নির্বিশেষে তৃণমূলকে ঢেলে ভোট দিয়েছে৷ মানুষ মনে করেছেন, তৃণমূলই পারবে বিজেপিকে হারাতে।
6) স্বাস্থ্য, শিক্ষা সংক্রান্ত সামাজিক প্রকল্পগুলিকে 'দান' বা 'ভাতার রাজনীতি' বলাটা বিরোধী দলগুলির কাছে ব্যুমেরাং হয়েছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা সংক্রান্ত পরিষেবা নাগরিককে সম্পূর্ণ নিখরচায় দেওয়াই তো সরকারের কাজ।
কোন অধঃপাতে চলেছে বাংলার রাজনীতি?
যাপনে ছিল, আজও আছে কবিতা আর তীব্র অনিশ্চয়
বাংলার মধ্যে সবচেয়ে নজরকাড়া কেন্দ্র নন্দীগ্রাম
লুপ্ত দুই হাতের বয়ান
Covid-19 নিয়ে আলোচনায় ডা: কৌশিক মজুমদার
এবারের ভোটে রাজনৈতিক বক্তব্যটা কী বিভিন্ন দলের?