পারস্পরিক কাদা ছোঁড়াছুড়ি এবং দুর্নীতির অভিযোগের বাইরে এবারের ভোটে রাজনৈতিক বক্তব্যটা কী বিভিন্ন দলের? লিখিত আকারে মানুষকে কারা কী প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে? এই নিয়েই www.4thpillars.com গত 23 মার্চ (মঙ্গলবার) একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। এই আলোচনায় সুদীপ্ত সেনগুপ্তের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক পরঞ্জয় গুহঠাকুরতা এবং রজত রায়। Substantial politics beyond muck raking in West Bengal Assembly Polls 2021
1) নির্বাচনী ইস্তেহারে রাজনৈতিক দলগুলি অনেক অবাস্তব প্রতিশ্রুতি দেয়। ভোটে জেতার পর সেইসব প্রতিশ্রুতির কথা ভুলে যায়। সাধারণ মানুষ নির্বাচনী ইস্তেহার দেখে দলগুলিকে ভোট দেয় না। অন্যান্য অনেক কারণ থাকে, সেই দলগুলিকে ভোট দেওয়ার পিছনে।
2) আপাতভাবে বাংলার প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দলই তাদের ইস্তেহারে জনমোহিনী প্রকল্প রূপায়ণের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। আবার এসব প্রতিশ্রুতি অনেক সাধারণ মানুষ বিশ্বাস না করলেও এটার একটা ভাল দিক আছে। এবার সব দলই তাদের ইস্তেহারে অন্যান্য অনেক বিষয়ের পাশাপাশি বাংলার যেগুলো মূল সমস্যা— বেকারত্ব, শিল্প ইত্যাদির ওপর জোর দিয়েছে।
3) বিজেপির ক্ষেত্রে মুশকিল হল, তারা এতগুলো রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে। আবার বাংলায় তাদের ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানিয়ে তারা ডাবল ইঞ্জিন সরকার (কেন্দ্রে এবং রাজ্যে একই দলের সরকার) গড়বে বলছে। এতে তারা বেশি সুবিধা পাওয়ার আশা দেখালেও প্রশ্ন উঠছে, এতগুলো রাজ্যে ডাবল ইঞ্জিন সরজার থাকলেও সেখানে প্রতিশ্রুতিগুলোর বাস্তবায়ন হয়নি কেন?
4) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের ইস্তেহারে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সুষম উন্নয়নের কথা বলছেন। এই জাতিগোষ্ঠীগুলির স্থানীয় দাবিগুলোকে মেটানোর চেষ্টা করছেন। অবশ্যই এর মধ্যে রাজনীতি আছে। যেমন লেপচাদের জন্য উন্নয়ন পর্ষদ গড়ে তিনি আসলে গোর্খাদের চাপে রাখতে চেয়েছেন।
5) এই রাজ্য অর্থনৈতিক ভাবে এখনও দুর্বল। এখানে সরকারের বাইরেও একটা স্থানীয় সমান্তরাল অর্থনীতি চলে। এখানে পঞ্চায়েত ভোটে রাজনৈতিক হিংসার মূলেও ওই অর্থনীতিতে প্রভাব বিস্তারের লড়াই।
6) বামফ্রন্ট এই রাজ্যে এখনও দুর্বল। বামেরা কোনওদিনই বুঝতে পারেনি এই দেশে জাতপাতের সমীকরণ কেমন, তার প্রভাবই বা কতটা। তাই তারা এটাকে গুরুত্বও দেয়নি।
7) বাংলায় আগে পরিচয়ভিত্তিক রাজনীতি বা সম্প্রদায়গত রাজনীতি হয়নি এমন নয়। তবে সেগুলো সুপ্ত অবস্থায় ছিল। এখন প্রকট হচ্ছে।
8) বাংলার এই বিধানসভা ভোটের ফল গোটা ভারতের রাজনৈতিক চিত্রে প্রভাব ফেলবে।
এই হিন্দি আগ্রাসন একমাত্র নিজের ভাষার প্রতি কতটা দরদ, ভালবাসা আছে, তা দিয়েই আটকানো সম্ভব।
শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে প্রকাশ্যে খুন কৃষ্ণাঙ্গ। ন্যায়বিচারের দাবিতে পথে নেমে এসেছে গোটা দেশ।
মানুষ অতীত ভুলে গেছে এই ভরসায় অসত্য আখ্যান রচনা করছেন মোদী।
অবৈধ তাড়াহুড়োর ফল হতে পারে অভূতপূর্ব মাত্রার মারাত্মক! এবার কি বোধোদয় হবে কর্তাদের?
দুর্গাপুজোর মতোই আবারও আদালতের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন দীপাবলিতে দূষণ ঠেকাতে?
ভারতীয় গণতন্ত্রেও চলছে নিউ নর্মাল ব্যবস্থা।