পশ্চিমবঙ্গে এবারের ভোটে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে অজস্র প্রশ্ন। বিজেপি ছাড়া সব দলই অভিযোগ করছে পক্ষপাতের। মানুষের বিশ্বাস হারাচ্ছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। এই বিষয়ে গত 19 এপ্রিল (সোমবার) www.4thpillars.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় সাংবাদিক পরঞ্জয় গুহঠাকুরতা এবং সাংবিধানিক আচরণ গোষ্ঠীর জহর সরকার উপস্থিত ছিলেন।
1. নির্বাচন কমিশন স্বাধীন স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসাবে নিজেদের গরিমা অক্ষুণ্ণ রাখতে ব্যর্থ। নির্বাচন কমিশন ছাড়াও অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারের দাসানুদাসে পরিণত করা হয়েছে।
2. ইভিএম-এও যে প্রযুক্তির সাহায্যে কারচুপি করা যায়, তা তথ্যপ্রমাণ সহযোগে একটি বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠী দেখিয়েছে। সেটা রুখতেই শীর্ষ আদালতে ভিভিপ্যাটের 100 শতাংশ স্লিপ গোনার আবেদন করা হয়েছিল৷ তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এক্ষেত্রে রঞ্জন গগৈ কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ নেননি।
3. নির্বাচন কমিশন শীর্ষ আদালতে জানিয়েছিল, ভিভিপ্যাট সম্পূর্ণ গুনতে হলে ভোটগণনায় অতিরিক্ত 5-6 দিন লেগে যাবে। এটা সম্পূর্ণ বাজে কথা। নিজেদের দায় এড়াতে নির্বাচন কমিশন এসব কথা বলছেন।
4. নির্বাচন কমিশনার হিসাবে সেই সব আমলাদেরই নিয়োগ করা হচ্ছে, যারা সরকারের বিশেষ কাছের লোক। আমলামহলেও এদের কারও খুব একটা পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি নেই। নির্বাচন কমিশনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনারের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু, ভূতপূর্ব নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা সেই ভূমিকা পালনে ব্যর্থ।
5. প্রায় চার দশক খুব কাছ থেকে নির্বাচন প্রক্রিয়া দেখার সুবাদে বলা যেতে পারে, এমন পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন কমিশন আগে কখনও দেখা যায়নি। সরকার-ঘনিষ্ঠ আধিকারিক আগেও এসেছেন। কিন্তু বর্তমান পদাধিকারীদের তো কোনও চক্ষুলজ্জাই নেই। অবসরের অব্যবহিত পরেই এঁদের কেউ রাজ্যসভার সাংসদ হচ্ছেন, কেউ বা রাজ্যপাল হিসাবে মনোনীত হচ্ছেন।
6. রাজ্যে প্রতিটি দফার নির্বাচনেই প্রধানমন্ত্রী কোথাও না কোথাও ভোটপ্রচার করছেন৷ সেগুলো সরাসরি সম্প্রচারিত হচ্ছে। এগুলো তো সরাসরি নির্বাচনী বিধিভঙ্গ। এই ব্যাপারে কমিশন কী পদক্ষেও করেছে। উলটে বিজেপি নেতারা বিরোধীদের উদ্দেশ্যে যা যা পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, কাকতালীয় ভাবে কমিশনও পরে সেই পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করছে। এতে সাধারণ মানুষের কাছে কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
7. বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার তাদের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা সমস্ত কণ্ঠকে রোধ করে দিতে চায়। যার প্রমাণ আমরা গত লোকসভা ভোটের সময়ও দেখেছি।
মানুষের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে ব্যবসায়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা সরকারের, বেঁচে গেল সাধারণ মানুষ।
দীর্ঘ রাস্তা পেরিয়ে, মৃত জনপদ পেরিয়ে আমাদের একাকীত্ব সেও কী কম বড় প্রার্থনা!
মুসলিম পরিবারে হিন্দু মেয়ের বিয়ে নাকি লাভ জিহাদ - প্রেমের নামে ধর্ম প্রচার!
কেন্দ্রের শাসক শুধু ভোটের সঙ্গে রোগ সংক্রমণের সম্পর্ক দেখতে পাচ্ছে না!
আসন্ন বিধানসভা ভোটের টিকিট না পেলেই দল বদলের হিড়িক দেখা যাচ্ছে রাজ্য রাজনীতিতে।
অভূতপূর্ব উন্মাদনা তৈরি হয়েছে এবারের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে।