ভোটের পর হানাহানির লজ্জাজনক পরম্পরা এবারও দেখা গেল বাংলায়। এই রাজনৈতিক হিংসাকে সাম্প্রদায়িক রঙে রাঙিয়ে বাজার গরম করছে বিজেপি। নির্বাচিত সরকার তার দায়িত্ব পালন করুক, সংযত রাজনৈতিক দলগুলোও সংযত হোক। এই বিষয়ে গত 5 মে www.4thpillars.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ী এবং রজত রায় উপস্থিত ছিলেন।
1) বিজেপি হেরে যাওয়ার পর জয় পরাজয়ের বদলে জাতীয় স্তরে প্রচার চালাচ্ছে এখানে ঘটে চলা হিংসাত্মক ঘটনাগুলো নিয়ে।
2) পশ্চিমবঙ্গে দীর্ঘকাল ধরে রাজনৈতিক হিংসার পরম্পরা চলে আসছে। সারা দেশের সামনে এটা খুব একটা ভাল বিজ্ঞাপন নয়। ভোট মেটার পর ‘দেখে নেওয়া’-র এই রেওয়াজ বন্ধ হওয়া দরকার।
3) রাজ্যে অতীতেও বারবার রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটলেও, কোনওবারই সেটা সাম্প্রদায়িক বিষয় ছিল না। শাসকদলের মানুষ বিরোধীদলের মানুষকে মারত। বিজেপি বলছে অমুক ধর্মের মানুষ তমুক ধর্মের মানুষকে মারছে।
4) ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর শাসকদল যে রাজনৈতিক হিংসা চালাচ্ছে না, এমন নয়। কিন্তু অধিকাংশ ঘটনাই বিজেপি মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে তৈরি করা। যা এই রাজ্যে নজিরবিহীন।
5) ভোটপ্রচারে নেতারা যে আগ্রাসী ভূমিকায় বক্তব্য রেখেছেন, তাতে এই হিংসার গ্রাউন্ডটা তৈরি হয়ে গিয়েছিল। ভোট মেটার পর সেটারই বহিঃপ্রকাশ ঘটছে।
6) বিজেপির বাঘা বাঘা নেতা, এমনকি বিজেপি অনুগত কিছু বিশিষ্ট মানুষ মিথ্যা খবর ছড়িয়ে মানুষকে হিংসায় প্ররোচিত করছেন। অথচ, অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না।
7) বিজেপির আচার-আচরণ দেখে মনে হচ্ছে, বাংলার ভোটে এই শোচনীয় পরাজয়টাকে তারা মন থেকে মেনে নিতে পারেনি। তাই তৃণমূল সরকার শপথ নেওয়ার আগেই তারা রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলছে। অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে।
হিন্দি আগ্রাসনের থাবা ভোটের মুখে শীর্ষ বিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠানে।
জনমানসে প্রশ্ন, কৌতূহল; সত্যিই কি no one destroyed Babri Masjid?
করোনার সংক্রমণ তো পুজো দেখে বন্ধ থাকবে না।
Covid-19 নিয়ে আলোচনায় ডা: কৌশিক মজুমদার
দোষারোপের বাড়াবাড়িতে কেউ ধর্ম খুঁজছেন, কেউ কোনও ভাবধারা।
পশ্চিমবঙ্গে এবারের ভোটে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে অজস্র প্রশ্ন।