একদিকে দিল্লির কর্তাদের খুশি করার জন্য রাজ্যপাল ছুটে যাচ্ছেন নির্বাচন-উত্তর হিংসার সরেজমিন তদন্তে। আর অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী জেলাশাসকদের বৈঠক ডাকছেন মুখ্যমন্ত্রীকে না জানিয়ে। স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে বিজেপির কি মাথাটাই গেল? এই বিষয়ে আজ www.4thpillars.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় সাংবাদিক রজত রায় এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানী শিবাজী প্রতিম বসু উপস্থিত ছিলেন।
1) আমাদের বর্তমান রাজ্যপাল নিজেকে সম্পূর্ণ সাংবিধানিক ভাবে সচেতন মনে করেন, কিন্তু কাজের সময় সাংবিধানিক প্রধান যে এক্সিকিউটিভ প্রধান নয়, এই বিষয়টা সবসময় অস্পষ্ট রাখতে চান।
2) বিজেপিকে প্রতিরোধ করার যে লড়াই ছিল এবার বাংলার বিধানসভায় তার অন্যতম মুখ অবশ্যই মমতা। কিন্তু আসল কারিগর হল সাধারণ মানুষ। তারা করে দেখিয়ে দিল যে চাইলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়, বিজেপি কে রুখে দেওয়া যায়।
3) দেশের সংবিধানের একটা স্পিরিট রয়েছে। রাজ্যপাল মুখে সংবিধান মোতাবেক কাজ করার কথা বললেও আদতে এই সাংবিধানিক স্পিরিটের লঙ্ঘন ঘটাচ্ছেন।
4) রাজ্যপাল, রাষ্ট্রপতির মতো সাংবিধানিক পদাধিকারীরা স্বল্প অথচ মূল্যবান বক্তব্য রাখবেন, সেটাই কাম্য। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজ্যপাল অতিরিক্ত এমন অনেক কথা বলছেন, যা তাঁর পদের সঙ্গে মানানসই নয়।
5) রাজ্যপাল একজন বিজেপির স্থানীয় নেতার মতো আচরণ করছেন। তাই পালটা প্রত্যাঘাতটাও রাজনৈতিকভাবেই হচ্ছে। তিনি সংবিধান কতটা রক্ষা করতে পারছেন জানা নেই, কিন্তু তিনি নিজের কাজের জন্য তাঁর পদের গরিমাকে ক্ষুণ্ণ করছেন।
6) রাজ্যপালকে পদচ্যুত করতে হলে রাজ্য আইনসভা ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনতে পারে। কিন্তু তার জন্য রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল অফেন্স থাকতে হবে। রাজ্যপাল জেলা সফরে বেরিয়ে এক্তিয়ার বহির্ভূত, নীতিহীন কাজ করছেন ঠিকই, কিন্তু এই অপরাধে তাঁকে ইমপিচ বা পদচ্যুত করা যায় না।
7) রাজ্যপালের হাতেও অল্পবিস্তর কিছু ক্ষমতা আছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে তিনি ক্ষুব্ধ হলে, সেই বিষয়ে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট পাঠাতে পারেন। কিন্তু এর বাইরে তাঁকে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ মেনেই কাজ করতে হবে। সংবিধানে প্রশাসনিক প্রধান আর সাংবিধানিক প্রধানের কার্যক্ষমতা, এক্তিয়ার সমতুল নয়।
তুই তোকারি, সাপের ছোবলে প্রতিপক্ষ দেওয়ালে ছবি এটাই রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দর বাংলায় রাজনীতির ভাষা?
ব্যক্তি ট্রাম্প এখানে আলোচ্য বিষয় নন। ট্রাম্প একটা বিকৃত মতবাদের প্রচার এবং প্রসার করছেন মাত্র।
এবারের ভোটে রাজনৈতিক বক্তব্যটা কী বিভিন্ন দলের?
তুমি সে সব চামুণ্ডার জিভে ছুঁড়ে জড়িয়েমড়িয়ে শুয়ে থাকো, যেন আমি তোমার পোষ্য নই,সন্তান!
কবিতা তার জ্যান্ত লাশ, কার?
বাঙালির সান্ধ্যকালীন মনোরঞ্জনের দায়িত্ব টিভি সিরিয়ালের বদলে বর্তমানে রাজ্যের রাজনীতিবিদরা নিয়েছেন