জগন্নাথদেব মণ্ডল
তরুণ এই কবির কলম নিয়ে যায় গাঢ এক সজীবতার দিকে। থাকেন- দাঁইহাটে। বর্তমানে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ করছেন। ছাত্রছাত্রী পড়ান। লেখালিখি করেন লিটল ম্যাগাজিনে। একটি মাত্র বই, নাম- মাটির সেতার। পুরস্কার এবং সম্মান- কৃত্তিবাস পুরস্কার, আদম সম্মান ২০১৯, বইচই পুরস্কার ২০১৯।
কবিতা
১
হরগৌরী নুড়ি গড়িয়ে রয়েছে হাওয়ায়।
আর সীতার গহনা ফেলা পথে এগিয়ে চলেছি, যেভাবে এগোয় বনের রাম।
আত্মার নরম জমিতে বসে নিরামিষ খাচ্ছি,
কেউ নেই,
তাই;
তালু ঘষে গরম করছি নিজস্ব মাই।
এইজন্য ওলবনের ভিতর ভিতর এগিয়ে চলেছে মোহর ঘড়া,
কলস উঠতেই,
নিজের মাছকে খাইয়ে দিলাম পানাভ্রমে।
এরপর আষাঢ় নামছে জঙ্গলমাথায়,
অন্নাভাব ধূ ধূ করছে হারানো হারের মতো।
উইঢিপিকে স্বামী ভেবে বন্দনা করছি দুধের গেলাস।
গাইছি পলান্ন, রোহিত মৎস্যের কীর্তন।
দূর থেকে আমাকে দেখতে লাগছে নিঃসঙ্গ বিধবা পাখি অথবা বিয়ে না হওয়া ডুমুরঝোপের মতোন!
২
আজকের প্রথম ফাল্গুন যেন বহুদিন আগেকার।
এমন দিনেই সুস্থ সবল আমাকে পলাশের বনে দন্ড দেওয়া হয়েছিল কপালে উল্কি এঁকে।
আমার প্রাণ হাতের মুঠোয় চেপে রেখেছিলে কবিরাজ বাড়ির মেয়ে,
আমায় নিয়ে পদ্মফুলের ব্যবসা করেছিলে।
বিশ্বনাথের বেয়াইয়ের মটরশাকের ভুঁয়ে ঢুকে
বলি দিয়েছিলে দিনের আলোয়।
সেই থেকে আমি দেবীর সাপ।
রাতের দিকে জ্যান্ত আহার ধরে আনি।
তুমি সে সব চামুণ্ডার জিভে ছুঁড়ে জড়িয়েমড়িয়ে শুয়ে থাকো, যেন আমি তোমার পোষ্য নই,সন্তান!
কেন লিখি
অনেক বছর অবধি সাইকেল চালাতে জানতাম না, শেখার প্রথম দিনেই হাতের হাড় ফেটে গিয়েছিল, সাঁতার শিখেছি দামড়া বয়সে, সবার কাছে বসে খুব বেশি কথা বলতে পারি না, তবে রাধাষ্টমীতে সাপে কাটলে আঙুল ঠেসে ধরতে শিখে গিয়েছিলাম। শাদা গরুর শিং নিজচক্ষে মিশতে দেখেছিলাম চাঁদের আলোয়।নিমগাছের মঙ্গলময় তেতো ছায়া, সর্পফণার মতো মনসাফুল, মাটির শিবলিঙ্গ আমার বন্ধু ছিল বেশি।
গাছপালানলকূপের কলোনিতে বেড়ে উঠতে উঠতে পরিশ্রমী মা বাবার গর্দানে দাগ ফুটে ওঠা দেখতে দেখতে, ওইসব ঘটনায় কিছু কথা মনে ঘাই মারত। তাই হয়তো সেসব বলার জন্যই কবিতা লিখি, জানালা গলে বাইরের জগতে অদৃশ্য আঁকশি হয়ে যোগাযোগ করিয়ে দেয় কবিতা, তাই লিখি হয়তো, অথবা এর কিছুই নয়।
আজ সপ্তম পর্বে গায়িকা অঙ্কিতা ভট্টাচার্য-র মুখেই শুনুন তাঁর গৃহবন্দি জীবনের কথা।
জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে আলোচনার দ্বিতীয় দিনে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক সুরঞ্জন দাস
যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা এবং সাংবিধানিক সৌজন্যকে প্রতিনিয়ত পদদলিত করছেন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর দল।
গরিবের দায় ঝেড়ে ফেলে কোন সংস্কারের পথে সরকার?
আজকের ভারতে চরম দক্ষিণপন্থী শাসনে যেন সেই ইউটোপিয়া বাস্তবায়িত হচ্ছে!
সাংবিধানিক শৃঙ্খলা ও প্রশাসনিক শিষ্টাচার ভাঙায় রাজ্যপালই পশ্চিমবঙ্গে এখন এক নম্বর।