সংসদ যাতে দৃশ্যতই সারা দেশের কাছে দায়বদ্ধ হয় তার জন্য তার কাজের লাইভ টিভি সম্প্রচার শুরু করেছিলেন স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। সংসদীয় গণতন্ত্রে বলা হয় বিরোধীরাই হাউসের প্রধান, কারণ সরকার চালায় শাসক পক্ষ। আজ দেখা যাচ্ছে বিরোধীদের কণ্ঠস্বর যাতে প্রচারিত না হয় তার জন্য সরকারপক্ষ কোন কিছুই বাদ রাখছে না। এই কি সংসদীয় গণতন্ত্র? এই বিষয়ে গত 10 অগস্ট (মঙ্গলবার) 4thpillarwethepeople.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় সাংবাদিক নির্মাল্য মুখোপাধ্যায়, রজত রায় এবং সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।
1) এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তারা একটা এজেন্ডা নিয়ে এগোচ্ছে। গণতন্ত্র বাঁচেই বিরোধীদের নিয়ে, সেখানে এই সরকারের কাজই হচ্ছে বিরোধীদের যেনতেন ভাবে দমিয়ে রেখে এগিয়ে যাওয়া। ফলে বর্তমান সময়ে বিরোধীরা যা করছে সেটা মরিয়া হয়ে করছে।
2) সংসদে বিরোধীদের কথা বলার সুযোগ দিতে হবে এবং সরকারকে সেই কথা শুনতে হবে। সরকারের বিরোধিতা করে কোনও কথা বলতে গেলে বা নিদেনপক্ষে সরকার অস্বস্তিতে পড়ে এমন শব্দ ব্যবহার করলেও মাইক্রোফোন অফ করে দেওয়া হচ্ছে।
3) লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সোমনাথ চ্যাটার্জি যখন লোকসভা টিভি চ্যানেল করলেন এবং পরে রাজ্যসভা টিভি হল, তখন সবাই এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছিল। এখন বিরোধীদের প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু হলেই এই চ্যানেল দু'টিতে সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়, নয়তো ক্যামেরার মুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।
4) আগে সংসদে ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত কিংবা প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মতো প্রবীণ, প্রাজ্ঞ নেতারা বক্তব্য রাখতে উঠলে দলমত নির্বিশেষে সবাই মন্ত্রমুগ্ধের মতো তা শুনত। সেই পারস্পরিক সম্মান, সৌজন্যের জায়গাটা এখন হারিয়ে গেছে।
5) সংবিধান মোতাবেক বিচারাধীন কোনও বিষয় জনস্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হলে স্পিকার সংসদে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনার অনুমতি দিতে পারেন। এখানে স্পিকারের ভূমিকাটা মুখ্য।
6) নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার সংখ্যার জোরে সংসদ পরিচালিত করতে চায়। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারও তাই করছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে সংসদে যে কোনও বিল পাস করানো যেতে পারে। কিন্তু প্রশ্নটা নৈতিকতার। প্রধানমন্ত্রী সংসদকে এড়িয়ে চলেন, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন না। এগুলো দুর্ভাগ্যজনক।
7) গণতন্ত্রের তৃতীয় স্তম্ভ বিচারবিভাগও অনেক সময় ক্ষমতাশালী শাসকের পক্ষে কথা বলে। জরুরি অবস্থাকেও আদালত বৈধতা দিয়েছিল। কিন্তু দিনের শেষে শেষ কথা বলে মানুষ। মানুষ কিন্তু ইন্দিরা সহ কংগ্রেসকে পরাজিত করে জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে মত দিয়েছিল।
8) শাসক ভুলে যায়, তাদেরও কোনও একদিন বিরোধী আসনে বসতে হবে। আজকের শাসক বিরোধীদের সঙ্গে যে অন্যায় আচরণ করছে, ভবিষ্যতে তার পুনরাবৃত্তি হলে কি আজকের শাসকের ভাল লাগবে?
বিয়ে প্রেমের গালগল্প ছাড়া বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নুসরত জাহানের অবদান কী?
বিধানসভার ভিতরে সহকর্মীদের সঙ্গে আড্ডায়,সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনে,সর্বত্রই সুব্রত মুখার্জি অনন্য।
অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন তৈরি করার মতো মিডিয়া ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান আমরা তৈরি করতে পারছি তো?
বাকি সব কিছু খুললে স্কুলের ক্ষেত্রে অসুবিধা কী? ছোটদের শিক্ষা কি আমাদের ভাবনায় কোথাও নেই?
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সমর্থনে 1971 সালে সত্যিই কি কারাবরণ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী?
প্রায় দেড় বছর পর খুলতে চলেছে স্কুল। হাতে আর মাত্র দু'টো সপ্তাহ। স্কুলগুলো কতটা তৈরি?