×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • ট্রাম্পের শেষ প্রহর

    4thpillars ব্যুরো | 09-01-2021

    সাংবাদিক সুদীপ্ত সেনগুপ্তের সঙ্গে আলোচনায় সাংবাদিক রজত রায় এবং প্রণয় শর্মা।

    কলঙ্কিত গণতন্ত্র। ‘শয়তান শাসকের’ আগ্রাসনে বিক্ষোভের আগুন ক্যাপিটলে। ইন্ধন দিলেন খোদ বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! কোন পথে এগোচ্ছে আমেরিকার রাজনীতি? এই নিয়েই 8 জানুয়ারি (শুক্রবার) www.4thpillars.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। এই আলোচনায় সাংবাদিক সুদীপ্ত সেনগুপ্তের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক রজত রায় এবং প্রণয় শর্মা।



     

    1) দুনিয়াতে গণতান্ত্রিক দেশগুলোর দুর্বলতাগুলো কী কী তা আমেরিকা তুলে ধরেছে। গোটা দুনিয়া বুঝতে পারছে কী কী সমস্যা হতে পারে গণতন্ত্রে।

    2) আজ যে সমাজের কিছু প্রান্তিক মানুষকে প্ররোচিত করে প্রতিষ্ঠানের ওপর আঘাত নামিয়ে আনা যায়, তা দেখা গেল। এখান থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, সমাজের একটা বড় মানুষের ক্ষোভ প্রশমনে এবং অপ্রাপ্তির নিরসনে রাষ্ট্র ব্যর্থ। সমাজে উত্তরোত্তর বৈষম্য বাড়ছে। এইখানে রাষ্ট্রের প্রধানদের এবং অন্যান্যদের বিষয়টা নিয়ে ভাবা উচিত।

    3) এইরকম পরিস্থিতি যখন কোনও দেশে ঘটে, তখন সেই দেশের রাষ্ট্রব্যবস্থাকে আঘাত করেই পরিবর্তন আসে। দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত শাসকরাই অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা দখল করতে চাইছেন। অতীতেও অবশ্য এমন বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। গণতন্ত্রের ক্ষতি গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে থাকা মানুষরাই করছেন, বাইরের কেউ নন।

    4) এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মানুষজন বুঝিয়ে দিল যে, তারা আদতে সুখী নয়। তারা প্রচলিত ব্যবস্থার বদল চায়। তাদের মধ্যেকার পুঞ্জীভূত ক্ষোভকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছেন রাজনীতিকরা। এভাবে চলতে থাকলে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাবে। অন্যান্য শান্তিপূর্ণ উপায়ে সংগঠিত গণতান্ত্রিক আন্দোলনও এমন চরম পথ নিতে উৎসাহিত হবে। দেশে দেশে নৈরাজ্যের সৃষ্টি হবে।

    5) সমাজের মধ্যে যে বিভাজন, তাকে আরও উৎসাহ দিচ্ছেন রাষ্ট্রপ্রধানরা। নিজেদের ব্যর্থতাকে অপেক্ষাকৃত দুর্বল জনগোষ্ঠীর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমেরিকায় যেমন শ্বেতাঙ্গ জনতাকে কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের বিরুদ্ধে প্ররোচিত করা হচ্ছে। বহু সময় পরে 'হোয়াইট সুপ্রিমেসিস্ট'রা আবার সক্রিয় হচ্ছেন। আমাদের দেশেও একইভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর সব দায় চাপিয়ে, তাদের বিরুদ্ধে সংখ্যাগুরুদের প্ররোচিত করা হচ্ছে।

    6) ব্যক্তি ট্রাম্প এখানে আলোচ্য বিষয় নন। ট্রাম্প একটা বিকৃত মতবাদ এবং ধারণার প্রচার এবং প্রসার করছেন মাত্র। আমেরিকার নয়া প্রেসিডেন্টকে সমাজের এই অংশের মানুষদের ক্ষোভের কারণটা খুঁজে বার করতে হবে। তাদের দাবিদাওয়ার কথা শুনতে হবে। না হলে পরবর্তী সময়ে ট্রাম্প বা ট্রাম্পের মতো অন্য কেউ এদের ক্ষোভকে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগাতে পারেন।


    4thPillars ব্যুরো - এর অন্যান্য লেখা


    অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে মিডিয়ার ভূমিকা কীরকম?

    মৌতাতে হুঁকো ধরালেন স্বপ্নময় চক্রবর্তী

    বিচারও কি দলীয় রাজনীতির অঙ্গ?

    আজ তৃতীয় পর্বে গায়িকা সারণির বাড়ির অন্দরে চোখ রাখব আমরা।

    যে দল নিজে অক্ষম, অচল, বিভ্রান্ত, সে মানুষকে কী পথ দেখাবে?

    দেশের মধ্যে নির্বাচনী হিংসায় বাংলা প্রথম। এই লজ্জার অবসান হোক এই ভোটেই।

    ট্রাম্পের শেষ প্রহর-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested