সরকারের সমালোচনা করলেই সাংবাদিকদের উপর নেমে আসছিল রাষ্ট্রদ্রোহের খাঁড়া। সুপ্রিম কোর্ট এবার বন্ধ করতে উদ্যোগী আইনের এই অপপ্রয়োগ। স্বৈরাচারী শাসকের হাত থেকে গণতন্ত্র কি রক্ষা পাবে? এই বিষয়ে গত 4 জুন (শুক্রবার) www.4thpillars.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তের সঙ্গে আলোচনায় সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গাঙ্গুলি ও সাংবাদিক পরঞ্জয় গুহঠাকুরতা উপস্থিত ছিলেন।
1) রাষ্ট্রদ্রোহিতা আইনটা করা হয়েছিল যাতে প্রজাদের মধ্যে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ জমা না হয়, আনুগত্যের অভাব না হয়। এই আইনের প্রথম বলি ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী বাল গঙ্গাধর তিলক।
2) আমরা গনতন্ত্রে বিশ্বাসী হলে দেড়শো বছরের এই পুরনো আইনটি এবার শেষ করে দেওয়া দরকার। ভারতীয় দণ্ডবিধিতে এর থাকার আর কোনও তেমন কারণ নেই। সরকারে যেই থাকুক, সেই এই আইনকে বিরোধী কণ্ঠকে রোধ করার জন্য ব্যবহার করছে।
3) সেই ইংরেজ আমল থেকেই বিরুদ্ধ মত দমন করার উদ্দেশ্যে সিডিশন অ্যাক্ট বা দেশদ্রোহিতা আইন ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ইংরেজরা মাঝখানে এই আইনে বদল এনে বলেছিলেন, সরাসরি হিংসায় প্ররোচনা দিলে কাউকে এই আইনে অভিযুক্ত করা যাবে না। পরে যদিও প্রিভি কাউন্সিলে আগের বিধিনিষেধ বহাল রাখা হয়।
4) গত 6 বছরে, নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই আইনের বহু অপব্যবহার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সুস্থ গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে আলোচনা-সমালোচনার পথ খোলা রাখা জরুরি। অথচ, সমালোচনা দূরে থাক, এখন দেশে কেউ অক্সিজেন চাইলেও UAPA আইনে মামলা করার কথা বলা হচ্ছে।
5) 2019 সালে 100 জনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতামূলক আইনে মামলা রুজু করা হয়। তার মধ্যে মাত্র 2 জনের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাহলে বাকিরা যে শুধু অভিযোগের ভিত্তিতে দীর্ঘসময় কারাবন্দি থাকলেন, এতে যে তাদের মানসিক, সামাজিক বিপর্যয় ঘটল— তার দায় কে নেবে?
6) সংবাদমাধ্যম শাসকের সমালোচনা করবে সেটাই তো স্বাভাবিক। কেদারনাথ সিং মামলাতেও সুপ্রিম কোর্ট বাকস্বাধীনতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছিল। সাংবাদিকরাও সংবিধান স্বীকৃত বাকস্বাধীনতার দ্বারা যে কারও সমালোচনা করতে পারেন।
7) গণআন্দোলনই পারে মানুষের এই বাকস্বাধীনতার অধিকারকে সুরক্ষিত রাখতে। এইসব বৈষম্যমূলক আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেও গণআন্দোলনের প্রয়োজন রয়েছে। তার জন্য সমাজের সর্বস্তরে যে কোনও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে আমাদের সকলকে।
সংসদীয় গণতন্ত্রে বলা হয় বিরোধীরাই হাউসের প্রধান, অথচ এখন সংসদে বিরোধীদের বলতেই দিচ্ছে না শাসক।
বিজেমূল নিয়ে ভুল স্বাকারের পর প্রতিষ্ঠানবিরোধী বাম রাজনীতির পরিসরটা কি ফিরে পেতে পারে তারা?
সর্বনিম্ন নম্বর পেয়ে যে মাধ্যমিক এবং একাদশ শ্রেণিতে পাস করলে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ফেল করবেই।
নিপীড়নমূলক আইনের বিরুদ্ধে জনমত প্রভাবিত করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকেও: বিচারপতি অশোক গাঙ্গুলি
শুধু দানিশ সিদ্দিকি নন, তালিবানি আফগানিস্থানে কোন পরিস্থিতিতে কাজ করেন সাংবাদিকরা?
টিকাকরণের উপর মানুষের আস্থার প্রশ্ন জড়িত দুর্নীতির বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের ওপর।